ভোরবেলা ঘুম ভাঙতেই ভয়
কাঁকড়ার মতো
আমার উপর হেঁটে যায়,
যেতে থাকে। মৃত্যুবোধ হঠাৎ
আমাকে
ভীষণ কাতর করে। বিছানায়
লেপের বাইরে
নিজের একলা হাতটিকে
নির্বোধ, অচেনা লাগে, যেন
মৃত্যু ওকে আলগোছে
ছুঁয়ে গেছে। বড় দুঃখময় হাত
গাঢ় অবসাদে
নিমজ্জিত এক পাশে; বুকে
পাথরের ভার।
পেয়ারা গাছের ডালে-বসা
পাখিটার
মৃত্যুবোধ নেই, আকৃতিতে
ওর বেদনার কোনো
ছাপ নেই; অচিন সুরের ছায়া
আছে। ওকে প্রীতি
জানাবার সাধ জাগে;
আমাকে শুঁকতে
থাকে মৃত্যু ক্রমাগত, বুঝি বা
পচন-ধরা মাছ
এই আমি। সুদূরিকা, ঢেউময়
যৌবন তোমার
এ মুহূর্তে যদি ঘরে প্রবল
দেয়ালি
জ্বেলে দেয় ভয়ের কুয়াশা
যাবে কেটে। যদি তুমি
আমাকে বাহুতে বাঁধো এসে,
মাথায় বুলিয়ে দাও
হাত, ঠোঁট চেপে ধরো বাসি
ঠোঁটে, নিমেষে মরণ ম’রে
যাবে।