১০.
কর্নেল নীলাদ্রি সরকার দুঘণ্টা ছাদের বাগান পরিচর্যা করে এসে কফি খেতে খেতে খবরের কাগজে চোখ বুলাচ্ছিলেন। হোটেল কন্টিনেন্টাল এবং সানশাইনে দুটো খুনের খবর ছোট্ট করে ছেপেছে। পুলিশ সূত্রের খবর। কাকেও গ্রেফতার করা হয়নি। শুধু দৈনিক সত্যসেবক পত্রিকা জানিয়েছে, সানশাইনের খুনে সন্দেহক্রমে জনৈক বক্তিকে জেরা করা হচ্ছে। দুটো খুনের খবর আলাদা ছাপা।
টেলিফোন বাজল। কর্নেল সাড়া দিলেন। শুভ্রাংশুর কণ্ঠস্বর ভেসে এল। কর্নেল সরকার! কাল আপনি রিং করেছিলেন শুনলাম। আমাকে দুপুরে ব্যারাকপুর যেতে হয়েছিল। ফিরেছি প্রায় রাত এগারোটায়। অত রাতে আপনাকে ডিসটার্ব করতে চাইনি।
কর্নেল বললেন, একটা কথা জানতে চেয়েছিলাম।
বলুন স্যার!
আচ্ছা, আপনি রঞ্জন রায় নামে কাউকে চেনেন?
রঞ্জন রায়?
হ্যাঁ। ফিল্মমেকার।
কই না তো! এ নামে কোনও ফিল্মমেকারের কথা শুনিনি। তবে ফিল্মসার্কেলে আমার কিছু জানাশোনা লোক আছে। খোঁজ নেব?
নিন। আর ভিডিওজোন কথাটা কি আপনার পরিচিত?
কী বললেন? ভিডিওজোন? নাহ্। কী সেটা?
একটা স্টুডিও। মানে, ভিডিও ক্যাসেট তৈরি হয় সেখানে।
কোথায় সেটা?
পার্ক স্ট্রিট এরিয়ার একটা গলিতে।
তাই বুঝি? তো স্যার, কোনও ক্লু পেলেন?
কর্নেল হাসলেন। ক্লু বলতে রঞ্জন রায় এবং ভিডিওজোন।
আই সি! আচ্ছা স্যার, তাহলে কি রঞ্জন রায়ই মউকে নিয়ে ব্লু ফিল্ম তুলেছিল?
আপনার কী ধারণা?
আমার তা-ই সন্দেহ হচ্ছে। কিন্তু মউ বলেছিল, হংকংয়ের এক ব্যবসায়ী ওকে ব্ল্যাকমেল করত। তাহলে ব্যাপারটা দাঁড়াচ্ছে, রঞ্জন রায় এবং সেই ব্যবসায়ীর মধ্যে কোনও যোগাযোগ আছে। তাই না স্যার?
আপনি বুদ্ধিমান মিঃ সোম! আজকের কাগজ দেখেছেন?
এখনও দেখা হয়নি। কেন স্যার?
মধুমিতার খুনের খবরের তলায় আরেকটা খবর আছে দেখবেন। হোটেল কন্টিনেন্টালে হংকংয়ের ব্যবসায়ী রঙ্গনাথন খুন।
বলেন কী! মউ যার কথা বলত–
হ্যাঁ। সেই ব্যবসায়ী। যাই হোক, আপনি আপনার চেনাজানা ফিল্মমহলে রঞ্জন রায় সম্পর্কে খোঁজ নিন। খোঁজ পেলেই আমাকে জানাবেন।
একটা কথা স্যার! রঙ্গনাথন না কী বললেন, তার কাছে কোনও ভিডিও ক্যাসেট পাওয়া যায়নি?
নাহ্।
ভেরি মিসটিরিয়াস! ক্যাসেটটা তার কাছে থাকা উচিত ছিল। স্যার! দুটো খুনের মধ্যে লিঙ্ক তো স্পষ্ট।
ঠিক বলেছেন। আপনি বুদ্ধিমান!
রঞ্জন রায় রঙ্গনাথনকে খুন করে ক্যাসেটটা হাতিয়েছে সিওর।
আমি সিওর নই অবশ্য।
স্যার! সেই ক্যাসেটে মউয়ের মেলপার্টনার যদি রঞ্জন হয়, তাহলে?
বাহ্! আপনি সত্যিই বুদ্ধিমান মিঃ সোম! আপনি মূল্যবান একটা ক্লু ধরিয়ে দিলেন। আমি এটা ভাবিনি। ধন্যবাদ!
আর একটা কথা স্যার! যাকে হাতে নাতে ধরা হয়েছিল, হ্যাঁ চন্দ্রনাথ দেববর্মন, তার অ্যালিবাই কী?
পুলিশ নিশ্চয় কোনও স্ট্রং অ্যালিবাই পেয়েছে। তাই পুলিশ রঞ্জন রায়কে খুঁজছে! আচ্ছা! রাখছি। আপনি যেন রঞ্জন রায় সম্পর্কে
সিওর! কিন্তু স্যার, আমার একটা সন্দেহ হচ্ছে।
বলুন!
চন্দ্রনাথবাবুর ঘর ভালভাবে সার্চ করা উচিত ছিল পুলিশের।
কেন?
এমন হতে পারে, মউ তারই কাছে যাচ্ছিল।
হুঁ। কেন যাচ্ছিল বলে আপনার ধারণা?
আমি সিওর নই। তবে এমন হতেই পারে, মউ জানতে পেরেছিল তার কাছে ওর ব্লু ফিল্মের ক্যাসেট আছে। বোঝাপড়া করতে যেতেই পারে। আমি ডিটেকটিভ নই কর্নেল সায়েব! কিন্তু আমার ইনটুইশন বলছে, রঙ্গনাথন এবং চন্দ্রনাথের মধ্যে চেনাজানা থাকা সম্ভব। রঙ্গনাথন চন্দ্রনাথের ঘরে গিয়েই মউকে ব্ল্যাকমেল করতে পারে! মউ বোঝাপড়া করতে যাচ্ছিল। সেইসময় তার স্বামী কে ফলো করে গিয়ে খুন করেছে। এটা কি সম্ভব নয়? আপনি একটু ভেবে দেখবেন এটা।
দেখবখন। রাখছি মিঃ সোম!
ফোন রেখে ঘড়ি দেখলেন কর্নেল। নটায় শান্তশীল দাশগুপ্তের কাছে তার যাবার কথা। এখনই বেরুনো উচিত।…
সানশাইনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কড়া করা হয়েছে। রণধীর সিংহ সিকিউরিটি অফিসে ছিলেন। কর্নেলকে দেখে স্যালুট ঠুকলেন। কর্নেল বললেন, বি ব্লকে মিঃ দাশগুপ্তের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট আছে রণধীর।
চলুন স্যার! আমি পৌঁছে দিয়ে আসি।
ধন্যবাদ রণধীর! তুমি তোমার ডিউটি করো! কর্নেল হঠাৎ থেমে চাপাস্বরে জিজ্ঞেস করলেন, চন্দ্রনাথ দেববর্মন কি ফিরেছেন?
হ্যাঁ স্যার। গত রাতে সাড়ে এগারোটা নাগাদ ফিরেছেন। পুলিশ ওঁর গতিবিধি সম্পর্কে খবর দিতে বলেছিল। আমি দিয়েছি।
ঠিক আছে।…
শান্তশীল অপেক্ষা করছিল। ড্রয়িংরুমে কর্নেলকে বসিয়ে বলল, এনি ড্রিঙ্ক?
ধন্যবাদ। কফি খেয়ে বেরিয়েছি।
শান্তশীল একটু চুপ করে থাকার পর বলল, আমি বলেছিলাম মৃতেরা কথা বলে না। আপনি বলেছিলেন, তারা আপনার কাছে কথা বলে। আপনি আমার স্ত্রীর কাগজপত্র খুঁজতে বলেছিলেন। খুঁজে কিছুক্ষণ আগে একটা নেমকার্ড পেলাম। কার্ডটা দেখে যেন, মনে হলো, ডেডস সামটাইম রিয়্যালি স্পিক। হা আপনি রঞ্জন রায় এবং ভিডিওজোন বলেছিলেন। সেই কার্ড। এই নিন।
কর্নেল কার্ডটা দেখে পকেটস্থ করলেন এবং চুরুট ধরালেন।
শান্তশীল বলল, তবে এটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনাকে কাল ফোন করেছিলাম। বলেছিলাম, আপনার সঙ্গে কথা বলা দরকার এবং সেটা আমার অ্যাপার্টমেন্টেই বলা দরকার। কেন, তার আভাস দিচ্ছি। এই অ্যাপার্টমেন্টে বসলে আমার স্ত্রী সম্পর্কে অনেক কথা স্মরণ হতে পারে, যা বাইরে কোথাও বসে কথা বললে হবে না। কোনও কোনও ঘটনা তুচ্ছ মনে হয়েছে কত সময়। এখন মনে হচ্ছে, সেগুলোর তাৎপর্য ছিল।
সে চুপ করলে কর্নেল বললেন, যেমন?
কিছুক্ষণ আগে বেডরুমের একটা জানালার নিচে বাংলায় কি যেন একটা কথা আছে, ওই জায়গাটা–ওই যে বনসাই টবটা আছে
কর্নেল হাসলেন। হুঁ। পুরনো বাংলা শব্দ। গোবরাট।
হ্যাঁ। গোবরাট। সেখানে একটু ছাই দেখেছিলাম। সিগারেটের ছাই। আমি একসময় বেশি সিগারেট খেতাম। এখন খুবই কম। তাহলে ও সিগারেটের ছাই আমি চিনি। আমি ভুলেও সিগারেটের ছাই বাইরে ফেলি না। বেডরুমে সিগারেট খাই না। খেলে এখানে বসে খাই। যাই হোক, মউকে জিজ্ঞেস করিনি। আসলে ব্যক্তিগত জীবনে একটুও ডিসটার্বড় হওয়া আমার পছন্দ নয়। তাতে আমার কাজের ক্ষতি হয়।
আপনার স্ত্রী সিগারেট খেতেন না?
নাহ্। শান্তশীল আবার একটু চুপ করে থাকার পর বলল, গত সপ্তাহে অফিস থেকে দুপুরে মউকে ফোন করেছিলাম। রিং হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ফোন তুলে বলল, তোমার এই জেকিল-হাইড গেমটা বলেই হ্যালো। ও! তুমি? ইত্যাদি। কর্নেল সরকার তোমার এই জেকিল-হাইড গেমটা–এই কথাটা ফোন তুলেই কেন বলবে? তাই না? অন্য কাউকে বলছিল। ডিবেটিং টোন। উত্তেজনা ছিল।
আপনি জিজ্ঞেস করেননি কিছু?
নাহ্। তখন গুরুত্বই দিইনি। গত একমাস ধরে লক্ষ্য করছিলাম একটু হিস্টেরিক টাইপ হয়ে যাচ্ছে মউ। সব সময় নয়। যে রাতে ও খুন হয়ে গেল, ভীষণ শান্ত মনে হচ্ছিল আপাতদৃষ্টে। কথা বলছিল আস্তে। কিন্তু চাপা উত্তেজনা ছিল সেটা পরে মনে হয়েছে।
কর্নেল চোখ বুজে কথা শুনছিলেন। চোখ খুলে বললেন, জেকিল-হাউড গেম?
হ্যাঁ।
ডক্টর জেকিল অ্যান্ড মিস্টার হাইড! ডুয়াল পার্সোনালিটি!
বইটা পড়েছি। ফিল্মেও দেখেছি। শান্তশীল একটা সিগারেট ধরাল। একটু পরে বলল, আমাদের কাজের মেয়েটি– ললিতার আগামীকাল আসার কথা। গতকাল এবং আজ তাকে ছুটি দিয়েছিল মউ। কারণ বহরমপুর যাওয়ার কথা ছিল আমাদের। কাল ললিতা এলে পুলিশ ওকে জেরা করলে সব জানা সম্ভব, হু ওয়াজ দ্যাট গাই? ললিতার না জানার কথা নয়। সমস্যা হলো, মেয়েটা কোথায় থাকে জানি। সানশাইন হাউজিং কমিটির নির্দেশ আছে, কাজের লোকেদের ফটো এবং ঠিকানা অফিসে জমা রাখতে হবে। আমি এত ব্যস্ত যে ওসব দিকে মন দিতে পারিনি।
আর কিছু?
শান্তশীল সোজা হয়ে বসল। কর্নেল সরকার! মউয়ের ফিল্ম কেরিয়ারের আমি একটুও বাধা সৃষ্টি করতে চাইনি। সে তা ভাল জানত। কিন্তু বোম্বে থেকে কয়েকবার বড় অফার এলা এবং ওরা বারবার এসে ওকে সেধেছিল। অথচ মউ ওদের মুখের ওপর না করে দিত। ফিল্ম সম্পর্কে হঠাৎ একটা যেন প্রচণ্ড অ্যালার্জি। তখন ভাবতাম, সে হাউসওয়াইফ হওয়াটাই প্রেফার করেছে এবং আমার মুখ। চেয়েই এটা করেছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, দেয়ার ওয়াজ সামথিং রং ইন ইট। কোনও তিক্ত– কুৎসিত অভিজ্ঞতা।
মিঃ দাশগুপ্ত! আপনাকে কাল ব্লু ফিল্মের কথা বলেছিলাম।
হ্যাঁ। আমি তখন বিশ্বাস করিনি আপনার কথা। এখন ঠিক ওই কথাটা আমিই আপনাকে বলছি। ব্লু ফিল্ম অ্যান্ড ব্ল্যাকমেলিং।
আপনাকে একটা ড্রাগের কথাও বলেছিলাম!
শান্তশীল তাকাল। কয়েক মুহূর্ত পরে বলল, আমি কোম্পানির কেমিস্ট ডিপার্টমেন্টের চিফ ডঃ রণেন্দ্র বোসের সঙ্গে কথা বলেছি। হি ইজ এ ফেমাস মেডিক্যাল সায়েন্টিস্ট। আন্তর্জাতিক সুনাম আছে। উনি বললেন, ওরকম ড্রাগ আছে। তরল পদার্থে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে গলে যায়। হ্যালুসিনেটরি পার্সেপশন তৈরি করে ব্রেনের নার্ভে। এক মিনিট! পেটেন্টের ছদ্মনাম বলছি। বলে সে টেবিলের ড্রয়ার থেকে একটা কাগজ বের করে দিল কর্নেলকে।
কর্নেল পড়ে বললেন, নাইটেক্স থ্রি।
সেডাটিভ ওষুধ লেখা থাকে। কিন্তু অ্যাকচুয়্যালি নিছক ঘুমের ওষুধ নয়। চোরাপথে হংকং থেকে এ দেশে আসে।
কর্নেল হাসলেন। হংকং শব্দটা বলতেই এখন আমার কাছে রঙ্গনাথন।
আমার কাছেও। বাট হু ইজ দিস গাই রঞ্জন রায়?
পুলিশ খুঁজছে তাকে। দেখা যাক। আমি উঠি মিঃ দাশগুপ্ত।
শান্তশীল উঠে দাঁড়িয়ে বলল, আমার যেন আরও কিছু বলার কথা ছিল। মনে পড়ছে না।
মনে পড়লে জানাবেন। তবে আমার মনে হচ্ছে, আপাতত এই যথেষ্ট।…
কর্নেল নমস্কার বিনিময় করে বেরিয়ে এলেন। তারপর ই ব্লকের দিকে হাঁটতে থাকলেন। বাড়িটা নির্জন নিঝুম হয়ে আছে। দোতলায় নটা ঘরের কর্মীরা এখন কাজে চলে গেছে। অটোমেটিক লিফটে তিনতলায় পৌঁছুলেন। সেই কুকুরটার হাঁকডাক শুরু হয়ে গেল। কর্নেল করিডর ঘুরে সোজা এগিয়ে ১৩ নম্বরে নক করলেন।
প্রথমে আইহোলে একটা চোখ। তারপর চেন আটকানো দরজা একটু ফাঁক হলো। মঙ্গলোয়েড চেহারার একটা মুখ। শীতল চাহনি।
কর্নেল তার নেমকার্ড এগিয়ে দিলেন। চন্দ্রনাথ বাঁ হতে সেটা নিয়ে দেখার পর বললেন, ইয়া?
কর্নেল তার নেমকার্ড এগিয়ে দিলেন। চন্দ্রনাথ বাঁ হাতে সেটা নিয়ে দেখার পর বললেন, ইয়া?
কর্নেল একটু হেসে বললেন, আপনার ডানহাতে একটা ফায়ার আর্মস আছে। মিঃ দেববর্মন! তবে আপনি আমার এই সাদা দাড়ি টেনে দখতে পারেন, এটা রঞ্জন রায়ের ছদ্মবেশ নয়। আমি আপনার শুভাকাঙ্ক্ষী।
আমি ব্যস্ত।
প্লিজ মিঃ দেববর্মন! আপনি বরং লালবাজারের ডি সি ডি ডি অরিজিৎ লাহিড়ি কিংবা আপনাদের সিকিউরিটি অফিসার রণধীর সিংহকে ফোন করে আমার সম্পর্কে খোঁজ নিতে পারেন।
কী চান আমার কাছে?
রঞ্জন রায় সম্পর্কে কথা বলতে চাই।
তাকে আমি চিনি না।
ওয়েল মিঃ দেববর্মন, অনেক সময় আমরা জানি না যে আমারা কী জানি। আপনি যে এখনও বিপন্ন, তা ভুলে যাবে না।
চন্দ্রনাথ একটু ইতস্তত করে দরজা খুলে বললেন, ওকে! কাম ইন!
কর্নেল ভেতরে ঢুকলে চন্দ্রনাথ দরজা লক করলেন। চন্দ্রনাথের হাতে খুদে আগ্নেয়াস্ত্র। ইশারায় সোফায় বসতে বললেন। তারপর একটু দূরে একটা চেয়ারে বসে বললেন, আপনি একজন রিটায়ার্ড কর্নেল?
হ্যাঁ। তবে রহস্য জিনিসটা আমাকে টানে। রহস্য ভেদ করা আমার একটা হবি। আপনার জীবনে সদ্য যা ঘটেছে, তা কি একটা জটিল রহস্য নয়?
ইয়া।
কর্নেল নিভে যাওয়া চুরুট জ্বেলে একটু হেসে বললেন, রঞ্জন রায় জানে আপনার কাছে একটা ব্লু ফিল্মের ক্যাসেট আছে। আমার ধারণা, ওটা মিঃ রঙ্গ নাথন আপনাকে দিয়েছিলেন!
ইয়া।
আমার আরও ধারণা, ওই ক্যাসেটে মিসেস দাশগুপ্ত এবং তার মেল পার্টনারের ছবি আছে।
ইয়া।
অ্যান্ড দা মেলপার্টনার ইজ রঞ্জন রায়?
ইয়া।
আমি রঞ্জন রায়কে একবার দেখতে চাই।
চন্দ্রনাথ কষ্ট করে হাসলেন। আপনি কি কখনও ব্লু ফিল্ম দেখেছেন?
নাহ্। কিন্তু প্রয়োজন আমাকে দেখতে বাধ্য করবে। প্লিজ স্টার্ট!…
.