মেঘঢাকা সেই মাঘের দুপুরে
ছিলো না খেয়াল নাওয়া কি খাওয়ার।
শরীর ডুবিয়ে মেরুন সোফায়
পড়ছিলে তুমি শোপেনহাওয়ার।
অভ্যাস আর আলস্য থেকে
ছিনিয়ে নিজেকে এনেছি এখানে।
হঠাৎ তাকালে কেমন আলতো,
বললে কী যেন অবছায়া টানে।
তারপর এলো খাবারের ট্রালি;
চায়ের পেয়ালা কানায় কানায়
ভ’রে ওঠে আর হাসলে এভাবে
যে-হাসি তোমাকে নিখুঁত মানায়।
দুই জগতের মধ্যে রয়েছি,
অন্তরালের ছবি আসে যায়।
কোন্ সে জগৎ অধিক প্রকৃত-
এ নিয়ে ঈষৎ ডুবি ভাবনায়।
এ জগৎ শুধু ধারণা এবং
সংকল্পের দ্বিত্ব ভেবেই
রয়েছো মগ্ন মাঘের দুপুরে।
আমি সমাহিত নিরুক্তিতেই।
আপাতত এই হৃদয়ে আমার
ঝরে বাসনার প্রফুল্ল চেরি।
যখন তোমার চোখ পড়ে চোখে,
বলি, পড়েছো কি জন ত্র্যাশবেরী?
আমার ভেতরে জাগলো হঠাৎ
মেঘফাটা রোদ, দুর্বার ক্ষুধা।
শরীরিণি তুমি বলেছিলে হেসে-
দাঁড়াও আনছি পাবলো নেরুদা।
‘না থাক এখন বরং আমার
হাতে তুলে দাও তোমার ও-হাত,
ব’লে আমি চির নশ্বরতার
স্বরে আওড়াই সুধীন্দ্রনাথ।
দ্বন্দ্ব প্রসৃত যন্ত্রণা বাজে
হৃদয়ে আমার। কী আছে চাওয়ার?
পেঙ্গুইনের প্রচ্ছদ জুড়ে
গভীর তাকান শোপেনহাওয়ার।।