সৌন্দর্যকে তর্জমা করার
অভিলাষে প্রজাপতি,
খরগোশদের লাফ, দিঘির
কম্পন,
জোনাকির জ্বলে-ওঠা,
নারীমুখ নিয়ে মগ্ন হই।
অকস্মাৎ
গোধূলির পাখি এক বার্তা
পৌঁছে দেয় নিরিবিলি
আমার বোধের সীমানায়।
তড়িঘড়ি
গেলাম দেখতে মাকে অনুবাদ
অসম্পূর্ণ রেখে।
জরার আঁচড়ে কিছু, কিছু
অসুখের
পীড়নে এখন ম্লান তিনি,
জননী আমার; তার
ক্লান্ত চোখে খেলা করে নিভৃত
বিভূতি-
যেন তিনি খুঁজছেন পলাতকা
বালিকা বয়স।
পদ স্পর্শ করে বিছানার ধারে
বসতেই তিনি
মাথায় রাখেন হাত দোয়ার
মুদ্রায়। আমি সেই
অনাবিল ভঙ্গিটিকে, সকলের
অগোচরে তর্জমায় মাতি।
মা আমাকে নিজেরই অজ্ঞাতে
গোধূলিতে দেন উপহার
শিল্পের নিজস্ব মহিমায় স্নাত
মরমী আঙ্গিক।
১২.৫.৯৪