মনে মনে
যে আমায় চোখ রাঙিয়ে এইমাত্র
চলে গেল। গটগটিয়ে
সে আমায় দিয়ে গেল একটুকরো সুখ।
শরীরে নতুন করে রক্ত চলাচল,
টের পাই
ইন্দ্ৰিয় সুতীক্ষ্ণ হয়ে ওঠে
মৃদু হেসে মনে মনে আমি তার নাম কেটে দিই!
সে আর কোথাও নেই
হিম অন্ধকার এক গভীর বরফ ঘরে
নির্বাসিত
আহা, সে জানে না!
সে তার জুতোর শব্দে মুগ্ধ
প্যান্টের পকেটে হাত
স্মৃতি-হারা
বিভ্ৰান্ত মানুষ।
দাবা খেলুড়ের মতো আমি তাকে
এক ঘর থেকে তুলে
অন্য ঘরে বসিয়ে চুপ করে
চেয়ে থাকি
উপভোগ করি তার ছটফটানি
জালের ফুটোর মধ্যে নাক দিয়ে
যেমন বিষণ্ণ থাকে জেব্ৰা
শুকনো নদীর পাশে যেরকম দুঃখী ঘাটোয়াল–
আমার হঠাৎ মায়া হয়
আমি তার রমণীকে
নরম সাস্তুনা বাক্য বলি,
দু’হাত ছড়িয়ে ফের
তছনছ করে দিই খেলা!