মধ্যরাত্রির নিরালায়

মধ্যরাত্রির নিরালায়

মধ্যরাত্রির নিরালায় সন্ন্যাসী তাঁর মুখোশটি খুলে
দেয়ালে ঝুলিয়ে রাখলেন
তারপর শুতে গেলেন পাথুরে মেঝেতে
তাঁর বিনা সাধনায় ঘুম এলো
ক্রমশ তাঁর ওষ্ঠে ফুটে ওঠে স্নান, ছাইমাখা হাসি
হাত দুটি বুকের ওপরে আড়াআড়ি রাখা
এখন তিনি ঈশ্বরহীন প্রকৃত নিঃসঙ্গ।

আকাশ-ছড়ানো স্তব্ধতা খানখান করে চিরে
অকস্মাৎ ধমকে উঠলো চন্দ্রমৌলি পাহাড়-শিখরের বজ্র
পাইন বনের কোনাচে গড়ন ঝলসে উঠলো
কোনো এক অজানা শিসের তীক্ষ্ণ শব্দে
সন্ন্যাসী পাশ ফিরলেন, মুখে তাঁর
শিশুকালের লালা
একটি কালো রঙের বেড়াল থাবা ঘুরিয়ে মারলো
জ্যোৎস্নার ছায়াকে
ধুনির নিভন্তু আগুনে কোনো কাঠুরের দীর্ঘশ্বাস
নারীর গোপন দুঃখের মতন অন্ধকার-ঢাকা নদী,
তার কিনারে পায়ের ছাপ
ঘুমন্ত সন্ন্যাসীর পবিত্র অন্তঃকরণ থেকে
জেগে উঠলো হাহাকার,
আমি! আমি!
তাঁর শরীরে ছিঁড়ে যেতে চাইলে চার খণ্ডে
হাত তুলে তিনি ব্যাকুলভাবে আলিঙ্গন করলেন
শূন্যতা
তৃতীয় প্রহরের নিয়মিত দুঃস্বপ্নে তাঁকে
পাহারা দিতে লাগলো
তাঁর কঠিন, জাগ্রত পুরুষাঙ্গ।–