ইদানীং রাত কাবার না হ’তেই
আমার ঘুম ফুরিয়ে যায়। অর্থাৎ মধ্যরাতে
প্রায়শই আমার নিদ্রা তার জাল গুটিয়ে নেয়।
আর মধ্যরাতে হঠাৎ জেগে উঠলে
এক ধরনের আদিমতা আমাকে আচ্ছন্ন করে বারবার।
বিছানায় শুয়ে দেখি, চারপাশে বিশেষ্যগুলি
স্থিরচিত্র, যেন এয়ারপোর্টের লাউঞ্জে
অপেক্ষমাণ যাত্রী।
বিশেষণ এখন আয়নায়, সৌন্দর্য তার গ্রীবা বেয়ে
নামছে নাভিমূলে। বিশেষণের রঙ-করা চোখের পাতা
আমার ওপর নেমে আসে
(মনে পড়ে, একদা কেউ ঝুঁকেছিলো বনঘেরা নদীর জলে)
নেমে আসে আআর শরীরের মঞ্চে।
ক্সিয়া ডালিম গাছে বসে পা দোলাচ্ছে,
তার হাত লাল নীল বল ছুঁড়েছে অবিরাম।
দুটো বল দু’হাতে পড়ছে উঠছে,
তৃতীয়টি শূন্যে।
পাশ ফিরে দেখি, বাক্যবন্ধ জমাট
পরিযায়ী পাখির পংক্তির মতো আকাশে বিস্তৃত।
সংযোগী অব্যয়ের সাঁকো ঘোলা পানির ওপর
এবং, কিন্তু যদি, আওড়ে চলেছে আর
হঠাৎ কি খেয়ালে সে আমাকে ঘুমের ঝরনার সঙ্গে
যুক্ত করার জন্যে বাড়িয়ে দিলো হাত।
অথচ কিছুতের ঘুম আসতে চায় না আর।