ভোরবেলা চেয়ারে রয়েছি ব’সে বড় একা, মৃদু
ঠাণ্ডা হাওয়া ছুঁয়ে যায় বয়েসী শরীর। কাল রাত
কেটেছে আমার ক্ষ্যাপা জাগরণে।
কবিতা লিখব ব’লে কখনও টেবিলে
থেকেছি নিঝুম ঝুঁকে, কখনও করেছি পায়চারি
ঘরে আর বারান্দায়, অকস্মাৎ একটি লাইন
মগজে ঝিকিয়ে উঠে কেমন বেগানা হ’য়ে আঁধারে হারায়।
বস্তুত ক’দিন ধরে এই মতো হচ্ছে, খাতা কবরস্তানের
নিশুত রাতের শূন্যতায় মাখা আর
আমার ওপর ঝড়ঝাপ্টা যাচ্ছে ব’য়ে।
ভোরবেলা যখন তোমার কথা ভাবি, সব কিছু কি রকম
ওলট পালট হয়ে যায়, কবিতা লিখতে না পারার হা-হুতাশ
নিমেষে গায়েব হয়। অথচ তোমার সঙ্গে কখনও আমার
কোথাও হয়নি দেখা, শুধু
এইটুকু জানি, হে তরুণী, একজন
কর্মিষ্ঠ সৈনিক ভেঙে-পড়া দালানের হা-হা ধ্বংসস্তূপ থেকে
সযত্নে তুলেছে টেনে ফেলে-যাওয়া প্রাণহীন শরীর তোমার।
তুকি কি কলেজ ছাত্রী? তুমি কি আগের দিন গোধূলিবেলায়
আকাশের দিকে
তাকিয়ে ভেবেছ প্রেমিকের কথা নাকি
পরীক্ষার ফল নিয়ে ছিল দুর্ভাবনা? এমন ক্ষুর্ধাত ছিল
সুঠাম দালান, তুমি পেয়েছিলে টের কোনওদিন?
২৩.১১.৯৭