চার
গ্রাহাম চলে যেতেই, রুক্ষ পাথুরে সেতুটার কিনারায় গিয়ে পাশ থেকে উঁকি মারল ডন। নিচে, ঝিরিঝিরি বাতাসে দোল খাচ্ছে লালচে-বেগুনী ফুলগুলো। দেখে মনে হলো স্বস্তি ফিরে পেয়েছে ও।
ডনের মনোভাব আঁচ করতে পেরেই যেন এক বাহু দিয়ে ওকে জড়িয়ে ধরল কিশোর।
‘এখানে এক ফোঁটা পানিও নেই।’
‘রাতের বেলায় এখানে হাজির হয় চ্যাটারিং বোন্স্,’ বলল মনিকা, কাছেই দাঁড়িয়ে রয়েছে। ‘মনে নেই?’
কিশোর ওর উদ্দেশে ঘুরে দাঁড়াল।
‘তুমি এসব কথা বিশ্বাস কর?’
মনিকা জবাব দেয়ার আগেই, চেঁচিয়ে উঠল রবিন, ‘এটা দেখেছ?’ এক পাথরে বল্টু মেরে লাগানো ছোট্ট এক তামার ফলক দেখাল তর্জনী দিয়ে।
ফলকটিতে খোদাই করা এ শব্দ দুটি: জন’স ব্লাণ্ডার।
‘এক মিস্ত্রি মজা করে সাঁকোতে এটা লাগায়,’ এমিলি বললেন ওদেরকে। তারপর থেকে লোকের মুখে-মুখে এটা জন’স ব্লাণ্ডার নামে পরিচিত হয়ে যায়।’
ডনের ভ্রূ কুঁচকে গেছে।
‘ব্লাণ্ডার মানে কী?’
‘ব্লাণ্ডার মানে ভুল,’ বলল কিশোর। ‘মস্ত ভুল।
‘বুঝেছি,’ বলল ডন। ‘জন মস্ত ভুল করেন-যেজন্যে ঝরনার চাইতে মাপে ছোট হয়ে যায় সাঁকোটা।’
হেসে উঠলেন এমিলি।
‘জন বেচারাকে সেজন্য সারাজীবন লোকের কথাও শুনতে হয়েছে।’
ঠিক এসময় মুসার নজর কাড়ল কিছু একটা। কাছের এক পাথরে খোদাই করে এক হৃদয় আকৃতি আঁকা। হৃদয়ের মাঝখানে মেগের নাম।
ওরা সবাই দেখতে কাছিয়ে এল।
‘জন যেদিন মেগকে বিয়ের প্রস্তাব দেন সেদিন হার্টটা খুদেছিলেন,’ বললেন মিসেস ম্যাকলিন। ‘ঠিক না, এমিলি?’
‘হ্যাঁ,’ জানালেন তাঁর বান্ধবী।
‘খাইছে, কী রোমান্টিক ব্যাপার স্যাপার,’ বলল মুসা। এক আঙুল দিয়ে ‘মেগ’ লেখাটায় হাত বুলোচ্ছে, স্বপ্নাচ্ছন্নের মত স্মিত হাসি ফুটল ওর ঠোঁটে।
কিন্তু ডনের বেশি আগ্রহ রহস্যটার প্রতি।
‘চলো, আমরা সূত্র খুঁজি,’ প্রস্তাব দিল।
‘কোত্থেকে খুঁজবে কিছু ঠিক করেছ?’ বাড়ির দিকে ফেরার পথে বললেন এমিলি।
‘আমরা আশপাশের এলাকা ঘুরে দেখব ভাবছি,’ বলল রবিন। ‘ইটন’স লুপের খোঁজ পেতে চোখ খোলা রাখব।
‘হ্যাঁ,’ সায় জানাল ডন।
নীলাকাশে দৃষ্টি মেলে দিলেন মিসেস ম্যাকলিন।
‘লাঞ্চ প্যাক করে নিয়ে যাও না!’ বাতলে দিলেন। ‘কী চমৎকার আজকের দিনটা!’
‘খাসা আইডিয়া!’ বলে উঠলেন এমিলি। ‘তোমাদের পিকনিকও হয়ে যাক এই সুযোগে।’
‘হুররে!’ খুশিতে আত্মহারা ডন চিৎকার ছাড়ল।
মৃদু হাসলেন মিসেস ম্যাকলিন।
‘বনের ভেতরে ঝরনার পাশে দারুণ একটা পিকনিক স্পট আছে।’
‘বাহ, তবে আর কী চাই,’ খোশমেজাজে বলে উঠল কিশোর।
‘মনিকা, তুমি যাবে তো আমাদের সাথে?’ সাধল রবিন।
ঈষৎ হাসল মনিকা।
‘ধন্যবাদ, তবে আমি কখনও জঙ্গলের অতটা ভেতরে যাই না।’
ছেলেরা হতবাক হয়ে গেল। কেউ পিকনিকের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয় কীভাবে ভেবে পেল না ওরা।
সবাই ভেতরে ঢুকছে, এসময় এমিলি বললেন, ‘আজ রাতে কিন্তু কমিউনিটি সেন্টারে পটলাক ডিনার আছে, কাজেই সময়ের খেয়াল রেখো।’
‘পটলাক ডিনার-’ ডনের প্রশ্নটা আগেই জানা ছিল রবিনের।
‘পটলাক হচ্ছে যেখানে সবাই কিছু না কিছু খাবার নিয়ে যায়, ডন,’ ব্যাখ্যা দিল। ‘এর ফলে নানান ধরনের খাবার চাখার সুযোগ পাওয়া যায়।’
‘ও, আচ্ছা,’ দাঁত বের করে হেসে বলল ডন। তারমানে মুসা ভাইয়ের পোয়াবারো!’
‘একই দিনে পিকনিক আর পটলাক ডিনার,’ বলল কিশোর। ‘মুসাকে আর পায় কে!’
ছেলেরা ব্রেকফাস্ট ডিশগুলো ধুয়ে-মুছে রেখে, স্যাণ্ডউইচ বানাল কাউন্টারের ওপর, মুসা পাউরুটিতে মাখন মাখাল। কিশোর ওতে শসা, গাজর, লেটুস আর চাটনি যোগ করল। সরষে বাটা মেশাল ডন। আর রবিন ডনের দেয়া স্যাণ্ডউইচগুলো কেটে- কেটে পাতলা কাগজে মুড়ল।
‘মনিকা আমাদের সাথে মিশতে চায় না,’ বলল ডন, হাতের চেটোতে লেগে থাকা খানিকটা সরষে চেটে নিল।
‘কারণটা জানি না,’ বলল রবিন। ‘মেয়েটার মন বোঝা ভার।’
‘ঠিক বলেছ,’ বলল কিশোর।
‘ও এমনকী রহস্য সমাধানেও আমাদেরকে সাহায্য করতে রাজি না,’ বলল ডন, এখনও ব্যাপারটা মানতে পারছে না ও।
‘মনিকা হয়তো নতুন কারও সাথে ঠিক মানিয়ে নিতে পারে না, অস্বস্তি বোধ করে,’ চট করে বলল মুসা।
স্যাণ্ডউইচ মোড়ার সময় ভ্রূ কুঁচকে গেল রবিনের। ওর ধারণা এর পেছনে অন্য কোন কারণ আছে। মনিকার মধ্যে সবসময়ই ওদের কাছ থেকে একটা পালাই পালাই ভাব লক্ষ করেছে ও।
বড় এক থার্মোস ভর্তি লেমোনেড নিল কিশোর।
‘ওকে নিয়ে না ভেবে আমরা বরং রহস্যটা নিয়ে মাথা ঘামাই,’ বলল ও, এবং অন্যরা সহমত হলো।
ব্যাকপ্যাকে পিকনিক লাঞ্চ ভরল রবিন। ডনের প্রিয় গোলাপী কাপটা নিতেও ভুলল না।
এবার সার বেঁধে বেরিয়ে এল দরজা দিয়ে।
‘সবাই একসাথে থেকো!’ এক খোলা জানালা দিয়ে ওদের উদ্দেশে চেঁচিয়ে বললেন এমিলি। ‘হারিয়ে যেয়ো না যেন।’
‘নিশ্চিন্ত থাকুন, এমিলি,’ হাত নেড়ে বলল রবিন। :আমরা সবসময় একসাথে থাকি।’
মাঠ-ময়দান পেরিয়ে হেঁটে চলেছে ‘ছেলেরা, এক রেইল ফেন্সের কাছে গজিয়ে ওঠা এক সার পাইন গাছকে অনুসরণ করে। এক এঁদো পুকুর ঘিরে পাক খেয়ে, এক পাহাড়ের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা নিঃসঙ্গ আপেল গাছটির কাছে থেমে পড়ল বুনোফুল কুড়োতে। ওরা যখন বনভূমিতে পৌঁছল, দুপুরের সূর্য তেতে উঠেছে রীতিমত এবং ওদের ফুলগুলো শুকোতে শুরু করেছে।
‘খাইছে, খিদেয় পেট চোঁ-চোঁ করছে,’ বলল মুসা, ওরা যখন পাইন পাতায় ছাওয়া আঁকাবাঁকা এক পথ ধরে এগিয়ে চলেছে। ‘খাওয়ার সময় হয়নি?’ –
‘হয়েছে,’ বলল কিশোর। ‘এখন খেয়ে নেয়া যায়।’
‘মিসেস ম্যাকলিন বলেছিলেন ঝরনার ধারে নাকি চমৎকার এক পিকনিক স্পট আছে,’ মনে করাল ডন।
ওটা নিশ্চয়ই আরও সামনে,’ অনুমান করল রবিন ‘আরেকটু এগোই চলো।’
মুসা দ্রুতলয়ে হাঁটা দিতেই ওর পায়ের তলায় মুড়মুড় করে ভাঙতে লাগল পাইন পাতা।
‘খাইছে, জায়গাটা শীঘ্রি পেয়ে গেলেই হয়,’ বলে, খালি পেটে হাত বুলোল।
‘কী দারুণ গন্ধ এখানে!’ বলে রবিনের দিকে পিছু ফিরে চাইল ডন।
বুক ভরে পাইনের ঝাঁঝাল, মন মাতানো সুঘ্রাণ নিল রবিন। ‘সত্যিই,’ বলল।
ঠিক এমনিসময়, মুসা এমনই আচমকা থমকে দাঁড়াল যে কিশোর আরেকটু হলেই ধাক্কা খেত ওর সঙ্গে।
‘কী হলো, মুসা?’ কিশোর প্রশ্ন করল।
মুসা কাঠপুতুল হয়ে গেছে যেন।
‘মুসা?’ রবিনের কণ্ঠে উদ্বেগ। ‘তুমি ঠিক আছ তো?’
মুসা ঠোঁটে তর্জনী রেখে সবাইকে চুপ করতে বলল।
‘শোনো!’
এক মুহূর্ত নীরব রইল সবাই। এবার মাথা ঝাঁকাল কিশোর। রবিন আর ডনও সায় জানানোর ভঙ্গিতে মাথা নাড়ল। ওরাও শুনেছে। খরস্রোতা পানির কলতান।
‘এটা পাথরের ওপর দিয়ে পাহাড়ী ঝরনার বয়ে চলার শব্দ,’ বলল কিশোর। ‘আমরা কাছাকাছি এসে গেছি।’
শীঘ্রি ওরা বনভূমি ভেদ করে এঁকেবেঁকে বয়ে চলা এক ঝরনার কাছে পৌছল।
চটপট ঝরনা পারের ঘাসজমিতে গুছিয়ে বসল ছেলেরা। রবিন স্যাণ্ডউইচ বিলি করল আর সবার জন্য লেমোনেড ঢালল কিশোর।
‘খাইছে, মিসেস ম্যাকলিনের কথাই ঠিক,’ বলে এক স্যাণ্ডউইচের মোড়ক খুলল মুসা। ‘এটা সত্যিই পিকনিকের জন্যে আদর্শ জায়গা।’
চারধারে চোখ বোলাল রবিন।
‘সেতুর জন্যেও আদর্শ স্পট,’ বলে কিশোরের হাত থেকে লেমোনেডের গ্লাস নিল।
‘হুঁ, জন ইটন নিশ্চয়ই এখানেই পুরনো ওই ব্রিজটা বসাতে চেয়েছিলেন,’ বলল কিশোর।
‘ভাবছি আসলেই কি… বলতে আরম্ভ করে থেমে গেল মুসা।
‘মিস্ত্রিদের কেউ মেগের ব্রুচটা চুরি করেছিল কিনা?’ প্রশ্ন রবিনের। ‘ভাবনাটা আমার মাথাতেও এসেছে, মুসা।’
‘রুবি তো একেবারে নিশ্চিত,’ বলল মুসা।
হঠাৎই একটা চিন্তা ঘাই মারল কিশোরের মাথায়।
‘হয়তো মিস্ত্রিদের কেউ ব্রুচটা চুরি করেনি।
‘কী বলতে চাইছ?’ মুসাকে বিভ্রান্ত দেখাল।
‘হয়তো জনই মেগের ব্রুচটা হাতিয়েছিলেন।’
‘খাইছে, কে জানে!’ বলল মুসা।
‘যদি শুধু মেগের ছড়াটার মর্মোদ্ধার করা যেত,’ বলল নথি। পেছনের পকেট থেকে নোটবইটা বের করে শব্দগুলো জোরে- জোরে আওড়াল আরেকবার
শেষটা যখন শুরু,
আর শুরু যখন শেষ,
তুমি ইটন’স লুপের জট খুললে,
শুকরিয়া অশেষ।
কিন্তু কী অর্থ এই আজব ছড়াটার, কোন ধারণা নেই ওদের কারও।
মুসা হঠাৎই লক্ষ করল ডন অস্বাভাবিক রকমের চুপচাপ। বুঝল কিছু একটা নিয়ে চিন্তিত ও।
‘কী হয়েছে, ডন?’ জানতে চাইল।
পাথরের ওপর দিয়ে বয়ে চলা খরস্রোতা ঝরনাটির দিকে দৃষ্টিনিবদ্ধ ডনের।
‘কাল রাতে আমি এই শব্দটাই শুনেছি,’ মৃদুকণ্ঠে জানাল।
‘কী শব্দ, ডন?’ রবিন জবাব চাইল।
‘পাথরের ওপর দিয়ে ঝরনা বয়ে যাওয়ার কলকল শব্দ!’
অন্যরা খাওয়া থামিয়ে চেয়ে রইল ওর দিকে।
‘তখন বুঝিনি কীসের শব্দ, ডন বলল ওদেরকে। কিন্তু এখন জানি।’
‘তুমি কাল রাতে ঝরনার শব্দ শুনবে কী করে, ডন?’ কিশোর তর্ক জুড়ল। ‘এটা তো বাড়ি থেকে অনেক দূরে।’
মাথা নাড়ল ডন।
‘ওটা এই ঝরনার শব্দ নয়, কিশোরভাই। ওটা সেই ভূতটা-চ্যাটারিং বোনসের ভূত!’
‘খাইছে!’ অস্ফুটে বলে উঠল মুসা।
কিন্তু কিশোর এসব কথাকে পাত্তা দিল না।
‘আরে, ধ্যাত, ভূত-ফুত কিছু না,’ বলল। ‘ঝরনা আবার কখনও ভূত হয় নাকি?’
মুসা চকিতে চাইল কিশোরের দিকে। গা ছমছম করছে ওর দিনে-দুপুরেও।
‘ডন, তুমি স্বপ্ন দেখনি তো?’ রবিন জিজ্ঞেস করল।
‘তখন তো ভেবেছিলাম স্বপ্নই দেখেছি,’ স্বীকার করল ডন। ‘অদ্ভুত এই শব্দটার কথা ভুলেই গেছিলাম মনে পড়ল এখানে এসে।’ বড়ভাইদের দিকে চাইল ও। ‘কাল রাতে ওটা স্বপ্ন ছিল না। আমি শিয়োর।’
‘নিশ্চিত হওয়ার একটাই উপায়,’ বলল রবিন। আবার ওরকম কিছু হলে, একসাথে ব্যাপারটা পরখ করব আমরা।’
‘প্রমিজ,’ বলল মুসা
‘তোমার ওই শব্দের পেছনে নির্ঘাত কোন ব্যাখ্যা আছে, ডন,’ স্থিরনিশ্চিত শোনাল কিশোরের কণ্ঠ। ‘আমাদেরকে শুধু রহস্যটার সুরাহা করতে হবে।’
ডন বড়ভাইদের দিকে চেয়ে কৃতজ্ঞ হাসি হাসল। তারা জানে কীভাবে ওর মন ভাল করতে হয়।
লাঞ্চ সেরে, ছেলেরা জুতো-মোজা খুলে, গোড়ালী ডুবিয়ে ঝরনার হিমশীতল পানিতে দাঁড়াল। স্বচ্ছ পানির তলদেশ অবধি দেখা যাচ্ছে। পাশে হেঁটে, পাথরগুলো এড়িয়ে ভাটি অভিমুখে পানি ভেঙে এগোল ওরা। ফিরল যখন, ওদের পকেটভর্তি নানা রঙ আর আকৃতির নুড়িপাথর।
শেওলা ঢাকা তীরে ওঠার পর, কাছেই লম্বা-লম্বা ঘাসের ভেতর অর্ধেকখানি ঢাকা পড়া কী যেন একটা দৃষ্টি কাড়ল মুসার।
‘এই দেখো,’ বলে, রেশমী সুতোর কারুকাজ করা সবুজ এক হেডব্যাও তুলে ধরল ও।
‘যার জিনিস সে নিশ্চয়ই হন্যে হয়ে খুঁজছে,’ বলল রবিন।
‘মনিকা সবসময় হেডব্যাণ্ড পরে থাকে,’ মোজা পরছে, এসময় বলল ডন।
মাথা ঝাঁকাল কিশোর।
‘এটা হয়তো ওর।’
‘হয়তো,’ বলল রবিন। তবে সম্ভাবনা কম।’
সায় দিল মুসা।
‘মনিকা কখনওই জঙ্গলের এত গভীরে হাইক করে না, মনে নেই? পকেটে গুঁজল হেডব্যাণ্ডটা, আশা করছে মালিককে খুঁজে পাবে।
হাতঘড়ি দেখল কিশোর।
‘ফেরা উচিত আমাদের।’
‘হ্যাঁ,’ বলল রবিন, মনে পড়ল পটলাক ডিনারের কথা। ‘লম্বা পথ।’
একটু পরে, ছেলেরা জঙ্গল থেকে বেরনোর পথটা অনুসরণ করল, রহস্যটা সমাধানের ধারেকাছেও পৌঁছতে পারেনি। সত্যি বলতে কি, কীভাবে এর কিনারা করবে সামান্যতম ধারণাও নেই কারও। শুধু জানে ওদের চেষ্টা করে যেতে হবে।