বয়স যতই হোক, আজো অমিলের ভিড়ে মিল
খুঁজে ফিরি বন্ধ ঘরে, প্রত্যেকের থেকে অন্তরালে
একটু আলাদাভাবে থাকি কিছুকাল। কী হারালে
বিনিময়ে কী লভ্য সে কথা ভেবে কিছু ঢিল
ছোঁড়া যায় নক্ষত্রের আস্তানায়। অলোকিক ঝিল
আমার ভেতরে উচ্ছ্বসিত, অস্তিত্বের তন্তুজালে
গভীর সরোদ বেজে ওঠে। সে কোন্ সুদূর কালে
ছিলেন আমারই মতো তপোক্লিষ্ট হোমার, ভার্জিল-
এ কথা স্বরণে রেখে নিজেকেই উস্কে দেয়া যায়
মাঝে-মধ্যে; তবে এ ও জানি শূন্য ফাটা কলসের
মতো বেজে ওঠা শুধু আত্মপ্রবঞ্চককে মানায়।
তাই একা, বড় একা কাটাই প্রহর কলমের
স্পর্শে মূলহীন লাল নীল কমলের জাগরণ
দেখে, দেখে মরুবক্ষে হরিণ-কোমল ঘন বন।