দৌড়ে যায় পথের সে বালক
ডাইনে বাঁয়ে ক্লান্তিহীন একা;
রৌদ্রে তার শরীর চমকায়,
গ্রীবায় স্বেদ, বাতাসে ওড়ে চুল।
বিরামহীন ছুটছে সে বালক,
দৃষ্টি শুধু সামনে লীলায়িত।
রক্তের নাচে কী-যে অস্থিরতা,
রঙিন এক বেলুন তার হাতে।
চোখের কোণে চড়ুইভাতি আর
স্বপ্নে দেখা সুদূর হ্রদ নিয়ে
ছুটছে শুধু, ছুটছে সে বালক।
অবাক মানে শহুরে সব লোক।
ছায়ার দিকে দৃষ্টি নেই, কড়া
রোদের তাপে চামড়া খরশান।
এ রং শুধু আফ্রিকার কিবা
সূর্য-সেঁকা তীব্র এশিয়ার।
কেউ না কেউ হাত বাড়াবে বলে
বেলুন তার আড়াল করে ছোটে,
দিগ্ধিদিক; পেছনে লোকালয়।
কিন্তু একি পাহাড় ভয়ানক!
যাচ্ছে ডুবে যাচ্ছে সে বালক
কেমন দ্রুত পাহাড়ে অস্ত্রের।
কোথাও আর চিহ্ন নেই তার,
শূন্যে একা বেলুন ওড়ে দূরে।