বৃত্তের মাঝখানে
মৌমাছিটা শুকনো ফুলকে ছুঁল না, সে কাল
ওখানে রভস করেছিল
বেড়ার ধারে সদ্য যৌবনবতী রঙ্গন ও টগরেরা
নাচ শুরু করে দিয়েছে
সেজেছে খুব
গুঁড়ো গুঁড়ো বৃষ্টি খেয়েছে, নেশা করেছে
ভোরের বাতাসে চুমুক দিয়ে
ওরা ডাকছে, বুকের ওড়না খুলে ডাকছে মৌমাছিটাকে
আমি এই রতি-চঞ্চলতা উপভোগ করি, শুনতে পাই
মৌন শীৎকার
বেশিক্ষণ না
একটা গুণ্ডামতন সবল ছাগল দু’পা উঁচিয়ে
বেড়ার ওপর মুখ বাড়ায় রাক্ষসের মতন
প্রেম ও ধ্বংসের শব্দের মধ্যে প্রথমে খুব একটা
তফাত বোঝা যায় না
ধারালো দাঁতে পিষে যাচ্ছে ফুলগুলো, তবু মনে হয় খেলা
ক্রমশ হতে থাকে রং ও সারল্যের বিনাশ
আমি বাধা দিই না, ফুল আমার প্রেমিকা নয়, মৌমাছির
এটা আমার বাগান নয়, ডাকবাংলো
ছাগলটাকে তার খিদের খাদ্য থেকে বঞ্চিত করব কেন
কিছুক্ষণের মধ্যেই নাটকের পরবর্তী দৃশ্য
লুঙ্গি পরা, বেঁটে লাঠি হাতে একটা লোক
ছুটতে ছুটতে এসে ছাগলটার গলা চেপে ধরল
নিষ্ঠুরভাবে ছ্যাঁচড়াতে ছ্যাঁচড়াতে নিয়ে গেল মাঠ পেরিয়ে
ঐ দিকেই বুঝি কশাইখানা?
এই লৌকিক বৃত্তের মাঝখানে আমি একটা অলৌকিক বিন্দু…