হাদিস ৫৪৩
মাহমূদ (র.)……আব্দুল্লাহ্ইব্ন উমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, এক রাতে কর্মব্যস্ততার কারণে রাসূলুল্লাহ্(সা.) ইশার সালাত আদায়ে দেরী করলেন, এমন কি আমরা মসজিদে ঘুমিয়ে পড়লাম। তারপর জেগে উঠে আবার ঘুমিয়ে পড়লাম। এরপর আবার জেগে উঠলাম। তখন রাসূলুল্লাহ্(সা.) আমাদের কাছে এলেন, তারপর বললেনঃ তোমরা ব্যতীত পৃথিবীর আর কেউ এ সালাতের জন্য অপেক্ষা করছে না। ঘুম প্রবল হওয়ার কারণে এশার সালাত বিনষ্ট হওয়ার আশংকা না থাকলে ইব্ন উমর (রা.) তা আগেভাগে বা বিলম্ব করে আদায় করতে দ্বিধা করতেন না। কখনও কখনও তিনি ইশার আগে নিদ্রাও যেতেন। ইব্ন জুরাইজ (র.) বলেন, এ বিষয়ে আমি আতা (র.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, আমি ইব্ন আব্বাস (রা.)-কে বলতে শুনেছি যে, এক রাতে রাসূলুল্লাহ্(সা.) ইশার সালাত আদায় করতে দেরী করেছিলেন, এমন কি লোকজন একবার ঘুমিয়ে জেগে উঠল, আবার ঘুমিয়ে পড়ে জাগ্রত হল। তখন উমর ইব্ন খাত্তাব (রা.) উঠে গিয়ে রাসূলুল্লাহ্(সা.)-কে বললেন, ‘আস-সালাত’। আতা(র.) বলেন যে, ইব্ন আব্বাস (রা.) বর্ণনা করেছেন, তারপর আল্লাহর নবী (সা.) বেরিয়ে এলেন-যেন এখনো আমি তাঁকে দেখছি- তাঁর মাথা থেকে পানি টপ্কে পড়ছিল এবং তাঁর হাত মাথার উপর ছিল। তিনি এসে বললেনঃ যদি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে এভাবে (বিলম্ব করে) ইশার সালাত আদায় করার নির্দেশ দিতাম। ইব্ন জুরাইজ (র.) বলেন, ইব্ন আব্বাস (রা.) – এর বর্ণনা অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ্(সা.) যে মাথায় হাত রেখেছিলেন তা কিভাবে রেখেছিলেন, বিষয়টি সুস্পষ্ট করে ব্যাখ্যা করার জন্য আতা (র.)-কে বললাম। আতা (র.) তাঁর আঙ্গুলগুলো সামান্য ফাঁকা করলেন, তারপর সেগুলোর অগ্রভাগ সম্মুখ দিক থেকে (চুলের অভ্যন্তরে) প্রবেশ করালেন। তারপর আঙ্গুলীগুলো একএিত করে মাথার উপর দিয়ে এভাবে টেনে নিলেন যে, তার বৃদ্ধাঙ্গুলী কানের সে পার্শবকে স্পর্শ করে গেল যা মুখমন্ডল সংলগ্ন চোয়ালের হাড্ডির উপর শ্মশ্রুর পাশে অবস্থিত। তিনি নবী (সা.) চুলের পানি ঝরাতে কিংবা চুল চাপড়াতে এরূপই করতেন। এবং তিনি বলেছিলেনঃ যদি আমার উম্মাতের জন্য কষ্টকর হবে বলে মনে না করতাম, তাহলে তাদেরকে এভাবেই (বিলম্ব করে) সালাত আদায় করার নির্দেশ দিতাম।