হাদিস ৫০০
মুসাদ্দাদ (র.)……হুযাইফা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমরা উমর (রা.) – এর কাছে বসা ছিলাম। তছন তিনি বললেন, ফিত্না সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ্(সা.) – এর বক্তব্য তোমাদের মধ্যে কে স্মরণ রেখেছ? হযরত হুযাইফা (রা.) বললেন, ‘যেমনি তিনি বলেছিলেন হুবহু তেমনিই আমি মনে রেখেছি’। উমর (রা.) বললেন, রাসূলুল্লাহ্(সা.) – এর বাণী স্মরণ রাখার ব্যপারে তুমি খুব দৃঢ়তার পরিচয় দিচ্ছ। আমি বললাম, (রাসূলুল্লাহ্(সা.) বলেছিলেন) মানুষ নিজের পরিবার-পরিজন, ধন-সম্পদ, সন্তান-সন্ততি, পাড়া-প্রতিবেশীদের ব্যাপারে যে ফেত্নায় পতিত হয়-সালাত, সিয়াম, সাদাকা, (ন্যায়ের) আদেশ ও (অন্যায়ের) নিষেধ তা দূরীভূত করে দেয়। হযরত উমর(রা.) বললেন, তা আমার উদ্দেশ্যে নয়। বরং আমি সেই ফিত্নার কথা বলছি, যা সমুদ্র তরঙ্গের ন্যায় ভয়াল হবে। হুযাইফা (রা.) বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! সে ব্যাপারে আপনার ভয়ের কোন কারন নেই। কেননা, আপনার ও সে ফিত্নার মাঝখানে একটি বন্ধ দরজা রয়েছে। হযরত উমর (রা.) জিজ্ঞাসা করলেন, সে দরজাটি ভেঙ্গে ফেলা হবে, না খুলে দওয়া হবে? হুযাইফা (রা.) বললেন, ভেঙ্গে ফেলা হবে। উমর (রা.) বললেন, তাহলে তো আর কোন দিন তা বন্ধ করা যাবে না। [হুযাইফা (রা.) – এর ছাএ শাকীক (র.) বললেন], আমরা জিজ্ঞাসা করতে আমার ভয় পাছিলাম। তাই, আমরা মাসরূক (র.) – কে বললাম এবং তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেন, দরজাটি উমর (রা.) নিজেই।