হাদিস ৪১৬
মুসাদ্দাদ (র) ……আনাস ইবনে মালিক (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন: নবী (সা) মদিনায় পৌঁছে প্রথমে মদীনার উচ্চ এলাকায় অবস্থিত বানূ ‘আমর ইবনে আউফ’ নামক গোত্রে উপনীত হন। তাদের সঙ্গে নবী (সা) চৌদ্দ দিন (অপর বর্ণনায় চব্বিশ দিন) অবস্থান করেন। তারপর তিনি বানূ নাজ্জারকে ডেকে পাঠালেন। তারা কাঁধে তলোয়ার ঝুলিয়ে উপস্থিত হলো। আমি যেন এখনো সে দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি যে, নবী (সা) ছিলেন তার বাহনের উপর, আবূ বকর (রা) সে বাহনেই তাঁর পেছনে আর বানূ নাজ্জারের দল তাঁর আশেপাশে। অবশেষে তিনি আবূ আইয়্যুব আনসারী (রা) এর ঘরে সামনে অবতরণ করলেন। নবী (সা) যেখানেই সালাতের ওয়াক্ত হয় সেখানেই সালাত আদায় করতে পছন্দ করতেন এবং তিনি ছাগল-ভেড়ার খোয়ারেও সালাত আদায় করতেন। এখন তিনি মসজিদ তৈরী করার নির্দেশ দেন। তিনি বানূ নাজ্জারকে ডেকে বললেন: হে বানূ নাজ্জার! তোমরা আমার কাছ থেকে তোমাদের এই বাগিচার মূল্য নির্ধারণ কর। তারা বললোঃ আল্লাহর কসম, আমরা এর দাম নেব না। এর দাম আমরা একমাত্র আল্লাহর কাছেই আশা করি। আনাস (রা) বলেন: আমি তোমাদের বলছি, এখানে মুশরিকদের এবং ভগ্নাবশেষ ছিল। আর ছিল খেজুরের গাছ। নবী (সা) এর নির্দেশে মুশরিকদের কবর খুরে ফেলা হলো। তারপর ভগ্নাবশেষ সমতল করে দেয়া হলো, খেজুরের গাছ গুলো কেটে ফেলা হলো এবং এর দুই পাশে পাথর বসানো হলো। সাহাবীগণ পাথর তুলতে তুলতে ছন্দোবদ্ধ কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। আর নবী (সা)-ও তাঁদের সাথে ছিলেন। তিনি তখন বলছিলেন:
“ইয়া আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণ ছাড়া (প্রকৃতপক্ষে) আর কোন কল্যাণ নেই। আপনি আনসার ও মুহাজিরগণকে ক্ষমা করে দিন।