হাদীস নং ৯২৭
ইসহাক ইবনে ইবরাহীম ইবনে নাসর রহ………..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদুল ফিতরের দিন দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলেন, পরে খুতবা দিলেন। খুতবা শেষে নেমে মহিলাণের নিকট আসলেন এবং তাদের নসীহত করলেন। তখন তিনি বিলাল রা.-এর হাতের উপর ভর দিয়ে ছিলেন এবং বিলাল রা. তাঁর কাপড় প্রসারিত করে ধরলেন। মহিলাগণ এতে দান সামগ্রী ফেলতে লাগলেন (আমি ইবনে জুরাইজ) আতা রহ.কে জিজ্ঞাসা করলাম, এ কি ঈদুল ফিতরের সাদকা ? তিনি বললেন, না, বরং এ সাধারণ সাদকা যা তাঁরা ঐ সময় দিচ্ছিলেন। কোন মহিলা তাঁর আংটি দান করলে অন্যান্য মহিলাগণও তাদের আংটি দান করতে লাগলেন। আমি আতা রহ. কে (আবার) জিজ্ঞাসা করলাম, মহিলাগণকে উপদেশ দেওয়া কি ইমামের জন্য জরুরী ? তিনি বললেন, অবশ্যই, তাদের উপর তা জরুরী। তাদের (ইমামগণ) কি হয়েছে যে, তাঁরা এরূপ করবেন না ? ইবনে জুরাইজ রহ. বলেছেন, হাসান ইবনে মুসলিম রহ. তাউস রহ. এর মাধ্যমে ইবনে আব্বাস রা. থেকে আমার নিকট বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর, উমর ও উসমান রা -এর সংগে ঈদুল ফিতরে আমি উপস্থিত ছিলাম। তাঁরা খুতবার আগে সালাত আদায় করতেন, পরে খুতবা দিতেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বের হলেন, আমি যেন দেখতে পাচ্ছি তিনি হাতের ইশারায় (লোকদের) বসিয়ে দিচ্ছেন। এরপর তাদের কাতার ফাক করে অগ্রসর হয়ে মহিলাদের কাছে এলেন। বিলাল রা. তাঁর সঙ্গে ছিলেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআনের এ আয়াত পাঠ করলেন : “হে নবী ! যখন ঈমানদার মহিলাগণ আপনার নিকট এ শর্তে বায়আত করতে আসেন………..(সূরা মুমতাহিনা : ১২)। এ আয়াত শেষ করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা এ বায়আতের উপর আছ ? তাদের মধ্যে একজন মহিলা বলল, হ্যাঁ, সে ছাড়া আর কেউ এর জবাব দিল না। হাসান রহ. জানেন না, সে মহিলা কে ? এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তোমরা সাদকা কর। সে সময় বিলাল রা. তাঁর কাপড় প্রসারিত করে বললেন, আমার মা-বাপ আপনাদের জন্য কুরবান হোক, আসুন , আপনারা দান করুন। তখন মহিলাগণ তাদের ছাট-বড় আংটি গুলো বিলাল রা. -এর কাপড়ের মধ্যে ফেলতে লাগলেন। আবদুর রাজ্জাক রহ. বলেন ‘আল-ফাতখ’ হলো বড় আংটি যা জাহেলী যুগে ব্যবহৃত হত।