হাদিস নম্বরঃ ৫৪০১ | 5401 | ۵٤۰۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৪৮. কম্বল ও কারুকার্যপূর্ণ চাদর পরিধান করা
৫৪০১। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চাদর গায়ে দিয়ে সাদাত আদায় করলেন। চাঁদরটি ছিল কারুকার্য খচিত। তিনি কারুকার্যের দিকে এক দিকে তাকালেন, তারপর সালাম ফিরিয়ে বললেনঃ এ চাদরটি আবূ জাহমের কাছে নিয়ে যাও। কারণ এখনই তা আমার সালাত (নামায/নামাজ) থেকে অন্যমনস্ক করে দিয়েছে। আর আবূ জাহম ইবনু হুযায়ফার আনবিজানিয়্যা (কারুকার্য বিহীন চাদর)-টি আমার জন্য নিয়ে এসো। সে হচ্ছে আদি ইবনু কাব গোত্রের লোক।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪০২ | 5402 | ۵٤۰۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৪৯. কাপড় মুড়ি দিয়ে বসা
৫৪০২। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুলামাসা’ ও ‘মুনাবাযা’ থেকে নিষেধ করেছেন এবং দু’ সময়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা থেকেও অর্থাৎ ফজরের (সালাত (নামায/নামাজ) এর) পর সূর্য উপরে উঠা পর্যন্ত এবং আসরের (সালাত (নামায/নামাজ) এর) পর সূর্যান্ত পর্যন্ত। আরও নিষেধ করেছেন একটি মাত্র কাপড় এমনভাবে পড়তে, যাতে লজ্জাস্থানের উপরে তার ও আকাশের মাঝখানে আর কিছুই থাকে না। আর তিনি কাপড় মুড়ি দিয় বসতে নিষেধ করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪০৩ | 5403 | ۵٤۰۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৪৯. কাপড় মুড়ি দিয়ে বসা
৫৪০৩। ইয়াহ্ইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ প্রকার কাপড় পরিধান করতে ও দু প্রকার ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। ক্রয়-বিক্রয়ে তিনি ‘মূলামাসা’ ও ‘মুনাবাযা’ থেকে নিষেধ করেছেন। মুলামাসা হল রাতে বা দিনে একজন অপর জনের কাপড় হাত দিয়ে স্পর্শ করা। এইটুকু ছাড়া তা আর উলট-পালট করে দেখে না। আর মুনাবাযা হল- এক লোক অন্য লোকের প্রতি তার কাপড় নিক্ষেপ করা। আর দ্বিতীয় ব্যাক্তিও তার কাপড় নিক্ষেপ করা, এবং এর দ্বারাই তাদের ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হওয়া, দেখা ও পারস্পরিক সম্মতি ব্যতিরেকেই। আর দু’প্রকার পোশাক পরিধানের (এর এক প্রকার) হচ্ছে ইশতিমালুস-সাম্মা। সাম্মা হল এক কাঁধের উপর কাপড় এমনভাবে রাখা যাতে অন্য কাঁধ খালি থাকে, কোন কাপড় থাকে না। পোশাক পরার অন্য প্রকার হচ্ছে বসা অবস্থায় নিজের কাপড় দ্বারা নিজেকে এমনভাবে ঘিরে রাখা। যাতে লজ্জাস্থানের উপর কাপড়ের কোন অংশ না থাকে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪০৪ | 5404 | ۵٤۰٤
পরিচ্ছদঃ ২৩৫০. এক কাপড়ে পেঁচিয়ে বসা
৫৪০৪। ইসমাঈল (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ধরনের কাপড় পরতে নিষেধ করেছেন। একটি কাপড়ে পুরুষের এমনভাবে পেঁচিয়ে থাকা যে, তার লজ্জাস্থানের উপর সে কাপড়ের কোন অংশই থাকে না। আর একটি কাপড় এমনভাবে পেঁচিয়ে পরা যে, শরীরের এক অংশ খোলা থাকে। আর ‘মুলামাসা’ ও ‘মুনাবাসা’ থেকেও (তিনি নিষেধ করেছেন)।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪০৫ | 5405 | ۵٤۰۵
পরিচ্ছদঃ ২৩৫০. এক কাপড়ে পেঁচিয়ে বসা
৫৪০৫। মুহাম্মদ (রহঃ) … আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন শরীরের এক পাশ খোলা রেখে অন্য পাশ ঢেকে পরতে। আর এক কাপড়ে পুরুষকে এমনভাবে ঢেকে বসতে, যাতে তার লজ্জাস্থানের উপর ঐ কাপড়ের কোন অংশ না থাকে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪০৬ | 5406 | ۵٤۰٦
পরিচ্ছদঃ ২৩৫১. নকশীদার কালো চাদর
৫৪০৬। আবূ নুআইম (রহঃ) … উম্মে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু কাপড় নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে কিছু কালো নকশীদার ছোট চাদর ছিল। তিনি বললেনঃ আমরা এগুলো পরবো, তোমাদের মত কি? উপস্থিত সবাই নীরব থাকলো। তারপর তিনি বললেনঃ উম্মে খালিদকে আমার কাছে নিয়ে এসো। তাকে বহন করে আনা হল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতে একটি চাদর নিলেন এবং তাকে পরিয়ে দিলেন। এরপর বললেনঃ (এটি) তুমি পুরান কর ও ছিড়ে ফেল (অথাৎ তুমি দীর্ঘজীবী হও)। ঐ চাদরে সবুজ অথবা হলুদ রঙের নকশী ছিল। তিনি বললেনঃ হে খালেদের মা! এ খানি কত সুন্দর! তিনি হাবশী ভাষায় বললেনঃ সানাহ অর্থাৎ সুন্দর।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪০৭ | 5407 | ۵٤۰۷
পরিচ্ছদঃ ২৩৫১. নকশীদার কালো চাদর
৫৪০৭। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বললেনঃ উম্মে সুলায়ম (রাঃ) যখন একটি সন্তান প্রসব করলেন তখন আমাকে জানালেন, হে আনাস! শিশুটিকে দেখ, যেন সে কিছু না খায়, যতক্ষণ না তুমি একে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট নিয়ে যাও, তিনি এর তাহনীক করবেন। আমি তাকে নিয়ে গেলাম। দেখলাম, তিনি একটা বাগানের মধ্যে আছেন, আর তার পরিধানে হুবায়সিয়া নামক চাদর রয়েছে। তিনি যে উটে করে মক্কা বিজয়ের দিনে অভিযানে গিয়েছিলেন তার পিঠে ছিলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪০৮ | 5408 | ۵٤۰۸
পরিচ্ছদঃ ২৩৫২. সবুজ পোশাক
৫৪০৮। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … ইকরামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রিফাআ তার স্ত্রীকে তালাক দেয়। পরে আবদুর রহমান কুরাযী তাকে বিবাহ করে। আয়িশা (রাঃ) বলেনঃ তার গায়ে একটি সবুজ রঙের উড়না ছিল। সে আয়িশা (রাঃ) এর নিকট অভিযোগ করলেন এবং (স্বামীর প্রহারের দরুন) নিজের গায়ের চামড়ার সবুজ বর্ণ দেখালো। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন এলেন, আর লোকেরা একে অন্যের সহযোগিতা করে থাকে, তখন আয়িশা (রাঃ) বললেনঃ কোন মুমিন মহিলাকে এমনভাবে প্রহার করতে আমি কখনও দেখিনি। মহিলাটির চামড়া তার কাপড়ের চেয়ে অধিক সবুজ হয়ে গেছে। বর্ণনকারী বলেনঃ আবদুর রহমান শুনতে পেল যে, তার স্ত্রী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসেছে। সুতরাং সেও তার অন্য স্ত্রীর দুটি ছেলের সাথে করে এলো। স্ত্রীলোকটি বললঃ আল্লাহর কসম! তার উপর আমার এ ছাড়া আর কোন অভিযোগ নেই সে, তার কাছে যা আছে, তা আমাকে এ জিনিসের চেয়ে বেশী তৃপ্তি দেয় না। এ বলে তার কাপড়ের আচল ধরে দেখান।
আবদূর রহমান বললঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে মিথ্যা কাছে, আমি তাকে ধোলাই করি চামড়া ধোলাই করার ন্যায়। (অর্থাৎ পূর্ণ শক্তির সাথে দীর্ঘস্থায়ী সঙ্গম করি)। কিন্তু সে অবাধ্য স্ত্রী, রিফাআর কাছে ফিরে যেতে চায়। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ব্যাপার যদি তাই হল তাহলে রিফাআ তোমার জন্য হারাম হবে না, অথবা তুমি তার যোগ্য হতে পার না, যতক্ষন না আবদুর রহমান তোমার সুধা আস্বাদন করবে। বর্ণনাকারী বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমানের সাথে তার পুত্রদ্বয়কে দেখে বললেনঃ এরা কি তোমার পুত্র? সে বললঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এই আসল ব্যপার, যে জন্য স্ত্রী লোকটি এরূপ করছে। আল্লাহর কসম কাকের সাথে কাকের যেমন সা’দৃশ থাকে, তার চেয়েও অধিক মিল রয়েছে ওদের সাথে এর (অর্থাৎ আবদুর রহমানের সাথে তার পুত্রদের)।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪০৯ | 5409 | ۵٤۰۹
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৩. সাদা পোশাক
৫৪০৯। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী (রহঃ) … সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ উহুদের দিন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ডানে ও বামে দুজন পুরুষ লোককে দেখতে পেলাম। তাদের পরিধানে সাদা পোশাক ছিল। তাদের এর আগেও দেখিনি আর পরেও দেখিনি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১০ | 5410 | ۵٤۱۰
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৩. সাদা পোশাক
৫৪১০। আবূ মা’মার (রহঃ) … আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট আসলাম। তার পরিধানে তখন সাদা পোশাক ছিল। তখন তিনি নিদ্রিত ছিলেন। কিছুক্ষণ পর আবার এলাম, তখন তিনি জেগে গেছেন। তিনি বললেনঃ যে কোন বান্দা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে এবং এ অবস্থার উপরে মারা যাবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললামঃ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে? তিনি বললেনঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও। আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে তবুও? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ সে যদি যিনা করে, সে যদি চুরি করে তবুও। আমি বললামঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও? তিনি বললেনঃ যদি সে যিনা করে, যদি সে চুরি করে তবুও। আবূ যারের নাসিকা ধুলাচ্ছন্ন হলেও। আবূ যার (রাঃ) যখনই এ হাদীস বর্ণনা করতেন তখনি আবূ যারের নাসিকা ধূলাচ্ছন্ন হলেও বাক্যটি বলতেন।
আবূ আবদুল্লাহ ইমাম বুখারী) বলেন এ কথা প্রযোজ্য হয় মৃত্যুর সময় বা তার পূর্বে যখন সে তাওবা করে ও লজ্জিত হয় এবং বলে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, তখন তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১১ | 5411 | ۵٤۱۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৪. পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরা, রেশমী চাদর বিছানো এবং কী পরিমাণ রেশমী কাপড় ব্যবহার বৈধ
৫৪১১। আদম (রহঃ) … কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আবূ উসমান নাহদী এর থেকে শুনেছি, তিনি বলেছেনঃ আমাদের কাছে উমর (রাঃ) এর থেকে এক পত্র আসে, এ সময় আমরা উতবা ইবনু ফারকাদের সঙ্গে অবস্থান করছিলাম। (তাতে লেখা ছিল) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশম ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন, তবে এতটুকু এবং ইশারা করলেন, বৃদ্ধা আঙ্গুলের সাথে মিলিত দু’আঙ্গুল দ্বারা (বর্ননাকারী বলেনঃ) আমরা বুঝলাম যে (বৈধতার পরিমাণ) জানিয়ে তিনি পাড় ইত্যাদি উদ্দেশ্য করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১২ | 5412 | ۵٤۱۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৪. পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরা, রেশমী চাদর বিছানো এবং কী পরিমাণ রেশমী কাপড় ব্যবহার বৈধ
৫৪১২। আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) … আবূ উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা আজারবাইজানে ছিলাম। এ সময় উমর (রাঃ) আমাদের কাছে লিখে পাঠান যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রেশমী কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন; কিন্তু এতটুকু এবং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর দুআঙ্গুল দ্বারা এর পরিমাণ আমাদের বলে দিয়েছেন। যুহায়র মধ্যমা ও শাহাদাত আঙ্গুল তুলে ধরে দেখিয়েছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১৩ | 5413 | ۵٤۱۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৪. পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরা, রেশমী চাদর বিছানো এবং কী পরিমাণ রেশমী কাপড় ব্যবহার বৈধ
৫৪১৩। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবূ উসমান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে আমরা উকবার সাথে ছিলাম। উমর (রাঃ) তার কাছে লিখে পাঠান যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাকে আখিরাতে রেশম পরিধান করানো হবে না সে ব্যতীত অন্য কেউ দুনিয়ার রেশম পরিধান করবে না। হাসান ইবনু উমর (রহঃ) … আবূ উসমান (রহঃ) তার দু’আঙ্গুল অর্থাৎ শাহাদাত ও মধ্যমা দ্বারা ইঙ্গিত করলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১৪ | 5414 | ۵٤۱٤
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৪. পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরা, রেশমী চাদর বিছানো এবং কী পরিমাণ রেশমী কাপড় ব্যবহার বৈধ
৫৪১৪। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … ইবনু আবূ লায়লা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন হুযায়ফা (রাঃ) মাদাইনে অবস্থানরত ছিলেন। তিনি পানি পান করতে চাইলেন। এক গ্রাম্য লোক একটি রূপার পাত্রে কিছু পানি নিয়ে আসলো। হুযায়ফা (রাঃ) তা ছুঁড়ে মারলেন এবং বললেনঃ আমি ছুঁড়ে মারতাম না; কিন্তু আমি তাকে নিষেধ করেছি, সে নিবৃত হয়নি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সোনা, রুপা, পাতলা ও মোটা রেশম তাদের জন্য (কাফিরদের জন্য) দুনিয়ায় এবং তোমাদের (মুসলিমদের) জন্য পরকালে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১৫ | 5415 | ۵٤۱۵
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৪. পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরা, রেশমী চাদর বিছানো এবং কী পরিমাণ রেশমী কাপড় ব্যবহার বৈধ
৫৪১৫। আদম (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। শুবা (রহঃ) বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ এ কথা কি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত? তিনি জোর দিয়ে বললেনঃ হ্যাঁ! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। যে ব্যাক্তি দুনিয়ায় রেশমী কাপড় পরিধান করবে, সে আখিরাতে তা কখনও পরিধান করতে পারবে না।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১৬ | 5416 | ۵٤۱٦
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৪. পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরা, রেশমী চাদর বিছানো এবং কী পরিমাণ রেশমী কাপড় ব্যবহার বৈধ
৫৪১৬। আলী ইবনু জা’দ (রহঃ) … উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক দুনিয়ায় রেশমী কাপড় পরবে, পরকালে সে তা পরবে না।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১৭ | 5417 | ۵٤۱۷
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৪. পুরুষের জন্য রেশমী পোশাক পরা, রেশমী চাদর বিছানো এবং কী পরিমাণ রেশমী কাপড় ব্যবহার বৈধ
৫৪১৭। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … ইমরান ইবনু হিত্তান (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশা (রাঃ) এর নিকট রেশম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকটে যাও এবং তাকে জিজ্ঞাস কর। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন। ইবনু উমরের নিকট জিজ্ঞেস কর। ইবনু উমরকে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ আবূ হাফস অর্থাৎ উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুনীয়ায় রেশমী কাপড় সে ব্যাক্তই পরবে, যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। আমি বললামঃ তিনি সত্য বলেছেন। আবূ হাফস রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর মিথ্যা আরোপ করেননি।
আবদুল্লাহ ইবনু রাজা (রহঃ) … ইমরানের সুত্রে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১৮ | 5418 | ۵٤۱۸
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৫. পরিধান না করে রেশমী কাপড় স্পর্শ করা। এ সম্পর্কে যুবায়দীর সুত্রে আনাস (রাঃ) থেকে নবী (সাঃ) এর হাদিস বর্ণিত আছে
৫৪১৮। উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) … বারা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য একখানা রেশমী কাপড় হাদিয়া পাঠানো হয়। আমরা তা স্পর্শ করলাম এবং বিস্ময় প্রকাশ করলাম। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা এতে বিস্ময় প্রকাশ করছো? আমরা বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ জান্নাতে সা’দ ইবনু মুআযের রুমাল এর চাইতে উত্তম হবে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪১৯ | 5419 | ۵٤۱۹
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৬. রেশমী কাপড় বিছানো। আবীদা বলেন, এটা পরিধানের তুল্য
৫৪১৯। আলী (রহঃ) … হুয়ায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সোনা ও রুপার পাত্রে পানাহার করতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি মোটা ও মিহিন রেশমী কাপড় পরিধান করতে ও তাতে বসতে বারণ করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২০ | 5420 | ۵٤۲۰
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৭. কাসসী পরিধান করা। আসিম আবূ বুরদাহ হতে বর্ণিত । তিনি বলেন, আমি ‘আলী (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কাসসী’ কী? তিনি বললেন, এক প্রকার কাপড় –যা শাম (সিরিয়া) অথবা মিশর থেকে আমাদের দেশে আমদানী হয়ে থাকে। চওড়া দিক থেকে নকশা করা হয়, তাতে রেশম থাকে এবং উৎরুনজের মত তা কারুকার্যখচিত হয়। আর মীসারা এমন বস্র, যা স্ত্রী লোকেরা তাদের স্বামীদের জন্য প্রস্তুত করে, মখমলের চাদরের মত তা হলুদ বর্ণের হয়ে থাকে। জারীর ইয়াযীদ থেকে বর্ণনা করেন, তাঁর বর্ণনায় আছে- কাসসী হল নকশীওয়ালা কাপড় যা মিশর থেকে আমদানী হয়, তাতে রেশম থাকে। আর মীছারা হলো হিংস্র জন্তুর চামড়া
৫৪২০। মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল (রহঃ) … বারা ইবনু অযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের লাল রঙের মীছারা ও কাসসী পরতে নিষেধ করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২১ | 5421 | ۵٤۲۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৮. চর্মরোগের কারণে পুরুষের জন্য রেশমী কাপড়ের অনুমতি
৫৪২১। মুহাম্মদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়ের ও আবদুর রহমান (রাঃ) কে তাদের চর্মরোগের কারণে রেশমী কাপড় পরার অনুমতি দিয়েছিলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২২ | 5422 | ۵٤۲۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৯. মহিলাদের রেশমী কাপড় পরিধান করা
৫৪২২। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে একটি রেশমী হুল্লা পরতে দেন। আমি তা পরে বের হই। কিন্তু তাঁর (নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) চেহারায় অসন্তোষের ভাব লক্ষ্য করি। সুতরাং আমি তা ফেঁড়ে আমার পরিবারের মহিলাদের মধ্যে বণ্টন করে দেই।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২৩ | 5423 | ۵٤۲۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৯. মহিলাদের রেশমী কাপড় পরিধান করা
৫৪২৩। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উমর (রাঃ) একটি রেশমী হুল্লা বিক্রী হতে দেখে বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি যদি এটি খরীদ করে নিতেন, তা হলে যখন কোন প্রতিনিধি দল আপনার কাছে আসে তখন এবং জুমুআর দিনে পরিধান করতে পারতেন। তিনি বললেনঃ এটা সে ব্যক্তিই পরতে পারে যার আখিরাতে কোন অংশ নেই। পরবর্তী সময়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমর (রাঃ) এর নিকট ডোরাকাটা রেশমী হুল্লা পাঠান। তিনি কেবল তাকেই পরতে দেন। উমর (রাঃ) বললেন আপনি এখনি আমাকে পরতে দিয়েছেন, অথচ এ সম্পর্কে যা বলার তা আমি আপনাকে বলতে শুনেছি। তিনি বললেন আমি তোমার কাছে এজন্য পাঠিয়েছি যে তুমি এটি বিক্রি করে দিবে অথবা কাউকে পরতে দিবে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২৪ | 5424 | ۵٤۲٤
পরিচ্ছদঃ ২৩৫৯. মহিলাদের রেশমী কাপড় পরিধান করা
৫৪২৪। আবূল ইয়ামন (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কন্যা উম্মে কুলসুমের পরিধানে হালকা নকশা করা রেশমী চাদর দেখেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২৫ | 5425 | ۵٤۲۵
পরিচ্ছদঃ ২৩৬০. নাবী (সাঃ) কী ধরনের পোশাক ও বিছানা গ্রহণ করতেন
৫৪২৫। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি এক বছর যাবত অপেক্ষায় ছিলাম যে, উমর (রাঃ) এর কাছে সে দু’টি মহিলা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবো যারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বিরুদ্ধে জোট বেঁধে ছিলো। কিন্তু আমি তাকে খুব ভয় করে চলতাম। একদিন তিনি কোন এক স্থানে নামলেন এবং (প্রাকৃতিক প্রয়োজনে) আরাক গাছের কাছে গেলেন। যখন তিনি বেরিয়ে এলেন, আমি তাকে (সে সম্পর্কে) জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেনঃ (তারা হলেন) আয়িশা (রাঃ) ও হাফস (রাঃ)। এরপর তিনি বললেনঃ জাহিলী যুগে আমরা নারীদের কোন কিছু বলে গন্যই করতাম না। যখন ইসলাম আবির্ভূত হলো এবং (কুরআনে) আল্লাহ তাদের (মর্যাদার কথা) উল্লেখ করলেন। তাতে আমরা দেখলাম যে, আমাদের উপর তাদের হক আছে এবং এতে আমাদের হস্তক্ষেপ করা চলবে না।
একদা আমার স্ত্রী ও আমার মধ্যে কিছু কথাবার্তা হাচ্ছিল। সে আমার উপর রুঢ় ভাষা ব্যবহার করলো। আমি তাকে বললামঃ তুমি তো সে স্থানেই। স্ত্রী বললেনঃ তুমি আমাকে এরূপ বলছ, অথচ তোমার কন্যা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কষ্ট দিচ্ছে। এরপর আমি হাফসার কাছে এলাম এবং বললাম আল্লাহ ও আল্লাহর রাসুলের নাফরমানী করা থেকে আমি তোমাকে সতর্ক করে দিচ্ছি। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কষ্ট দেওয়ায় আমি হাফসার কাছেই প্রথমে আসি। এরপর আমি উম্মে সালামা (রাঃ) এর কাছে এলাম এবং তাকেও অনুরূপ বললাম। তিনি বললেনঃ তোমার প্রতি আমার বিস্ময় হে উমর! তুমি আমার সকস ব্যাপারেই দখল দিছে, কিছুই বাকী রাখনি, এমন কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার সহধর্মিণীগণের ব্যাপারেও হস্তক্ষেপ করছ। এ কথা বলে তিনি (আমাকে) প্রত্যাখ্যান করলেন।
এক লোক ছিলেন আনসারী। তিনি যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মজলিস থেকে দুরে থাকতেন এবং আমি উপস্থিত থাকতাম, যা কিছু হতো সে সব আমি তাকে গিয়ে জানাতাম। আর আমি যখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মজসিস থেকে অনুপস্থিত থাকতাম, আর তখন তিনি উপস্থিত থাকতেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এখানে যা কিছু ঘটতো তা এসে আমাকে জানাতেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চারপাশে যারা (রাজা-বাদশা) ছিল তাদের উপর রাসুলের কর্তৃত্ব প্রতিষ্টিত হয়েছিল। কেবল বাকী ছিল শামের (সিরিয়ার) গাসসান শাসক। তার আক্রমণের আমরা আশংকা করতাম।
হঠাৎ আনসারী ব্যাক্তিটি যখন বললোঃ এক বিরাট ঘটনা ঘটে গেছে। আমি তাকে বললামঃ কি সে ঘটনা! গাসসানী কি এসে পড়েছে? তিনি বললেনঃ এর চাইতেও ভয়াবহ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সকল সহধর্মিণীকে তালাক দিয়েছেন। আমি সেখানে গেলাম। দেখলাম সকল কক্ষ থেকে কান্নার আওয়াজ ভেসে আসছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কক্ষের চিলে কুঠুরিতে অবস্থান করছিলেন। প্রবেশ পথে অল্প বয়স্ক একজন খাদিম বসে আছে। আমি তার কাছে গেলাম এবং বললামঃ আমার জন্য অনুমতি চাও।
অনুমতি পেয়ে আমি ভিতরে প্রবেশ করলাম। দেখলাম, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি চাটাইয়ের উপর শুয়ে আছেন। যা তার পার্শ্বদেশে দাগ বসিয়ে দিয়েছে। তার মাথার নীচে চামড়ার একটি বালিশ। তার ভেতরে রয়েছে খেজুর গাছের ছাল। কয়েকটি চামড়া ঝুলানো রয়েছে এবং বিশেষ গাছের পাতা। এরপর হাফসা ও উম্মে সালামাকে আমি যা বলেছিলাম এবং উম্মে সালামা আমাকে যা বলে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, সে সব আমি তাঁর কাছে ব্যক্ত করলাম। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসলেন। তিনি উনত্রিশ রাত তথায় অবস্থান করার পর অবতরণ করেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২৬ | 5426 | ۵٤۲٦
পরিচ্ছদঃ ২৩৬০. নাবী (সাঃ) কী ধরনের পোশাক ও বিছানা গ্রহণ করতেন
৫৪২৬। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে জাগলেন। তখন তিনি বলছিলেনঃ আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নেই, কত যে ফিতনা এ রাতে নাযিল হয়েছে। আরও কত যে ফিতনা নাযিল হয়েছে, কে আছে এমন, যে এ হুজরাবাসীগণকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দেবে। পৃথিবীতে এমন অনেক পোশাক পরিহিতা মহিলাও আছে যারা কিয়ামতের দিন বিবিস্ত্র থাকবে। যুহরী (রহঃ) বলেন, হিন্দ বিনত হারিস এর জামার আস্তিনদ্বয়ে বুতাম লাগানো ছিল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২৭ | 5427 | ۵٤۲۷
পরিচ্ছদঃ ২৩৬১. যে ব্যক্তি নতুন কাপড় পরবে তার জন্য কী দু’আ করা হবে?
৫৪২৭। আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) … খালিদের কন্যা উম্মে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কিছু কাপড় আনা হয়। তার মধ্যে একটি নকশাযুক্ত কাল চাঁদর ছিল। তিনি বললেনঃ আমি এ চাদরটি কাকে পরিধান করাব এ ব্যাপারে তোমাদের অভিমত কি? সবাই নিরব থাকল। তিনি বললেনঃ উম্মে খালিদকে আমার কাছে নিয়ে এসো। সুতরাং তাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে আসা হল। তিনি স্বহস্তে তাকে ঐ চাদর পরিয়ে দিয়ে বললেনঃ পুরাতন কর ও দীর্ঘদিন ব্যবহার কর। তারপর তিনি চাদরের নকশার দিকে তাকাতে লাগলেন এবং হাতের দ্বারা আমাকে ইঙ্গিত করে বলতে থাকলেনঃ হে উম্মে খালিদ! এ সানা, হে উম্মে খালিদ! এ সানা। হাবশী ভাষায় (سَنَا) “সানা” অর্থ সুন্দর। ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ আমার পরিবারের জনৈক মহিলা আমাকে বলেছে, সে উক্ত চাদর উম্মে খালিদের পরিধানে দেখেছে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২৮ | 5428 | ۵٤۲۸
পরিচ্ছদঃ ২৩৬২. পুরুষের জন্যে জাফরানী রং এর কাপড় পরিধান করা
৫৪২৮। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষদের যাফরানী রং এর কাপড় পরিধান করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪২৯ | 5429 | ۵٤۲۹
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৩. জাফরানী রং এর রঙ্গিন কাপড়
৫৪২৯। আবূ মুআইম (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন, মুহরিম ব্যাক্তি যেন ওয়ারস ঘাসের কিংবা যাফরানের রং দ্বারা রঞ্জিত কাপড় না পরে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩০ | 5430 | ۵٤۳۰
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৪. লাল কাপড়
৫৪৩০। আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) … বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মধ্যম আকৃতির। আমি তাকে লাল হুল্লা পরিহিত অবস্থায় দেখেছি। তাঁর চেয়ে অধিক সুন্দর আর কিছু আমি দেখিনি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩১ | 5431 | ۵٤۳۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৫. লাল ‘মীছারা’
৫৪৩১। কাবীসা (রহঃ) … বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাতটি বিষয়ের নির্দেশ দিয়েছেনঃ রোগীর সেবা, জানাযার অংশ গ্রহণ এবং হাঁচিদাতার জবাব দান। আর তিনি আমাদের নিষেধ করেছেনঃ রেশমী কাপড়, মিহিন রেশমী কাপড়, রেশম মিশ্রিত কাতান কাপড়, মোটা রেশমী কাপড় এবং লাল মীসারা কাপড় পরিধান করতে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩২ | 5432 | ۵٤۳۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৬. পশমহীন চামড়ার জুতা ও অন্যান্য জুতা
৫৪৩২। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … আবূ মাসলামা সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করেছি, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘না’লাইন’ (চপ্পল বা জুতা) পায়ে রেখে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন কি? তিনি বলেছেনঃ হ্যাঁ।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩৩ | 5433 | ۵٤۳۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৬. পশমহীন চামড়ার জুতা ও অন্যান্য জুতা
৫৪৩৩। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) … উবায়দ ইবনু জুরায়জ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) কে বলেনঃ আমি আপনাকে এমন চারটি কাজ করতে দেখেছি, যা আপনার সঙ্গীদের মধ্যে কাউকে করতে দেখিনি। তিনি বললেনঃ সেগুলো কি, হে ইবনু জুরায়জ? তিনি বললেনঃ আমি দেখেছি আপনি তাওয়াফ করার সময় (কাবার) রুকনগুলোর মধ্য হতে ইয়ামানী দুটি রুকন ছাড়া অন্য কোনটিকে স্পর্শ করেন না। আমি দেখেছি। আপনি পশম বিহীন চামড়ার জুতা পরিধান কলেন। আমি দেখেছি আপনি হলুদ বর্ণের কাপড় পরেন এবং যখন আপনি মক্কায় ছিলেন তখন দেখেছি, অন্য লোকেরা (যিলহজের) চাঁদ দেখেই ইহরাম বাধতো, আর আপনি তালবিয়ার দিন (অর্থাৎ আট তারিখ) না আসা পর্যন্ত ইহরাম বাধতেন না।
আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) তাকে বললেনঃ আরকান সম্পর্কে কথা এই যে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ইয়ামানী দুটি রুকন ব্যতীত অন্য কোনটিকে স্পর্শ করতে দেখনি। আর পশম বিহীন চামড়ার জুতার ব্যাপার হলো, আমি দেখেছি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনুরূপ জুতা পরতেন, যাতে কোন পশম থাকতো না এবং তিনি জুতা পরিহিত অবস্থায়ই উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতেন (অর্থাৎ পা ধুতেন)। তাই আমি অনুরূপ জুতা পরতেই পছন্দ করি। আর হলুদ রঙের কথা হলো, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ রং দিয়ে রঙ্গিন করতে দেখেছি। সুতরাং আমিও এর দ্বারাই রং করতে ভালবাসি। আর ইহরাম বাধার ব্যাপারে কথা এই যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তার বাহনে হাজ্জের (হজ্জ) কাজ আরম্ভ করার জন্য উঠার আগে ইহরাম বাধতে দেখিনি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩৪ | 5434 | ۵٤۳٤
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৬. পশমহীন চামড়ার জুতা ও অন্যান্য জুতা
৫৪৩৪। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন যে ইহরাম বাধা ব্যাক্তি যেন যাফরান কিংবা ওয়ারস ঘাস দ্বারা রং করা কাপড় পরিধান না করে। তিনি বলেছেনঃ যে (মুহরিম) ব্যাক্তির জুতা নেই, সে যেন মোজা পরে এবং টাখনুর নীচ থেকে (মোজার উপরের অংশ) কেটে ফেলে (যাতে তা জুতার ন্যয় হয়ে যায়)।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩৫ | 5435 | ۵٤۳۵
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৬. পশমহীন চামড়ার জুতা ও অন্যান্য জুতা
৫৪৩৫। মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে (মুহরিম) লোকের ইযার নেই। সে যেন পায়জামা পরে, আর যার জুতা নেই সে যেন মোজা পরিধান করে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩৬ | 5436 | ۵٤۳٦
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৭. ডান দিক থেকে জুতা পরা আরম্ভ করা
৫৪৩৬। হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্নিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পবিত্রতা অর্জন করতে, মাথা আঁচড়াতে ও জুতা পায়ে দিতে ডান দিক থেকে আরম্ভ করা পছন্দ করতেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩৭ | 5437 | ۵٤۳۷
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৮. বাঁ পায়ের জুতা খোলা হবে
৫৪৩৭। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ জুতা পরিধান করে তখন সে যেন ডান দিক থেকে আরম্ভ করে, আর যখন খোলে, তখন সে যেন বাম দিক থেকে আরম্ভ করে, যাতে পরার বেলায় উভয় পায়ের মধ্যে ডান পা প্রথমে হয় এবং খোলার সময় শেষে হয়।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩৮ | 5438 | ۵٤۳۸
পরিচ্ছদঃ ২৩৬৯. এক পায়ে জুতা পরে হাঁটবে না
৫৪৩৮। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ এক পায়ে জুতা পরে যেন না হাঁটে। হয় উভয় পা সম্পূর্ণ খোলা রাখবে অথবা উভয় পায়ে পরিধান করবে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৩৯ | 5439 | ۵٤۳۹
পরিচ্ছদঃ ২৩৭০. এক চপ্পলে দু’ ফিতা লাগান, কারও মতে এক ফিতা লাগানও বৈধ
৫৪৩৯। হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চপ্পলে দুটি করে ফিতা ছিল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪০ | 5440 | ۵٤٤۰
পরিচ্ছদঃ ২৩৭০. এক চপ্পলে দু’ ফিতা লাগান, কারও মতে এক ফিতা লাগানও বৈধ
৫৪৪০। মুহাম্মাদ (রহঃ) … ঈসা ইবনু তাহমান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। একবার আনাস ইবনু মলিক (রাঃ) এমন দুটি চপ্পল আমাদের কাছে আনলেন যার দুটি করে ফিতা ছিল। তখন সাবিত বুনানী বললেনঃ এটি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চপ্পল ছিল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪১ | 5441 | ۵٤٤۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৭১. লাল চামড়ার তাঁবু
৫৪৪১। মুহাম্মদ ইবনু আর’আরা (রহঃ) … আওনের পিতা (ওহর ইবনু আবদুল্লাহ) (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলাম। তখন তিনি একটি লাল চামড়ার তাঁবুতে ছিলেন। আর বিলালকে দেখলাম তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উযূ (ওজু/অজু/অযু)র পানি উঠিয়ে দিচ্ছেন এবং লোকজন উযূ (ওজু/অজু/অযু)র পানি নেয়ার জন্য ছুটাছুটি করছে। যে ওখান থেকে কিছু পায়, সে তা মুখে মেখে নেয়। আর যে সেখান থেকে কিছু পায় না, সে তার সাথীর ভিজা হাত থেকে কিছু নিয়ে নেয়।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪২ | 5442 | ۵٤٤۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৭১. লাল চামড়ার তাঁবু
৫৪৪২। আবূল ইয়ামান (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের কাছে সংবাদ পাঠান এবং তাদের (লাল) চামড়ার একটি তাবুতে সমবেত করেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪৩ | 5443 | ۵٤٤۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৭২. চাটাই বা অনুরূপ কোন জিনিসের উপর বসা
৫৪৪৩। মুহাম্মদ ইবনু আবূ বকর (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রিবেলা চাটাই দ্বারা ঘেরাও দিয়ে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন। আর দিনের বেলা তা বিছিয়ে তার উপর বসতেন। লোকজন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সমবেত হবে তার সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে লাগল। এমন কি বহু লোক সমবেত হল। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ হে লোক সকল! তোমরা আমল করতে থাক তোমাদের সামর্থ অনুযায়ী। কারন, আল্লাহ তাআলা ক্লান্ত হন না, অবশেষে তোমরাই ক্লান্ত হয়ে পড়বে। আর আল্লাহর নিকট ঐ আমল সবচেয়ে প্রিয়, যা সর্বদা করা হয় যদিও তা কম হয়।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪৪ | 5444 | ۵٤٤٤
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৪. স্বর্ণের আংটি
২৩৭৩. পরিচ্ছেদঃ স্বর্ণখচিত গুটি। লায়স (রহঃ) বলেনঃ ইবনু আবূ মূলায়কা ….. মিসওয়ার ইবনু মাখরামা (রাঃ) থেকে আমাকে বর্ণনা করেছেন যে, তার পিতা মাখরামা (একদা) তাকে বললেনঃ হে প্রিয় বৎস! আমার কাছে সংবাদ পৌঁছেছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামএর নিকট কিছু কাবা এসেছে। তিনি সেগুলোবণ্টন করছেন। চলো আমরা তাঁর কাছে যাই। আমরা গেলাম এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর বাসগৃহে পেলাম। আমাকে (আমার পিতা) বললেনঃ বৎস! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমার কাছে ডাক। আমার নিকট কাচজট অতি কঠিন বলে মনে হল। আমি বললামঃ আপনার কাছে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ডাকবো? তিনি বললেনঃ বৎস, তিনি তো কঠোর প্রকৃতির লোক নন। যা হোক আমি তাঁকে ডাকলাম। তিনি বেরিয়ে এলেন। তাঁর গায়ে তখন স্বর্ণের বোতাম লাগান মিহিন রেশমী কাপড়ের কাবা ছিল। তিনি বললেনঃ হে মাখরামা! এটা আমি তোমার জন্য সংরক্ষিত রেখেছিলাম। এরপর তিনি এটা তাকে দিয়ে দিলেন।
৫৪৪৪। আদম (রহঃ) … বারা ইবনু আযিব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাতটি জিনিস থেকে নিষেধ করেছেনঃ স্বর্ণের আংটি বা তিনি বলেছেন, স্বর্নের বলয়, মিহি রেশম, মোটা রেশম ও রেশম মিশ্রিত কাপড়, রেশম এর তৈরী লাল রঙের পালান বা হাওদা, রেশম মিশ্রিত কিসসী কাপড় ও রূপার পাত্র। আর তিনি আমাদের সাতটি কাজের আদেশ করেছেনঃ রোগীর শুশ্রুষা, জানাযার পেছনে চলা, হাঁচির উত্তর দেওয়া, সালামের জবাব দেওয়া, দাওয়াত গ্রহন করা, কসমকারীর কসম পূরনে সাহায্য করা এবং মাযলূম ব্যাক্তির সাহায্য করা।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪৫ | 5445 | ۵٤٤۵
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৪. স্বর্ণের আংটি
৫৪৪৫। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি স্বর্নের আংটি ব্যবহার করতে নিনেধ করেছেন। আমর (রহঃ) বাশীর (রহঃ) কে অনুরূপ বর্ণনা করতে শুনেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪৬ | 5446 | ۵٤٤٦
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৪. স্বর্ণের আংটি
৫৪৪৬। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের একটি আংটি ব্যবহার করেন। আংটির মোহর হাতের তাবুর দিকে ফিরিয়ে রাখেন। লোকেরা অনুরূপ (আংটি) ব্যবহার করা আরম্ভ করলো। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের আংটিটি ফেলে দিয়ে চাঁদি বা রৌপ্যের আংটি বানিয়ে নিলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪৭ | 5447 | ۵٤٤۷
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৫. রূপার আংটি
৫৪৪৭। ইউসুফ ইবনু মূসা (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের একটি আংটি পরিধান করেন। আংটির মোহর হাতের তালুর ভিতরের দিকে ফিরিয়ে রাখেন। তাতে তিনি مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ খোদাই করেছিলেন। লোকেরাও অনুরুপ আংটি ব্যবহার করতে আরম্ভ করেন। যখন তিনি দেখলেন যে, তারাও অনুরূপ আংটি ব্যবহার করছে, তখন তিনি তা ছুড়ে ফেলেন এবং কখনও এ ব্যবহার করব না। এরপর একটি রূপার আংটি ব্যবহার করেন। লোকেরাও রূপার আংটি ব্যবহার আরম্ভ করে। ইবনু উমর (রাঃ) বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পরে আবূ বকর (রাঃ), তারপর উমর (রাঃ) ও তারপর উসমান (রাঃ) তা ব্যবহার করেছেন। শেষে উসমান (রাঃ) এর (হাত) থেকে আংটিটি ‘আরীস’ নামক কূপের মধ্যে পড়ে যায়।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪৮ | 5448 | ۵٤٤۸
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৬. পরিচ্ছেদ নাই
৫৪৪৮। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের একটি আংটি ব্যবহার করতেন। এরপর তা ছেড়ে দেন এবং বলেনঃ আমি আর কখনও তা ব্যবহার করবো না। লোকেরাও তাদের আংটি খুলে ফেলে দেয়।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৪৯ | 5449 | ۵٤٤۹
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৬. পরিচ্ছেদ নাই
৫৪৪৯। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে রূপার একটি আংটি দেখেলেন। তারপর লোকেরাও রূপার আংটি তৈরি করে এবং ব্যবাহার করে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরে তার আংটি পরিহার করেন। লোকেরাও তাদের আংটি পরিহার করে। যুহরীর সূত্রে ইবরাহীম ইবনু সা’দ, বিয়াদ ও শুয়াইব (রহঃ)ও অনুরূপ বর্ননা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫০ | 5450 | ۵٤۵۰
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৭. আংটির মোহর
৫৪৫০। আবদান (রহঃ) … হুমায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করা হয় যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আংটি পরেছেন কি না? তিনি বললেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক রাতে এশার সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ে অর্ধরাত পর্যন্ত দেরী করেন। এরপর তিনি আমাদের মাঝে আসেন। আমি যেন তার আংটির চমক দেখতে পেলাম। তিনি বললেন লোকজন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে শুয়ে পড়েছে। আর যতক্ষন থেকে তোমরা সালাত (নামায/নামাজ) এর অপেক্ষায় রয়েছ, ততক্ষন তোমরা সালাত (নামায/নামাজ) এর মধ্যেই রয়েছ।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫১ | 5451 | ۵٤۵۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৭. আংটির মোহর
৫৪৫১। ইসহাক (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আংটি ছিল রূপার। আর তার নাগিনাটিও ছিল রুপার। ইয়াহইয়া ইবনু আইউব, হুমায়দ, আনাস (রাঃ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫২ | 5452 | ۵٤۵۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৮. লোহার আংটি
৫৪৫২। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) … সাহল (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, জনৈক মহিলা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললঃ আমি নিজেকে হিবা (দান-বিবাহ) করে দেওয়ার জন্য এসেছি। এ কথা বলে সে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকল। তিনি তাকালেন ও মাথা নীচু করে রাখলেন। মহিলাটির দাঁড়িয়ে থাকা যখন দীর্ঘায়িত হল, তখন এক ব্যাক্তি বললঃ আপনার যদি প্রয়োজন না থাকে, তবে একে আমার সাথে বিবাহ দিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তোমার কাছে মোহর দেওয়ার মত কিছু আছে কি? সে বললঃ না। তিনি বললেনঃ খুজে দেখ। সে চলে গেল। কিছু সময় পর ফিরে এসে বললঃ আল্লাহর কসম! আমি কিছুই পেলাম না। তিনি বললেনঃ আবার যাও এবং তালাশ করো, একটি লোহার আংটিও যদি হয় (নিয়ে এসো) সে চলে গেল। কিছুক্ষণ পর ফিরে এসে বললঃ কসম আল্লাহর! কিছুই পেলাম না, একটি লোহার আংটিও না।
তার পরিধানে ছিল একটি মাত্র লুঙ্গি, তার উপর চাঁদর ছিল না। সে আরয করলঃ আমি এ লুঙ্গিটি তাকে দান করে দেব। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার লুঙ্গি যদি সে পরে তবে তোমার পরনে কিছুই থাকে না। আর যদি তুমি পর, তবে তার গায়ে এর কিছু থাকে না। এরপর লোকটি একটু দূরে সরে গিয়ে বসে পড়ল। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দেখলেন যে, সে পিঠ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছে। তখন তিনি তাকে থাকার জন্য হুকুম দিলেন। তাকে ডেকে আনা হল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমার কি কুরআনের কিছু মুখস্ত আছে? সে বললঃ অমুক অমুক সূরা। সে সূরাগুলোকে গননা করে শোনাল। তিনি বলেনঃ তোমার কাছে কুরআনের যা কিছু মুখস্ত আছে, তার বিনিময়ে মেয়ে লোকটিকে তোমার মালিকানায় দিয়ে দিলাম।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫৩ | 5453 | ۵٤۵۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৯. আংটিতে নকশা করা
৫৪৫৩। আবদুল আলা (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আল্লাহর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনারব একটি দলের কাছে বা কিছু লোকের কাছে পত্র লিখতে ইচ্ছা করেন। তখন তাকে জানোান হল যে, তারা এমন পত্র গ্রহণ করে না যার উপর মোহরাঙ্কিত না থাকে। এরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুপার একটি আংটি তৈরী করেন। তাতে অংকিত ছিল مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ (বর্ণনাকারী আনাস (রাঃ) বলেন) আমি যেন (এখনও) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আঙ্গুলে বা তার হাতে সে আংটির উজ্জ্বলতা দেখতে পাচ্ছি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫৪ | 5454 | ۵٤۵٤
পরিচ্ছদঃ ২৩৭৯. আংটিতে নকশা করা
৫৪৫৪। মুহাম্মদ ইবনু সালাম (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুপার একটি আংটি তৈরী করেন। সেটি তার হাতে ছিল। এরপর তা আবূ বকর (রাঃ) এর হাতে আসে। পরে তা উমর (রাঃ) এর হাতে আসে। এরপর তা উসমান (রাঃ) এর হাতে আসে। শেষকালে তা আরীস নামক এক কূপের মধ্যে পড়ে যায়। তাতে অংকিত ছিল ‘مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ ’।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫৫ | 5455 | ۵٤۵۵
পরিচ্ছদঃ ২৩৮০. কনিষ্ট আঙ্গুলে আংটি পরা
৫৪৫৫। আবূ মা’মার (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি আংটি তৈরী করেন। তারপর তিনি বলেনঃ আমি একটি আংটি তৈরী করেছি এবং তাতে একটি নকশা করেছি। সুতরাং কেউ যেন নিজের আংটিতে নকশা না করে। তিনি (আনাস) বলেনঃ আমি যেন তাঁর কনিষ্ঠ আংগুলে আংটিটির দ্যূতি (এখনও) দেখতে পাচ্ছি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫৬ | 5456 | ۵٤۵٦
পরিচ্ছদঃ ২৩৮১. কোন কিছুর উপর সীলমোহর দেওয়ার জন্য অথবা আহলে কিতাব বা অন্য কারো নিকট পত্র লেখার জন্যে আংটি তৈরি করা
৫৪৫৬। আদম ইবনু আবূ ইয়াস (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন রোম সম্রাটেরর নিকট পত্র লিখতে মনস্থ করেন, তখন তাঁকে বলা হল, আপনার পত্র যদি মোহরাংকিত না হয়, তবে তারা তা পড়বে না। এরপর তিনি রুপার একটি আংটি বানান এবং তাতে مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ খোদাই করা ছিল। (আনাস (রাঃ) বলেন) আমি যেন (এখনও) তার হাতে সে আংটির শুভ্রতা প্রত্যক্ষ করছি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫৭ | 5457 | ۵٤۵۷
পরিচ্ছদঃ ২৩৮২. যে লোক আংটির নাগিনা হাতের তালুর দিকে রাখে
৫৪৫৭। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বর্ণের একটি আংটি তৈরি করেন। যখন তিনি তা পরতেন তখন তার নাগিনা হাতের তালুর দিকে রাখতেন। (তার দেখাদেখি) লোকেরাও স্বর্নের আংটি তৈরি আরম্ভ করে। এরপর তিনি মিম্বরে আরোহণ করেন। আল্লাহর প্রশংসা ও গুণাবলী প্রকাশ করার পর বলেনঃ আমি এ আংটি তৈরি করেছিলাম। কিন্তু তা আর পরব না। এরপর তিনি তা ছুড়ে ফেলেন। লোকেরাও (তাদের আংটি) ছুড়ে ফেলল। জুওয়ায়রিয়া (রহঃ) বলেনঃ আমার ধারনা যে, বর্ণনাকারী (নাফি) এ কথাও বলেছেন যে আংটিটি তার ডান হাতে ছিল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫৮ | 5458 | ۵٤۵۸
পরিচ্ছদঃ ২৩৮৩. নবী (সাঃ) এর বাণীঃ তার আংটির নকশার ন্যায় কেউ নকশা বানাতে পারবে না
৫৪৫৮। মউসাদ্দাদ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুপার একটি আংটি তৈরী করেন। তাতে مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ এর নকশা খোদাই করেন। এরপর তিনি বলেনঃ আমি একটি রুপার আংটি বানিয়েছি এবং তাতে مُحَمَّدٌ رَسُولُ اللَّهِ এর নকশা খোদাই করেছি। সুতরাং কেউ সেন তার আংটিতে এ নকশা খোদাই না করে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৫৯ | 5459 | ۵٤۵۹
পরিচ্ছদঃ ২৩৮৪. আংটির নক্শা কি তিন লাইনে করা যায়?
৫৪৫৯। মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ আনসারী (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবূ বকর (রাঃ) যখন খলীফা নির্বাচিত হন, তখন তিনি তার (আনাস) (রাঃ) কাছে (যাকাতের পরিমাণ সম্পর্কে) একটি পত্র লেখেন। আংটিটির নকশা তিন লাইনে ছিল। এক লাইনে ছিল مُحَمَّدٌ এক লাইনে ছিল, رَسُول আর এক লাইনে ছিল اللَّه
আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) বলেনঃ আহমাদের সূত্রে আনাস (রাঃ) থেকে এ কথা অতিরিক্ত বর্ণিত আছে। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আংটি (তার জীবদ্দশায়) তার হাতেই ছিল। তার (ইন্তেকালের) পরে তা আবূ বকর (রাঃ) এর হাতে থাকে। আবূ বকর (রাঃ) এর (ইন্তেকালের) পরে তা উমার (রাঃ) এর হাতে থাকে। যখন উসমান (রাঃ) এর আমল এল, তখন (একদিন) তিনি ঐ আংটি হাতে নিয়ে আরীস নামক কুপের উপর বসেন। আংটিটি বের করে নাড়চাড়া করছিলেন। হঠাৎ তা (কুপের মধ্যে) পড়ে যায়। আনাস (রাঃ) বলেন, আমরা তিন দিন যাবত উসমানের (রাঃ) সাথে অনুসন্ধান চালালাম কূপের পানি ফেলে দেয়া হল কিন্তু আংটি আর আমরা পেলাম না।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬০ | 5460 | ۵٤٦۰
পরিচ্ছদঃ ২৩৮৫. মহিলাদের আংটি পরিধান করা। ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) এর স্বর্ণের কয়েকটি আংটি ছিল ।
৫৪৬০। আবূ আসিম (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে এক ঈদে উপস্থিত ছিলাম। তিনি খুতবার আগেই সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। আবূ আবদুল্লাহ (ইমাম বুখারী) বলেনঃ ইবনু ওহাব, ইবনু জুরায়জ থেকে এতটুকু বেশী বর্ণনা করেছেন যে, এরপর তিনি মহিলাদের কাছে আসেন। তারা (সাদকা হিসেবে) বিলাল (রাঃ) এর কাপড়ে মালা ও আংটি ফেলতে লাগল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬১ | 5461 | ۵٤٦۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৮৬. মহিলাদের হার পরিধান করা, সুগন্ধি ও ফুলের মালা পরা
৫৪৬১। মুহাম্মদ ইবন আর’আর (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ঈদের দিনে বের হন এবং (ঈদের) দু’ রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। তার আগে এবং পরে আর কোন নফজ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেননি। তারপর তিনি মহিলাদের কাছে আসেন এবং তাদের সাদকা করার জন্য আদেশ দেন। মহিলারা তাদের হার ও মালা সাদকা করতে থাকল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬২ | 5462 | ۵٤٦۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৮৭. হার ধার নেওয়া
৫৪৬২। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একবার কোন এক সফরে) আসমার একটি হার (আমার নিকট থেকে) হারিয়ে যায়। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়েকজন পুরুষ লোককে তার সন্ধানে পাঠান। এমন সময় সালাত (নামায/নামাজ) এর সময় উপস্থিত হল। তাদের কারও উযূ (ওজু/অজু/অযু) ছিল না এবং তারা পানিও পেল না। সুতরাং বিনা উযূ (ওজু/অজু/অযু)তেই তাঁরা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে নিলেন। (ফিরে এসে) তারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এ বিষয়টির উল্লেখ করলেন। তখন আল্লাহ তা’আলা তাইয়াম্মুমের আয়াত নাযিল করেন। ইবনু নুমায়র হিশামের সূত্রে এ কথা অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, ঐ হার আয়িশা (রাঃ) আসমা (রাঃ) থেকে হাওলাত (ধার) নিয়েছিলেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬৩ | 5463 | ۵٤٦۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৮৮. মহিলাদের কানের দুল। ইব্ন ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, নবী (সাঃ) (একবার) মহিলাদের সদাকাহ করার নির্দেশ দেন। তখন আমি দেখলাম, তারা তাদের নিজ নিজ কান ও গলার দিকে হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন।
৫৪৬৩। হাজ্জাজ ইবনু মিনহাল (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) ঈদের দিনে দু’ রাকআত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। না এর আগে তিনি কোন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন না এর পরে। তারপরে তিনি মহিলাদের কাছে আসেন, তখন তাঁর সাথে ছিলেন বিলাল (রাঃ) তিনি মহিলাদের সাদকা করার নির্দেশ দেন। তারা নিজেদের কানের দুল ছুড়ে ফেলতে লাগল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬৪ | 5464 | ۵٤٦٤
পরিচ্ছদঃ ২৩৮৯. শিশুদের মালা পরানো
৫৪৬৪। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে মদিনার কোন এক বাজারে ছিলাম। তিনি (বাজার থেকে) ফিরে আসলেন। আমিও ফিরে আসলাম। তিনি বললেনঃ ছোট শিশুটি কেথায়? এ কথা তিনবার বললেন। হাসান ইবনু আলীকে ডাক। দেখা গেল হাসান ইবনু আলী হেঁটে চলছে। তার গলায় ছিল মালা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ ভাবে তার হাত উত্তোলন করলেন। হাসানও এভারে নিজের হাত উত্তোলন করলেন। তারপর তিনি তাকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ আমি একে ভালবাসি, আপনিও তাকে ভালবাসুন এবং যে ব্যাক্তি তাকে ভালবাসে, তাকেও আপনি ভালসাসুন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একথা বলার পর থেকে হাসান ইবনু আলীর চেয়ে কেউ আমার কাছে অধিক প্রিয় হয়নি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬৫ | 5465 | ۵٤٦۵
পরিচ্ছদঃ ২৩৯০. পুরুষের নারীর বেশ ধারণ করা এবং নারীর পুরুষের বেশ ধারণ করা
৫৪৬৫। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সব পুরুষকে লা’নত করেছেন। যারা নারীর বেশ ধারণ করে এবং ঐসব নারীকে যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে।
পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬৬ | 5466 | ۵٤٦٦
পরিচ্ছদঃ ২৩৯১. নারীর বেশধারী পুরুষদের ঘর থেকে বের করে দেওয়া
৫৪৬৬। মু’আয ইবনু ফাযালা (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরুষ হিজড়াদের উপর এবং পুরুষের বেশ ধারণকারী মহিলাদের উপর লা’নত করেছেন। তিনি বলেছেনঃ ওদেরকে ঘর থেকে বের করে দাও। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেছেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুককে বের করেছেন এবং উমর (রাঃ) অমুককে বের করে দিয়েছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬৭ | 5467 | ۵٤٦۷
পরিচ্ছদঃ ২৩৯১. নারীর বেশধারী পুরুষদের ঘর থেকে বের করে দেওয়া
৫৪৬৭। মালিক ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা তার ঘরে ছিলেন। তখন ঐ ঘরে একজন হিজড়া ছিল। সে উম্মে সালামার ভাই আবদুল্লাহকে বলল হে আবদুল্লাহ! আগামী কাল তায়েফের উপর যদি তোমাদের জন্মলাভ হয় তবে আমি তোমাকে বিনত গায়লানকে দেখাবো। সে যখন সামনের দিকে আসো তখন (তার পেটে) চার ভাজ দৃষ্ট হয়। আর যখন সে পিছনের দিকে যায়, তখন (তার পিঠে) আট ভাজ দৃষ্ট হয়। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ওরা যেন তোমাদের নিকট কখনও না আসে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬৮ | 5468 | ۵٤٦۸
পরিচ্ছদঃ ২৩৯২. গোঁফ ছাটা। ইব্নু ‘উমার (র) গোঁফ এতো ছোট করতেন যে, চামড়ার শুভ্রতা দেখা যেত এবং তিনি গোঁফ ও দাঁড়ির মাঝের পশম কেটে ফেলতেন।
৫৪৬৮। মাক্কী ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেছেনঃ গোঁফ কেটে ফেলা ফিতরাত (স্বভাবের) অন্তর্ভুক্ত।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৬৯ | 5469 | ۵٤٦۹
পরিচ্ছদঃ ২৩৯২. গোঁফ ছাটা। ইব্নু ‘উমার (র) গোঁফ এতো ছোট করতেন যে, চামড়ার শুভ্রতা দেখা যেত এবং তিনি গোঁফ ও দাঁড়ির মাঝের পশম কেটে ফেলতেন।
৫৪৬৯। আলী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন ফিতরাত (অর্থাৎ মানূষের সৃষ্টিগত স্বভাব) পাঁচটিঃ খাতনা করা, ক্ষুর ব্যবহার করা (নাভির নীচে), বোগলের পশম উপড়ে ফেলা, নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭০ | 5470 | ۵٤۷۰
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৩. নখ কাটা
৫৪৭০। আহমাদ ইবনু আবূ রাজা (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নাভির নীচের পশম কামানো, নখ কাটা ও গোঁফ ছোট করা মানুষের ফিতরাত।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭১ | 5471 | ۵٤۷۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৩. নখ কাটা
৫৪৭১। আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি ফিতরাত পাঁচটিঃ খাতনা করা, (নাভির নীচে) ক্ষুর ব্যবহার করা, গোঁফ ছোট করা, নখ কাটা ও বোগলের পশম উপড়ে ফেলা।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭২ | 5472 | ۵٤۷۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৩. নখ কাটা
৫৪৭২। মুহাম্মদ ইবনু মিনহাল (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিপরীত করবেঃ দাঁড়ি লম্বা রাখবে, গোঁফ ছোট করবে। ইবনু উমর (রাঃ) যখন হাজ্জে (হজ্জ) বা উমরা করতেন, তখন তিনি তার দাঁড়ি খাট করে ধরতেন এবং মুটের বাইরে যতটুকু অতিরিক্ত থাকত তা কেটে ফেলতেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭৩ | 5473 | ۵٤۷۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৪. দাঁড়ি বড় রাখা
৫৪৭৩। মুহাম্মদ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা গোঁফ বেশী ছোট করবে এবং দাঁড়ি বড় রাখবে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭৪ | 5474 | ۵٤۷٤
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৫. বার্ধক্যকালে (খিযাব লাগান সম্পর্কে) বর্ণনা
৫৪৭৪। মুআল্লা ইবনু আসাদ (রহঃ) … মুহাম্মদ ইবনু সীরীন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি খিযাব লাগিয়েছেন? তিনি বললেনঃ বার্ধক্য তাকে অতি সামান্যই পেয়েছিল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭৫ | 5475 | ۵٤۷۵
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৫. বার্ধক্যকালে (খিযাব লাগান সম্পর্কে) বর্ণনা
৫৪৭৫। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) … সাবিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আনাস (রাঃ) কে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিযাব লাগান সম্পর্কে জিজাসা করা হল। তিনি বললেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খিযাব লাগাবার অবস্থা পর্যন্ত পৌছেননি। আমি যদি তার সাদা দাঁড়িগুলো গুণতে চাইতাম, তবে সহজেই গুণতে পারতাম।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭৬ | 5476 | ۵٤۷٦
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৫. বার্ধক্যকালে (খিযাব লাগান সম্পর্কে) বর্ণনা
৫৪৭৬। মালিক ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আমাকে আমার পরিবারের লোকেরা এক পেয়ালা পানি সহ উম্মে সালামার কাছে পাঠাল। (উম্মে সালামার কাছে রক্ষিত) একটি রূপার (পানি ভর্তি) পাত্র থেকে (আনাসের পুত্র) ইসরাঈল তিনটি আঙ্গুল দিয়ে কিছু পানি তুলে নিল। ঐ পাত্রের মধ্যে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কয়েকটি মুবারক চুল ছিল। কোন লোকের যদি চোখ লাগতো কিংবা অন্য কোন রোগ দেখা দিত তবে উম্মে সালামার কাছ থেকে পানি আনার জন্য একটি পাত্র পাঠিয়ে দিত। আমি সে পাত্রের মধ্যে একবার লক্ষ্য করলাম, দেখলাম লাল রং এর কয়েকটি চুল আছে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭৭ | 5477 | ۵٤۷۷
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৫. বার্ধক্যকালে (খিযাব লাগান সম্পর্কে) বর্ণনা
৫৪৭৭। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাওহাব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, (একবার) আমি উম্মে সালামার (রাঃ) নিকট গেলাম। তখন তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কয়েকটি চুল বের করলেন, যাতে খিযাব লাগান ছিল।
আবূ নু’আইম … ইবনু মাওহাবের সুত্রে বর্ননা করেছেন যে, উম্মে সালামা (রাঃ) তাকে (ইবনু মাওহাব) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর লাল রং এর চুল দেখিয়েছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭৮ | 5478 | ۵٤۷۸
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৬. খিযাব
৫৪৭৮। হুমায়দী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ইয়াহুদ ও নাসারারা (চুল ও দাঁড়িতে) রং লাগায় না। সুতরাং তোমরা তাদের বিপরীত করবে।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৭৯ | 5479 | ۵٤۷۹
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৭৯। ইসমাঈল (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অতিরিক্ত লম্বা ছিলেন না খাটও ছিলেন না। ধবধবে সাদা ছিলেন না, আর না ফ্যাকাশে সাদা ছিলেন। চুল অতিশয় কোঁকড়ানও ছিল না, আর সম্পূর্ণ সোজাও ছিল না। চল্লিশ বছর বয়সে আল্লাহ তাকে নবুয়াত দান করেন। এরপর মক্কায় দশ বছর এবং মদিনায় দশ বছর অবস্থান করেন। ষাট বছর বয়সে আল্লাহ তাকে মৃত্যু দান করেন। এ সময় তার মাথায় ও দাঁড়িতে বিশটি চুলও সাদা হয়নি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮০ | 5480 | ۵٤۸۰
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮০। মালিক ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … বারা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, লাল জোড়া কাপড় পরিহিত অবস্থায় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অন্য কাউকে আমি অধিক সুন্দর দেখিনি। (ইমাম বুখারী বলেন) আমার জনৈক সংগী মালিক থেকে বর্ণনা করেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথার চুল তার কাঁধ পর্যন্ত পৌছতো। আবূ ইসহাক (রহঃ) বলেনঃ আমি বারা (রাঃ) কে একাধিকরার এ হাদীস বর্ননা করতে শুনেছি। যখনই তিনি এ হাদীস বর্ণনা করতেন, তখনই হেসে দিতেন। শুবা বলেছেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুল তার উভয় কানের লতি পর্যন্ত পৌছতো।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮১ | 5481 | ۵٤۸۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮১। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমি এক রাতে স্বপ্নে কাবা ঘরের নিকট একজন গেরুয়া বর্নের পুরুষ লোক দেখতে পেলাম। এমন সুন্দর গেরুয়া লোক তুমি কখনও দেখনি। তার মাথার চুল ছিল কাঁধ পর্যন্ত। কাঁধ পর্যন্ত লম্বা এমন সুন্দর চুল তুমি কখনও দেখনি। লোকটি চুল আচড়িয়েছে, আর তা থেকে ফোটা ফোটা পানি পড়ছে। সে দু’জন লোকের উপর ভর করে কিম্বা দু’জন লোকের কাঁধের উপর ভর করে কাবা ঘর তাওয়াফ করছেন। আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ এ লোকটি কে? জবাব দেওয়া হলো তিনি মরিয়মের পুত্র (ঈসা) মাসীহ! আর দেখলাম অন্য একজন লোক, যার চুল ছিল অতিশয় কোকড়ান, ডান চোখ টেরা, যেন তা একটি ফুলে উঠা আঙ্গুর। আমি জিজ্ঞাসা করলাম এ লোকটি কে? বলা হলোঃ ইনি মাসীহ দাজ্জাল।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮২ | 5482 | ۵٤۸۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮২। ইসহাক (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মাথার চুল (কখনও কখনও) কাঁধ পর্যন্ত লম্বা হত।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮৩ | 5483 | ۵٤۸۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮৩। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্নিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুল (কোন কোন সময়) কাঁধ পর্যন্ত দীর্ঘ হতো।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮৪ | 5484 | ۵٤۸٤
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮৪। আমর ইবনু আলী (রহঃ) … কাতাদা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুল মধ্যম ধরনের ছিল না একেবারে সোজা লম্বা, না অতি কোঁকড়ান। আর তা ছিল দু’কান ও দু-কাঁধের মধ্যবর্তী স্থান পর্যন্ত।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮৫ | 5485 | ۵٤۸۵
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮৫। মুসলিম (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুবারক হাত গোশতে পরিপূর্ণ ছিল। তার পরে আর কাউকে অমন এমন দেখিনি। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চুল ছিল মধ্যম ধরনের বেশী কৌকড়ানোও না আর বেশী সোজাও না।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮৬ | 5486 | ۵٤۸٦
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮৬। আবূ নু’মান (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’ হাত ও দু’ পা ছিল গোশতবহুল। চেহারা ছিল সুন্দর। তাঁর আগে ও তার পরে আমি তার মত অপর (কাউকে এত অধিক সুন্দর) দেখিনি। তার হাতের তালু ছিল চওড়া।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮৭ | 5487 | ۵٤۸۷
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮৭। আমর ইবনু আলী (রহঃ) … আনাস (রাঃ) ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’ পা ছিল গোশতবহুল। চেহারা ছিল সুন্দর। আমি তার পরে তার ন্যায় (কাউকে এমন সুন্দর) দেখিনি।
হিশাম (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দু’ পা ও হাতের দু’ কবজা গোশতে পরিপূর্ণ ছিল।
আবূ হিলাল (রহঃ) … আনাস (রাঃ) অথবা জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর, দু টি কব্জা ও দুটি পা গোশতপূর্ণ ছিল। আমি তার পরে তার ন্যায় (কাউকে এত অধিক সুন্দর) দেখিনি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮৮ | 5488 | ۵٤۸۸
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৭. কোঁকড়ানো চুল
৫৪৮৮। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) … মুজাহিদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা একদা ইবনু আব্বাসের নিকট ছিলাম। তখন লোকজন দাজ্জালের কথা আলোচনা করন। একজন বললঃ তার দু’চোখের মাঝখানে লেখা থাকবে ‘কাফির’ ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেনঃ আমি এমন কথা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনিনি। তবে তিনি বলেছেনঃ তোমরা যদি ইবরাহীম (আলাইহিস সালাম) কে দেখতে চাও, তা হলে তোমাদের সঙ্গী নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে তাকাও। আর মূসা (আলাইহিস সালাম) হচ্ছেন শ্যাম বর্ণের লোক, কোঁকড়ান চুল বিশিষ্ট, নাকে লাগাম পরান লাল উটে আরোহণকারী। আমি যেন তাঁকে দেখতে পাচ্ছি যে, তিনি তালবিয়া (লাব্বায়কা) পাঠরত অবস্থায় (মক্কা) উপত্যকায় অবতরণ করছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৮৯ | 5489 | ۵٤۸۹
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৮. মাথার চুল জট করা
৫৪৮৯। আবুল ইয়ামান (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি উমার (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে ব্যাক্তি চুল জট করে, সে যেন তা মুড়ে ফেলে। আর তোমরা মাথার চুল জটকারীদের ন্যায় জট করো না। ইবনু উমর (রাঃ) বলতেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে চুল জট করা অবস্থায় দেখেছি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯০ | 5490 | ۵٤۹۰
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৮. মাথার চুল জট করা
৫৪৯০। হিব্বান ইবনু মূসা ও আহমাদ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে চুল জট করা অবস্থায় ইহরামকালে উচ্চরন তালবিয়া পাঠ করতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ লাব্বাইকা আমি হাযির, হে আল্লাহ! আমি হাজির, আমি হাজির, আপনার কোন শরীক নেই। আমি হাযির, নিশ্চয়ই প্রশংসা এবং অনুগ্রহ কেবল আপনারই, আর রাজত্বও। এতে আপনার কোন শরীক নেই। এ শব্দগুলো থেকে বাড়িয়ে তিনি অতিরিক্ত কিছু বলেন নি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯১ | 5491 | ۵٤۹۱
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৮. মাথার চুল জট করা
৫৪৯১। ইসমাঈল (রহঃ) … হাফসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ হে আল্লাহর রাসূল! লোকজনের কি হল, তারা তাদের উমরার ইহরাম খুলে ফেলেছে অথচ আপনি এখনও আপনার ইহরাম খুলেন নি। তিনি বললেনঃ আমি আমার মাথার চুল জড়ো করে রেখেছি এবং আমার হাদী (কুরবানীর পশু) কে কিলাদা পরিয়েছি। তাই তা যবেহ করার পূর্বে আমি ইহরাম খুলবো না।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯২ | 5492 | ۵٤۹۲
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৯. মাথার চুল মাথার মাঝখানে দুইভাগে বিভক্ত করা
৫৪৯২। আহমাদ ইবনু ইউনুস (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সব ব্যাপারে আহলে কিতারের সামঞ্জস্য রক্ষা করে চলা পছন্দ করতেন, যে সব ব্যাপারে তাকে (কুরআনে) কোন সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়নি। আর আহলে কিতাবরা তাদের চুল ঝুলিয়ে রাখতো এবং মুশরিকরা তাদের মাথার চুল সিথি কেটে রাখতো। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার চুল ঝুলিয়েও রাখতেন এবং সিথিও কাটতেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯৩ | 5493 | ۵٤۹۳
পরিচ্ছদঃ ২৩৯৯. মাথার চুল মাথার মাঝখানে দুইভাগে বিভক্ত করা
৫৪৯৩। আবূল ওয়ালীদ ও ঊবায়দুল্লাহ ইবনু রাজা (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্নিত। তিনি বলেনঃ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহরাম অবস্থায় সিথিতে যে খুশবু লাগাতেন, আমি যেন তার চমক এখনও দেখতে পাচ্ছি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯৪ | 5494 | ۵٤۹٤
পরিচ্ছদঃ ২৪০০. চুলের ঝুটি
৫৪৯৪। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একবার আমি আমার খালা মায়মুনা বিনত হারিসের নিকট রাত যাপন করছিলাম। ঐ রাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কাছে ছিলেন। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে রাতের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতে লাগলেন। আমি তার বাম পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। তখন তিনি আমার চুলের ঝুটি ধরে আমাকে তার ডান পাশে নিয়ে দাঁড় করালেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯৫ | 5495 | ۵٤۹۵
পরিচ্ছদঃ ২৪০০. চুলের ঝুটি
৫৪৯৫। আমর ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … আবূ বিশর (রহঃ) থেকে بِذُؤَابَتِي অথবা بِرَأْسِي বলে বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯৬ | 5496 | ۵٤۹٦
পরিচ্ছদঃ ২৪০১. ‘কাযা’ অর্থাৎ মাথার কিছু চুল মুড়ে ফেলা ও কিছু অংশে চুল রেখে দেয়া
৫৪৯৬। মুহাম্মদ (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে কাযা থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। রাবী উবায়দুল্লাহ বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলামঃ ‘কাযা’ কি? তখন আবদুল্লাহ (রাঃ) আমাদের ইশারা দিয়ে দেখিয়ে বললেনঃ শিশুদের যখন চুল কামান হয় তখন এই, এই জায়গায় চুল রেখে দেওয়া। এ কথা বলার সময় উবায়দুল্লাহ তার কপাল ও মাথার দু’পাশ দেখালেন। পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হলঃ বালক ও বালিকার কি একই হুকুম? তিনি বললেনঃ আমি জানি না। এভাবে তিনি বালকের কথা বলেছেন। উবায়দুল্লাহ বলেনঃ আমি এ কথা পুনরায় জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেনঃ পুরুষ শিশুর মাথার সামনের ও পিছনের দিকের চুল কামান দোষনীয় নয়। আর (অন্য এক ব্যাখ্যা মতে) ‘কাযা’ বলা হয়, কপালের উপরে কিছু চুল রেখে বাকী মাথার কোথাও চুল না রাখা। অনুরুপভাবে মাথার চুল একপাশ থেকে অথবা অপর পাশ থেকে কাটা।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯৭ | 5497 | ۵٤۹۷
পরিচ্ছদঃ ২৪০১. ‘কাযা’ অর্থাৎ মাথার কিছু চুল মুড়ে ফেলা ও কিছু অংশে চুল রেখে দেয়া
৫৪৯৭। মুসলিম ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘কাযা’ করতে নিষেধ করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯৮ | 5498 | ۵٤۹۸
পরিচ্ছদঃ ২৪০২. স্ত্রী কর্তৃক নিজ হাতে স্বামীকে খুশবু লাগিয়ে দেওয়া
৫৪৯৮। আহমাদ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তার মুহরিম অবস্থায় নিজ হাতে খোশবু লাগিয়ে দিয়েছি এবং মিনাতেও সেখান থেকে রওনা হওয়ার পূর্বে তাকে আমি খোশবু লাগিয়েছি।
হাদিস নম্বরঃ ৫৪৯৯ | 5499 | ۵٤۹۹
পরিচ্ছদঃ ২৪০৩. মাথায় ও দাঁড়িতে খুশবু লাগানো
৫৪৯৯। ইসহাক ইবনু নাস্র (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যত উত্তম খোশবু পেতাম, তা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে লাগিয়ে দিতাম। এমনি কি সে খোশবুর চমক তার মাথায় ও দাঁড়িতে দেখতে পেতাম।
হাদিস নম্বরঃ ৫৫০০ | 5500 | ۵۵۰۰
পরিচ্ছদঃ ২৪০৪. চিরুনি করা
৫৫০০। আদম ইবনু আবূ আয়াস (রহঃ) … সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একজন লোক একটি ছিদ্র পথ দিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ঘরে উকি মারে। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন চিরুনি দিয়ে মাথা আঁচড়াচ্ছিলেন। তিনি বললেনঃ আমি যদি বুঝতাম যে, তুমি ছিদ্র দিয়ে তাকিয়ে দেখছ, তা হলে এ (চিরুনি) দিয়ে আমি তোমার চোখ ঘায়েল করে দিতাম। দৃষ্টি থেকে বাঁচাবার জন্যই তো অনুমতি গ্রহনের বিধান রাখা হয়েছে।