বুখারি হাদিস নং ৫০৭১-৫০৭৯

হাদিস নম্বরঃ ৫০৭১ | 5071 | ۵۰۷۱

পরিচ্ছদঃ ২১৬৪. যে সন্তানের আকীকা দেওয়া হবে না, জন্মগ্রহণের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহ্‌নীক করা (কিছু চিবিয়ে তার মুখে দেয়া)
৫০৭১। ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) … আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার একটি পুত্র সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে আমি তাকে নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তিনি তার নাম রাখলেন ইবরাহীম। তারপর খেজুর চিবিয়ে তার মুখে দিলেন এবং তার জন্য বরকতের দু আ করে আমার কাছে ফিরিয়ে দিলেন। সে ছিল আবূ মূসার বড় সন্তান।

হাদিস নম্বরঃ ৫০৭২ | 5072 | ۵۰۷۲

পরিচ্ছদঃ ২১৬৪. যে সন্তানের আকীকা দেওয়া হবে না, জন্মগ্রহণের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহ্‌নীক করা (কিছু চিবিয়ে তার মুখে দেয়া)
৫০৭২। মুসাদ্দাদ (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে তাহনীক করার জন্য এক শিশুকে আনা হলো, শিশুটি তার কোলে পেশাব করে দিল তিনি এতে পানি ঢেলে দিলেন।

হাদিস নম্বরঃ ৫০৭৩ | 5073 | ۵۰۷۳

পরিচ্ছদঃ ২১৬৪. যে সন্তানের আকীকা দেওয়া হবে না, জন্মগ্রহণের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহ্‌নীক করা (কিছু চিবিয়ে তার মুখে দেয়া)
৫০৭৩। ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) … আসমা বিনত আবূ বকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রকে মক্কায় গর্ভে ধারণ করেন। তিনি বলেনঃ গর্ভকাল পূর্ণ হওয়া অবস্থায় আমি বেরিয়ে মদিনায় আসলাম এবং কুবায় অবতরণ করলাম। কুবাতেই আমি তাকে প্রসব করি। তারপর তাকে নিয়ে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাকে তার কোলে রাখলাম। তিনি একটি খেজুর আনতে বললেন। তা চিবিয়ে তিনি তার মুখে দিলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এই লালাই সর্ব প্রথম তার পেটে প্রবেশ করল। তারপর তিনি খেজুর চিবিয়ে তাহনীক করলেন এবং তার জন্য বরকতের দু’আ করলেন। (হিজরতের পরে) ইসলামে সেই ছিল প্রথম জন্মগ্রহনকারী। তাই তার জন্য মুসলিমরা অতন্তে খুশী হয়েছিলেন কারন, তাদের বলা হতো ইয়াহুদীরা তোমাদের যাদু করেছে তাই তোমাদের সন্তান হয় না।

হাদিস নম্বরঃ ৫০৭৪ | 5074 | ۵۰۷٤

পরিচ্ছদঃ ২১৬৪. যে সন্তানের আকীকা দেওয়া হবে না, জন্মগ্রহণের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহ্‌নীক করা (কিছু চিবিয়ে তার মুখে দেয়া)
৫০৭৪। মাতার ইবনু ফাযল (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ তালহার এক ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়লো। আবূ তালহা (রাঃ) বাইরে গেলেন তখন ছেলেটি মারা গেল। আবূ তালহা (রাঃ) ফিরে এসে জিজ্ঞাসা করলেনঃ ছেলেটি কি করছে? উম্মে সুলায়ম বললেনঃ সে আগের চাইতে শান্ত। তারপর তাকে রাতের খাবার দিলেন। তিনি আহার করলেন। তারপর উম্মে সুলায়মের সাথে সহবাস করলেন। সহবাস শেষে উম্মে সুলায়ম বললেনঃ ছেলেটিকে দাফন করে আস। সকাল হলে আবূ তালহা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাকে এ ঘটনা বললেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ গত রাতে তুমি কি স্ত্রীর সঙ্গে রয়েছ? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ! নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইয়া আল্লাহ! তাদের জন্য তুমি বরকত দান কর।

কিছু দিন পর উম্মে সুলায়ম একটি সন্তান প্রসব করলো (রাবী বলেনঃ) আবূ তালহা (রাঃ) আমাকে বললেন, তাকে তুমি দেখাশোনা কর যতক্ষণ না আমি তাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে যাই। তারপর তিনি তাকে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে নিয়ে গেলেন। উম্মে সুলায়ম সাথে কিছু খেজুর দিয়ে দিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে (কোলে) নিলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন তার সাথে কিছু আছে? তারা বললেন হ্যাঁ, আছে। তিনি তা নিয়ে চর্বণ করলেন তারপর মুখ থেকে বের করে বাচ্চাটির মুখে দিলেন। তিনি এর দ্বারাই তার তাহনীক করলেন এবং তার নাম রাখলেন আবদুল্লাহ।

হাদিস নম্বরঃ ৫০৭৫ | 5075 | ۵۰۷۵

পরিচ্ছদঃ ২১৬৪. যে সন্তানের আকীকা দেওয়া হবে না, জন্মগ্রহণের দিনেই তার নাম রাখা ও তাহ্‌নীক করা (কিছু চিবিয়ে তার মুখে দেয়া)
৫০৭৫। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি উক্ত হাদীসটই বর্ণনা করেন।

হাদিস নম্বরঃ ৫০৭৬ | 5076 | ۵۰۷٦

পরিচ্ছদঃ ২১৬৫. আকীকার মাধ্যমে শিশুর অশুচি দূর করা
৫০৭৬। আবূ নুমান (রহঃ) … সালমান ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সন্তানের সাথে আকীকা সম্পর্কিত। সালমান ইবনু আমির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, সন্তানের সাথে আকীকা সম্পর্কিত। তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত (অর্থাৎ আকীকার জন্তু যবাহ) কর এবং তার অশুচি (চুল, নখ ইত্যাদি) দূর করে দাও।

হাদিস নম্বরঃ ৫০৭৭ | 5077 | ۵۰۷۷

পরিচ্ছদঃ ২১৬৫. আকীকার মাধ্যমে শিশুর অশুচি দূর করা
৫০৭৭। আবদুল্লাহ ইবনু আবূল আসওয়াদ (রহঃ) … হাবীব ইবনু শহীদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইবনু সিরীন আমাকে আদেশ দিলেন, আমি যেন হাসানকে জিজ্ঞাসা করি তিনি আকীকার হাদীসটি কার থেকে শুনেছেন? আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ সামুরা ইবনু জুনদুব (রাঃ) থেকে।

হাদিস নম্বরঃ ৫০৭৮ | 5078 | ۵۰۷۸

পরিচ্ছদঃ ২১৬৬. ফারা’ প্রসঙ্গে
৫০৭৮। আবদান (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, (ইসলামে) ফারা বা আতীরা নেই। ফারা হল উটের সে প্রথম বাচ্চা, যা তারা তাদের দেব-দেবীর নামে যবাহ করত। আর আতীরা হলো রজবে যে জন্তু যবাহ দিত।

হাদিস নম্বরঃ ৫০৭৯ | 5079 | ۵۰۷۹

পরিচ্ছদঃ ২১৬৭. আতীরা
৫০৭৯। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (ইসলামে) ফারা ও আতীরা নেই। ফারা হল উটের প্রথম বাচ্চা যা তারা তাদের দেব-দেবীর নামে যবাহ দিত। আর আতীরা যা রজবে যবাহ করতো।