হাদীস নং ৪৬২৭ – কুরআন সংকলন ও সুবিন্যস্তকরণ।
ইবরাহীম ইবনে মূসা রহ………ইউসুফ ইবনে মাহিক রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা.-এর কাছে ছিলাম। এমতাবস্থায় ইরাকী ব্যক্তি এসে তাকে জিজ্ঞাসা করল: কোন্ ধরনের কাফন শ্রেষ্ঠ? তিনি বললেন, আফসোস তোমার প্রতি ! এতে তোমার কি ক্ষতি? তারপর লোকটি বলল, হে উম্মুল মুমিনীন ! আমাকে আপনি আপনার কুরআন শরীফের কপি দেখান। তিনি বললেন, কেন? লোকটি বলল, এ তরতীবে কুরআন শরীফকে বিন্যস্ত করার জন্য। কারণ লোকেরা তাকে অবিন্যস্তভাবে পাঠ করে। আয়েশা রা. বললেন, তোমরা এর যে অংশই আগে পাঠ কর না কেন, এতে তোমাদের কোন ক্ষতি নেই। মুফাসসাল সূরাসমূহের মাঝে প্রথমত ঐ সূরাগুলো অবতীর্ণ হয়েছে। যার মধ্যে জান্নাত ও জাহান্নামের উল্লেখ রয়েছে। তারপর যখন লোকেরা দলে দলে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে লাগল তখন হালাল-হারামের বিধান সম্বলিত সূরাগুলো নাযিল হয়েছে। যদি সূচনাতেই এ আয়াত নাযিল হত যে, তোমরা মদ পান করো না, তাহলে লোকেরা বলত, আমরা কখনো মদপান ত্যাগ করব না। যদি শুরুতেই নাযিল হতো তোমরা ব্যভিচার করো না, তাহলে তারা বলত আমরা কখনো অবৈধ যৌনাচার বর্জন করব না। আমি যখন খেলাধূলার বয়সী একজন বালিকা তখন মক্কায় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি নিম্নলিখিত আয়াতগুলো নাযিল হয়: بل الساعة موعدهم الساعة أدهى وأمرমানে, “অধিকন্তু কিয়ামত তাদের শাস্তির নির্ধারিত কাল এবং কিয়ামত হবে কঠিনতর ও তিক্ততর”। বিধান সম্বলিত সূরা বাকারা ও সূরা নিসা আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে থাকাকালীন অবস্থায় নাযিল হয়। রাবী বলেন, এরপর আয়েশা রা. তাঁর কাছে সংরক্ষিত কুরআনের কপি বের করলেন এবং সূরাসমূহ লেখালেন।