বুখারি হাদিস নং ৪০৬৭

হাদীস নং ৪০৬৭

আহমদ ইবনে ইউনুস রহ………..সাদ (ইবনে আবু ওয়াক্কাস) রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিদায় হজ্জের সময় আমি বেদনাজনিত মরণাপন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে এলেন। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমার রোগে যে কঠিন আকার ধারণ করেছে তা আপনি দেখতেই পাচ্ছেন। আমি একজন বিত্তশালী লোক অথচ আমার একমাত্র কন্যা ব্যতীত অন্য কোন উত্তরাধিকারী নেই। এমতাবস্থায় আমি কি আমার সম্পত্তির দুই-তৃতীয়াংশ সাদকা করে দেব? তিনি বললেন, না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, তবে কি আমি এর অর্ধেক সাদকা করে দেব? তিনি বললেন, না। আমি বললাম, এক-তৃতীয়াংশ, তখন তিনি বললেন, হ্যাঁ, এক-তৃতীয়াংশ অনেক। তুমি তোমার উত্তরাধিকারীদের সচ্ছল অবস্থায় ছেড়ে যাওয়া তাদেরকে অভাবগ্রস্থ অবস্থায় রেখে যাওয়ার চেয়ে উত্তম—যারা পরে মানুষের কাছে হাত পেতে বেড়াবে। আর তুমি যা-ই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিমিত্ত খরচ কর, তার বিনিময়ে তোমাকে প্রতিদান প্রদান করা হবে। এমনকি যে লোকমা তুমি তোমার স্ত্রীর মুখে তুলে ধর তারও। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি কি আমার সাথীদের পিছনে পড়ে থাকব? তিনি বললেন, তুমি পিছনে পড়ে থেকে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে আমল করবে তা দ্বারা তোমার মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ও সমুন্নত হবে। সম্ভবত তুমি পিছনে থেকে যাবে। ফলে তোমার দ্বারা এক সম্প্রদায় উপকৃত হবে। অন্য সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ইয়া আল্লাহ ! আমার সাহাবীদের হিজরত আপনি জারী করে রাখুন। এবং তাদের পিছনের দিকে ফিরিয়ে দিবেন না। কিন্তু আফসোস সাদ ইবনে খাওলা রা.-এর জন্য, (রাবী বলেন) মক্কায় তার মৃত্যু হওয়ায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।