বুখারি হাদিস নং ৪০৫৩ – বিদায় হজ্জ।

হাদীস নং ৪০৫৩ – বিদায় হজ্জ।

ইসমাঈল ইবনে আবদুল্লাহ রহ……….আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বিদায় হজ্জে (মক্কার পথে) রওয়ানা হই। তখন আমরা উমরার ইহরাম বাঁধি। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘোষণা দিলেন, যাদের সঙ্গে কুরবানীর পশু রয়েছে, তারা যেন হজ্জ ও উমরা উভয়ের একসাথে ইহরামের নিয়ত করে এবং হজ্জ ও উমরার অনুষ্ঠানাদি সমাধা করার পূর্বে হালাল না হয়। এভাবে তাঁর সঙ্গে আমি মক্কায় পৌঁছি এবং ঋতুবতী হয়ে পড়ি। এ কারণে আমি বায়তুল্লাহর তাওয়াফের সাফা ও মারওয়ার সায়ী করতে পারলাম না। এ খবর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে অবহিত করলাম। তখন তিনি বললেন, তুমি তোমার মাথার চুল ছেড়ে দাও এবং মাথা (চিরুনি দ্বারা) আঁচড়াও আর কেবল হজ্জের ইহরাম বাঁধ ও উমরা ছেড়ে দাও। আমি তাই করলাম। এরপর আমরা যখন হজ্জের কাজসমূহ সম্পন্ন করলাম, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে আবু বকর রা. সিদ্দীক রা.-এর পুত্র (আমার ভাই) আবদুর রাহমান রা.-এর সাথে তানঈম স্থানে পাঠিয়ে দিলেন। সেখান থেকে (ইহরাম বেঁধে) উমরা আদায় করলাম। তখন তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, এই উমরা তোমার পূর্বের কাযা উমরার পরিপূরক হল। আয়েশা রা. বলেন, যারা উমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন তারা বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং সাফা ও মারওয়ার সায়ী করার পর হালাল হয়ে যান এবং পরে মিনা থেকে প্রত্যাবর্তন করার পর আর এক তাওয়াফ আদায় করেন। আর যারা হজ্জ ও উমরার ইহরাম এক সাথে বাঁধেন (হজ্জে কিরানে) তাঁরা কেবল এক তাওয়াফ আদায় করেন।