বুখারি হাদিস নং ৪০৪১ – ওমান ও বাহরাইনের ঘটনা।

হাদীস নং ৪০৪১ – ওমান ও বাহরাইনের ঘটনা।

কুতাইবা ইবনে সাঈদ রহ………….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, বাহরাইনের অর্থ সম্পদ (জিযিয়া) আসলে তোমাকে এতো পরিমাণ এতো পরিমাণ এতো পরিমাণ দেব। তিনবার বললেন। এরপর বাহরাইন থেকে আর কোন অর্থ সম্পদ আসেনি। অবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত হয়ে গেল। এরপর আবু বাকরের যুগে যখন সেই অর্থ সম্পদ আসল তখন তিনি একজন ঘোষণাকারীকে নির্দেশ দিলেন। সে ঘোষণা করল: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যার ঋণ প্রাপ্য রয়েছে কিংবা কোন ওয়াদা অপূরণ রয়ে গেছে সে যেন আমার কাছে আসে (এবং তা নিয়ে নেয়) জাবির রা. বলেন, আমি আবু বকর রা.-এর কাছে এসে তাকে জানালাম যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছিলেন, যদি বাহরাইন থেকে অর্থ-সম্পদ আসে তাহলে তোমাকে আমি এতো পরিমাণ এতো পরিমাণ দেব। (এতো পরিমাণ কথাটি) তিনবার বললেন। জাবরি রা. বলেন, তখন আবু বকর রা. আমাকে অর্থ-সম্পদ দিলেন। জাবির রা. বলেন, এর কিছুদিন পর আমি আবু বকর রা.-এর সাথে সাক্ষাৎ করলাম। এবং তার কাছে মাল চাইলাম। কিন্তু তিনি আমাকে কিছুই দিলেন না। এরপর আমি তাঁর কাছে দ্বিতীয়বার আসি, তিনি আমাকে কিছুই দেননি। এরপর আমি তাঁর কাছে তৃতীয়বার এলাম। তখনো তিনি আমাকে কিছুই দিলেন না। কাজেই আমি তাকে বললাম, আমি আপনার কাছে এসেছিলাম কিন্তু আপনি আমাকে দেননি। তারপর (আবার) এসেছিলাম তখনো দেননি। এরপরেও এসেছিলাম তখনো আমাকে আপনি দেননি। কাজেই এখন হয়তো আপনি আমাকে সম্পদ দিবেন নয়তো আমি মনে করব: আপনি আমার ব্যাপারে কৃপণতা অবলম্বন করেছেন। তখন তিনি বললেন, এ কি বলছ তুমি ‘আমার ব্যাপারে কৃপণতা করছেন’ (তিনি বললেন) কৃপণতা থেকে মারাত্মক ব্যাধি আর কি হতে পারে। কথাটি তিনি তিনবার বললেন। (এরপর তিনি বললেন) যতবারই আমি তোমাকে সম্পদ দেয়া থেকে বিরত রয়েছি ততবারই আমার ইচ্ছা ছিল যে, (অন্য কোথাও থেকে) তোমাকে দেব। আমর (ইবনে দীনার রহ.) মুহাম্মদ ইবনে আলী রা.-এর মাধ্যমে জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আবু বকর রা.-এর কাছে আসলে তিনি আমাকে বললেন, এ (আশরাফী) গুলো গুণ, আমি ঐগুলো গুণে দেখলাম এখানে পাঁচ শ’ রয়েছে। তিনি বললেন, (ওখান থেকে) এ পরিমাণ আরো দু’বার তুলে নাও।