বুখারি হাদিস নং ৪০৩১

হাদীস নং ৪০৩১

ইয়াহইয়া ইবনে সুলাইমান ও বকর ইবনে মুদার রহ………..বুকাইর রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনে আব্বাস রা. -এর আযাদকৃত গোলাম কুরাইব রহ. তাকে বর্ণনা করেছেন যে, ইবনে আব্বাস আবদুর রহমান ইবনে আযহার এবং মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রা. (এ তিনজনে) আমাকে আয়েশা রা. -এর কাছ পাঠিয়ে বললেন, তাকে আমাদের সবার পক্ষ থেকে সালাম জানাবে। এবং তাকে আসরের পরের দু’রাকআত নামায সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে। কারণ আমরা অবহিত হয়েছি যে, আপনি নাকি এই দ’রাকআত নামায আদায় করেন অথচ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ দু’রাকআত নামায আদায় করত নিষেধ করেছেন—এ হাদীসও আমাদের কাছে পৌঁছেছে। ইবনে আব্বাস রা. বলেন, আমি উমর রা. সহ এ দু’রাকআত নামায আদায়কারী লোকজদেরকে প্রহার করতাম। কুরাইব রহ. বলেন, আমি তাঁর (আয়েশা রা.) কাছে গেলাম এবং তারা আমাকে যে ব্যাপারে পাঠিয়েছেন তা জানালাম। তিনি বললেন, বিষয়টি উম্মে সালমা রা.-এর কাছে জিজ্ঞাসা কর। এরপর আমি তাদেরকে (আয়েশা রা.-এর জবাবের কথা) জানালে তাঁরা আবার আমাকে উম্মে সালামা রা.-এর কাছে পাঠালেন এবং আয়েশা রা.-এর কাছে যা বলতে বলেছিলেন সেসব কথা তাঁর কাছেও গিয়ে বলতে বললেন। তখন উম্মে সালমা রা. বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি যে, তিনি দু’রাকআত নামায আদায় করা থেকে নিষেধ করেছেন। কিন্তু একদিন তিনি আসরের নামায আদায় করে আমার ঘরে প্রবেশ করলেন। এ সময় আমার কাছে ছিল আনসারদের বনী হারাম গোত্রের কতিপয় মহিলা। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। আমি তা দেখে খাদীমা-কে পাঠিয়ে বললাম, তুমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পাশে গিয়ে দাঁড়াবে এবং বলবে উম্মে সালমা রা. আপনাকে এ কথা বলছেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি কি আপনাকে এ দু’রাকআত আদায় করা থেকে নিষেধ করতে শুনিনি? অথচ দেখতে পাচ্ছি আপনি সেই দু’রাকআত আদায় করছেন। এরপর যদি তিনি হাত দিয়ে ইশারা করেন তাহলে পিছনে সরে যাবে। খাদীমা গিয়ে (সেভাবে কথাটি) বলল। তিনি হাত দিয়ে ইশারা করলেন। খাদীমা পেছনের দিকে সরে গেল। এরপর নামায সেরে তিনি বললেন, হে আবু উমাইয়ার কন্যা ! (উম্মে সালমা) তুমি আমাকে আসরের পরের দু’রাকআত নামাযের কথা জিজ্ঞাসা করছ। আসলে আজ আবদুল কায়েস গোত্র থেকে তাদের কয়েকজন লোক আমার কাছে ইসলাম গ্রহণ করতে এসেছিল। তাঁরা আমাকে ব্যস্ত রাখার কারণে যুহরের পরের দু’রাকআত নামায আদায় করার সুযোগ আমার হয়নি। আর সেই দু’রাকআত হল এ দু’রাকআত নামায।