হাদীস নং ৪০২০ – জারীর রা.-এর ইয়ামান গমন।
আবদুল্লাহ ইবনে আবু শায়বা আবসী রহ…………জারীর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইয়ামানে ছিলাম। এ সময়ে একদা যুকালা ও যু’আমর নামে ইয়ামানের দু’ব্যক্তির সাথে আমার সাক্ষাত হল। আমি তাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীস শোনাতে লাগলাম। (রাবী বলেন) এমন সময়ে যুআমর রাবী জারীর রা.-কে বললেন, তুমি যা বর্ণনা করছ তা যদি তোমার সাথীরই (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর) কথা হয়ে থাকে তাহলে মনে রেখো যে, তিন দিন আগে তিনি ইন্তিকাল করে গেছেন। (জারীর বলেন, কথাটি শুনে আমি মদীনা অভিমুখে ছুটলাম) তারা দুজনেও আমার সাথে সম্মুখের দিকে চললেন। অবশেষে আমরা একটি রাস্তার ধারে পৌঁছলে মদীনার দিক থেকে আসা একদল সাওয়ারীর সাক্ষাৎ পেলাম। আমরা তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলল, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাত হয়ে গেছে। মুসলমানদের সম্মতিক্রমে আবু বকর রা. খলীফা নির্বাচিত হয়েছেন। তারপর তারা দু’জন (আমাকে) বলল, (তুমি মদীনায় পৌঁছলে) তোমার সাথী (আবু বকর) রা. কে বলবে যে, আমরা কিছুদূর পর্যন্ত এসেছিলাম। সম্ভবত আবার আসব ইনশাআল্লাহ, এ কথা বলে তারা দু’জনে ইয়ামানের দিকে ফিরে গেল। এরপর আমি আবু বকর রা.-কে তাদরে কথা জানালাম। তিনি (আমাকে) বললেন, তাদেরকে তুমি নিয়ে আসলে না কেন? পরে আরেক সময় (যুআমরের সাথে সাক্ষাৎ হলে০ তিনি আমাকে বললেন, হে জারীর ! তুমি আমার চেয়ে অধিক সম্মানী। তবুও আমি তোমাকে একটি কথা জানিয়ে দিচ্ছি যে, তোমরা আরব জাতি ততক্ষণ পর্যন্ত কল্যাণ ও সাফল্যের মধ্যে অবস্থান করতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তোমরা একজন আমীর মারা গেলে অপরজনকে (পরামর্শের মাধ্যমে) আমীর বানিয়ে নেবে। আর তা যদি তরবারির জোরে ফায়সালা হয় তাহলে তোমাদের আমীরগণ (জাগতিক) অন্যান্য রাজা বাদশাদের মতোই হয়ে যাবে। তারা রাজাসুলভ ক্রোধ, রাজাসুলভ সন্তুষ্টি প্রকাশ করবে। (খলীফা ও খিলাফত আর অবশিষ্ট থাকবে না)।