বুখারি হাদিস নং ৪০০৫ – বিদায় হজ্জের পূর্বে আবু মূসা আশআরী রা. এবং মুআয (ইবনে জাবাল) কে ইয়ামানের উদ্দেশ্যে প্রেরণ।

হাদীস নং ৪০০৫ – বিদায় হজ্জের পূর্বে আবু মূসা আশআরী রা. এবং মুআয (ইবনে জাবাল) কে ইয়ামানের উদ্দেশ্যে প্রেরণ।

মূসা রহ………….আবু বুরদা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু মূসা এবং মুআয ইবনে জাবাল রা-কে ইয়ামানের উদ্দেশ্য পাঠালেন। রাবী বলেন, তৎকালে ইয়ামানে দুটি প্রদেশ ছিল। তিনি তাদের প্রত্যেককে ভিন্ন ভিন্ন প্রদেশে পাঠিয়ে বলে দিলেন, তোমরা (এলাকাবাসীদের সাথে) কোমল আচরণ করবে, কঠিন আচরণ করবে না। এলাকাবাসীদের মনে সুসংবাদের মাধ্যমে উৎসাহ সৃষ্টি করবে, অনীহা সৃষ্টি হতে দেবে না। এরপর তাঁরা দুজনে নিজ নিজ শাসন এলাকায় চলে গেলেন। আবু বুরদা রা. বললেন, তাদের প্রত্যেকেই যখন নিজ নিজ এলাকায় সফর করতেন এবং অন্যজনের কাছাকাছি স্থানে পৌঁছে যেতেন তখন তাঁর সাথে সাক্ষাৎ হলে তাদের সালাম বিনিময় করতেন। এভাবে মুআয রা. একবার তাঁর এলাকায় এমন স্থানে সফর করছিলেন, যে স্থানটি তাঁর সাথী আবু মূসা রা.-এর এলাকার নিকটবর্তী ছিল। সুযোগ পেয়ে তিনি খচ্চরের পিঠে চড়ে (আবু মূসার এলাকায়) পৌঁছে গেলেন। তখন তিনি দেখলেন যে আবু মূসা রা. বসে আছেন আর তাঁর চারপাশে অনেক লোক জমায়েত হয়ে রয়েছে। আরো দেখলেন, পাশে এক লোককে তার গলার সাথে উভয় হাত বেঁধে রাখা হয়েছে। মুআয রা. তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, হে আবদুল্লাহ ইবনে কায়েস ! এ লোকটি কে? তিনি উত্তর দিলেন, এ লোকটি ইসলাম গ্রহণ করার পর মুরতাদ হয়ে গেছে। মুআয রা. বলেন, তাকে হত্যা না করা পর্যন্ত আমি সাওয়ারী থেকে অবতরণ করব না। আবু মূসা রা. বললেন, এ উদ্দেশ্যেই তাকে এখানে আনা হয়েছে। সুতরাং আপনি অবতরণ করুন। তিনি বললেন, না তাকে হত্যা না করা পর্যন্ত আমি নামব না। ফলে আবু মূসা রা. হুকুম করলেন এবং লোকটিকে হত্যা করা হল। এরপর মুআয রা. অবতরণ করলেন। মুআয রা. বললেন, হে আবদুল্লাহ ! আপনি কিভাবে কুরআন তিলাওয়াত করেন? তিনি বললেন, আমি (রাত-দিনের সব সময়ই) কিছুক্ষণ পরপর কিছু অংশ কর তিলাওয়াত করে থাকি। তিনি বললেন, আর আপনি কিভাবে তিলাওয়াত করেন, হে মুআয ! উত্তরে তিনি বললেন, আমি রাতের প্রথম ভাগে শুয়ে পড়ি এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিদ্রা যাওয়ার পর আমি উঠে পড়ি। এরপর আল্লাহ আমাকে যতটুকু তাওফীক দান করেন তিলাওয়াত করতে থাকি। এ পদ্ধতি অবলম্বন করার জন্য আমি আমার নিদ্রার অংশকেও সাওয়াবের বিষয় বলে মনে করি, যেভাবে আমি আমার তিলাওয়াতকে সাওয়াবের বিষয় বলে মনে করে থাকি।