হাদীস নং ৩৯৭৩
মুহাম্মদ ইবনে মুকাতিল রহ…………..উরওয়া ইবনে যুবাইর রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর যামানায় (মক্কা) বিজয় অভিযানের সময়ে জনৈক মহিলা চুরি করেছিল। তাই তার গোত্রের লোকজন আতংকিত হয়ে গেল এবং উসামা ইবনে যায়েদ রা.-এর কাছে এসে (উক্ত মহিলার ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট সুপারিশ করার জন্য অনুরোধ করল। উরওয়া রা. বলেন, উসামা রা. এ ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে যখনি কথা বললেন, তখন তাঁর চেহারার রং পরিবর্তিত হয়ে গেল। তিনি উসামা রা.-কে বললেন, তুমি কি নির্ধারিত একটি হুকুম (হাদ) প্রয়োগ করার ব্যাপারে আমার কাছে সুপারিশ করছ? উসামা রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। এরপর সন্ধ্যা হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবা দিতে দাঁড়ালেন। যথাযথভাবে আল্লাহর হামদ ও প্রশংসা পাঠ করে বললেন, ‘আম্মা বাদ’ তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতরা এ কারণে ধ্বংস হয়েছিল যে, তারা তাদের মধ্যকার অভিজাত শ্রেণীর কোন লোক চুরি করলে তার উপর শরীয়ত নির্ধারিত দণ্ড প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকত। পক্ষান্তরে কোন দুর্বল লোক চুরি করলে তার উপর দণ্ড প্রয়োগ করত। যার হাতে মুহাম্মদের প্রাণ তাঁর শপথ, যদি মুহাম্মদের কন্যা ফাতিমাও চুরি করত তাহলে আমি তার হাত কেটে দিতাম। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সেই মহিলাটির হাত কেটে দিতে আদেশ দিলেন। ফলে তার হাত কেটে দেওয়া হল। অবশ্য পরবর্তীকালে সে উত্তম তাওবার অধিকারিণী হয়েছিল এবং (বানু সুলামের গোতের এক ব্যক্তির সঙ্গে) তার বিয়ে হয়েছিল। আয়েশা রা. বলেন, এ ঘটনার পর সে আমার কাছে প্রায়ই আসত। আমি তার বিভিন্ন প্রয়োজন ও সমস্যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খেদমতে পেশ করতাম।