হাদীস নং ৩৮৩১
আবুল ইয়ামান রহ………..জাবির রা. থেকে বর্ণিত ,তিনি নাজদ এলাকায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। (অন্য এক সনদে) ইসমাঈল রহ………..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি নাজদ এলাকায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যুদ্ধ শেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সেখান থেকে) প্রত্যাবর্তন করলে তিনিও তাঁর সাথে প্রত্যাবর্তন করলেন। পথিমধ্যে কাঁটা গাছ ভরা এক উপত্যকায় মধ্যাহ্নের সময় তাদের ভীষণ গরম অনুভূত হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এখানেই অবতরণ করলেন। লোকজন সবাই ছায়াবান গাছের খোঁজে কাঁটাবনের মাঝে ছড়িয়ে পড়ল। এদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি বাবলা গাছের নিচে অবস্থান করে তরবারিখানা গাছে লটকিয়ে রাখলেন। জাবির রা. বলেন, সবেমাত্র আমরা নিদ্রা গিয়েছি। এমতাবস্থায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ডাকতে আরম্ভ করলেন। আমরা সকলেই তাঁর কাছে উপস্থিত হলাম। তখন তাঁর কাছে এক বেদুঈন বসা ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি নিদ্রিত ছিলাম, এমতাবস্থায় সে আমার তরবারিখানা হস্তগত করে কোষমুক্ত অবস্থায় তা আমার উপর উচিয়ে ধরলে আমি জাগ্রত হই। তখন সে আমাকে বলল, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে কে রক্ষা করবে? আমি বললাম, আল্লাহ ! দেখ না, এই তো সে বসা আছে। (এ জঘন্যতম অপরাধের পরও) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে কোন প্রকার শাস্তি প্রদান করেননি। (অপর এক সনদে) আবান রহ……….জাবির রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, যাতুর রিকার যুদ্ধে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। আমরা একটি ছায়বান বৃক্ষের কাছে গিয়ে পৌঁছলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর আরামের জন্য আমরা তা ছেড়ে দিলাম। এমন সময় এক মুশরিক ব্যক্তি এসে গাছের সাথে লটকানো নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর তরবারিখানা হাতে নিয়ে তা তাঁর উপর উচিয়ে ধরে বলল, তুমি আমাকে ভয় পাও কি? তিনি বললেন, না। এরপর সে বলল, এখন তোমাকে আমার হাত থেকে রক্ষা করবে কে? তিনি বললেন, আল্লাহ। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ তাকে ধমক দিলেন। এরপর নামায আরম্ভ হলে তিনি মুসলমানদের একটি দলকে নিয়ে দু’রাকআত নামায আদায় করলেন। তারা এখান থেকে হটে গেলে অপর দলটি নিয়ে তিনি আরো দু’রাকাত নামায আদায় করলেন। এভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হল চার রাকাত এবং সাহাবীগণের হল দু’রাকআত নামায। (অন্য এক সুত্রে) মুসাদ্দাদ রহ………..আবু বিশর রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি যে লোকটি তলোয়ার উচু করেছিল তার নাম হল গাওরাস ইবনে হারিস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অভিযানে খাসাফার বংশধর মুহারিব গোত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। আবু যুবাইর রহ…………জাবির রা. থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেছেন, নাখল নামক স্থানে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ছিলাম। তিনি এ সময় সালাতুল খাওফ আদায় করেছেন। আবু হুরায়রা রা. বলেন, নাজদের যুদ্ধে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে সালাতুল খাওফ আদায় করেছি। আবু হুরায়রা রা. খায়বার যুদ্ধের সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসেছিলেন।