হাদীস নং ৩৭৯০
আবদুল আলা ইবনে হাম্মাদ রহ………….আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত যে, রিল, যাওয়অন উসায়্যা ও বনূ লিহইয়ানের লোকেরা শত্রু র মুকাবিলা কারার জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করলে সত্তরজন আনসারী সাহাবী পাঠিয়ে তিনি তাদেরকে সাহায্য করলেন। সেকালে আমরা তাদেরকে ক্বারী নামে অভিহিত করতাম। তারা দিনের বেলা লাকড়ি কুড়াতেন এবং রাতের বেলা নামাযে কাটাতেন। যেতে যেতে তাঁরা বিরে মাউনার নিকট পৌঁছলে তারা (আমির ইবনে তোফায়লের আহবানে ঐ গোত্র চতুষ্টয়ের লোকেরা) তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে এবং তাদেরকে শহীদ করে দেয়। এ সংবাদ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে পৌঁছলে তিনি এক মাস পর্যন্ত ফজরের নামাযে আরবের কতিপয় গোত্র তথা রিল, যাকওয়ান, উসায়্যা এবং বনূ লিহইয়ানের প্রতি বদদোয়া করে কুনূত পাঠ করেন। আনাস রা. বর্ণনা করেছেন যে, তাদের সম্পর্কি কিছু আয়াত পাঠ করতাম। অবশ্য পরে এর তিলাওয়াত রহিত হয়ে যায়। (একটি আয়াত ছিল) অর্থাৎ “আমাদের কাওমের লোকদেরকে জানিয়ে দাও। আমরা আমাদের প্রভুর সান্নিধ্যে পৌঁছে গিয়েছি। তিনি আমাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং আমাদেরকেও সন্তুষ্ট করেছেন”। কাতাদা রা. আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি তাকে বলেছেন, আল্লাহর নবী হযরত মুহাম্মদ সা. এক মাস পর্যন্ত ফজরের নামাযে আরবের কতিপয় গোত্র —তথা রিল, যাকওয়ান, উসায়্যা এবং বনূ লিহইয়ানের প্রতি বদদোয়া করে কুনুত পাঠ করেছেন। (ইমাম বুখারী রহ.-এর উস্তাদ) খলীফা রহ. এতটুকু অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, ইবনে যুরাই রহ. সাঈদ ও কাতাদা রা.-এর মাধ্যমে আনাস রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, যে ,তাঁরা ৭০ জন সকলেই ছিলেন আনসার। তাদেরকে বিরে মাউনা নামক স্থানে শহীদ করা হয়েছিল। (ইমাম বুখারী রহ.) বলেন, এখানে “কুরআন” শব্দটি কিতাব বা অনুরূপ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে।