বুখারি হাদিস নং ৩৬৪৫

হাদীস নং ৩৬৪৫

মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ………….খারিজা ইবনে যায়েদ ইবনে সাবিত রা. বলেন, উম্মুল আলা রা. নামক জনৈক আনসারী মহিলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর হাতে বায়আত করেন। তিনি বর্ণনা করেন, যখন মুহাজিরদের অবস্থানের ব্যাপারে আনসারদের মধ্যে লটারী অনুষ্ঠিত হল তখন উসমান ইবনে মাযউনের বসবাস আমাদে ভাগে পড়ল। উম্মুল আলা রা. বলেন, এরপর তিনি আমাদের এখানে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। আমি তার সেবা শুশ্রূষা করলাম, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর ওফাত হয়ে গেল। আমরা কাফনের কাপড় পরিয়ে দিলাম। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এখানে তাশরীফ আনলেন। ঐ সময় আমি উসমান রা.-কে লক্ষ্য করে বলছিলাম। হে আবু সায়িব ! তোমার উপর আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। তোমার ব্যাপারে আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ নিশ্চয়ই তোমাকে সম্মানিত করেছেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কেমন করে জানলে যে, আল্লাহ তাকে সম্মানিত করেছেন? আমি বললাম, আমার মাত-পিতা আপনার উপর কুরবান হোক। ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমি তো জানিনা। (তবে তাকে যদি সম্মানিত করা না হয়) তবে কাকে আল্লাহ সম্মানিত করবেন? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর কসম, উসমানের মৃত্যু হয়ে গেছে। আল্লাহর কসম, আমি তার সম্বন্ধে কল্যাণের আশা পোষণ করছি। আল্লাহর কসম, আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্ত্বেও জানিনা আল্লাহর তাঁর সাথে কি ব্যবহার করবেন। উম্মুল আলা রা. বলেন, আল্লাহর কসম, আমি এ কথা শুনার পর আর কাউকে (দৃঢ়তার সহিত) পূত-পবিত্র বলব না। উম্মুল আলা রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এ কথা আমাকে চিন্তিত করল। এরপর আমি স্বপ্নে দেখতে পেলাম যে, উসমান ইবনে মাযউন রা. এর জন্য একটি নহর প্রবাহিত রয়েছে। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে আমার স্বপ্নটি ব্যক্ত করলে তিনি বললেন, এ হচ্ছে তার (নেক) আমল।