বুখারি হাদিস নং ৩৪৩৫ – উসমান ইবনে আফফান রা.-এর প্রতি বায়আত ও তাঁর উপর (জনগণের) ঐক্যমত হওয়ার ঘটনা এবং এতে উমর ইবনে খাত্তাব রা.- শাহাদাতের বর্ণনা।

হাদীস নং ৩৪৩৫

মূসা ইবনে ইসমাঈল রহ…………আমর ইবনে মায়মূন রহ. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমর ইবনে খাত্তাব রা.-কে আহত হওয়ার কিছুদিন পূর্বে মদীনায় দেখেছি যে, তিনি হুযায়ফা ইবনে ইয়ামান রা. ও উসমান ইবনে হুনায়ফ রহ.-এর নিকট দাঁড়িয়ে তাদেরকে লক্ষ্য করে বলছেন, (ইরাকবাসীর উপর কর ধার্যের ব্যাপারে) তোমরা এটা কি করলে? তোমরা কী আশংকা করছ যে তোমরা ইরাক ভূমির উপর যে কর ধার্য করেছ তা বহনে ঐ ভূখন্ড অক্ষম? তারা বললেন, আমরা যে পরিমাণ কর ধার্য করেছি, ঐ ভূ-খন্ড তা বহনে সক্ষম। এতে অতিরিক্ত কোন বোঝা চাপান হয়নি। তখন উমর রা. বললেন, তোমরা পুনঃ চিন্তা করে দেখ যে তোমরা এ ভূখণ্ডের উপর যে কর আরোপ করেছ তা বহনে সক্ষম নয়? বর্ণনাকারী বলেন, তাঁরা বললেন, না (সাধ্যাতীত কর আরোপ করা হয়নি) এরপর উমর রা. বললেন, আল্লাহ যদি আমাকে সুস্থ রাখের তবে ইরাকের বিধবাগণকে এমন অবস্থায় রেখে যাব যে তারা আমার পরে কখনো অন্য কারো মুখাপেক্ষী না হয়। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর চতুর্থ দিন তিনি (ঘাতকের আঘাতে) আহত হলেন। যেদিন প্রত্যুষে তিনি আহত হন, আমি তাঁর কাছে দাঁড়িয়েছিলাম এবং তাঁর ও আমার মাঝে আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ব্যতীত অন্য কেউ ছিল না। উমর রা. (সালাত শুরু করার প্রাক্কালে) দু’কাতারের মধ্য দিয়ে চলার সময় বলতেন, কাতার সোজা করে নাও। যখন দেখতেন কাতারে কোন ত্রু টি নেই তখন তাকবীর বলতেন। তিনি অধিকাংশ সময় সূরা ইউসুফ, সূরা নাহল অথবা এ ধরণের (দীর্ঘ) সূরা (ফজরের) প্রথম রাকআতে তিলাওয়াত করতেন, যেন অধিক পরিমাণে লোক প্রথম রাকআতে শরীক হতে পারেন। (সেদিন) তাকবীর বলার পরেই আমি তাকে বলতে শুনলাম, একটি কুকুর আমাকে আঘাত করেছে অথবা বলেন, আমাকে আক্রমণ করেছেন। ঘাতক ‘ইলজ’ দ্রুত পলায়নের সময় দু’ধারী খজ্ঞর দিয়ে ডানে বামে আঘাত করে চলছে। এভাবে তের জনকে আহত কর। এদের মধ্যে সাতজন শহীদ হলেন। এ অবস্থা দৃষ্টে এক মুসলিম তার লম্বা চাদরটি ঘাতকের উপর ফেলে দিলেন। ঘাতক যখন বুঝতে পারল সে ধরা পড়ে যাবে তখন সে আত্মহত্যা করল। উমর রা. আবদুর রাহমান ইবনে আউফ রা.-এর হাত ধরে আগে এগিয়ে দিলেন। উমর রা.-এর নিকটবর্তী যারা ছিল শুধুমাত্র তারাই ব্যাপরটি দেখতে পেল। আর মসজিদের প্রান্তে যারা ছিল তারা ব্যাপারটি এর বেশী বুঝতে পারল না যে উমর রা. -এর কণ্ঠস্বর শুনা যাচ্ছে না। তাই তারা ‘সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ’ বলতে লাগলেন। আবদুর রহমান ইবনে আউফ রা. তাদেরকে নিয়ে সংক্ষেপে সালাত আদায় করলেন। যখন মুসল্লীগণ চলে গেলেন, তখন উমর রা. বললেন, হে ইবনে আব্বাস রা. দেখ তো কে আমাকে আঘাত করল। তিনি কিছুক্ষণ অনুসন্ধান করে এসে বললেন, মুগীরা ইবনে শুবা রা.-এর গোলাম (আবু লুলু) উমর রা. জিজ্ঞাসা করলেন, ঐ কারীগর গোলামটি ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। উমর রা. বললেন, আল্লাহ তার সর্বনাশ করুন। আমি তার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ আমার মৃত্যু ইসলামের দারীদার কোন ব্যক্তির হাতে ঘটাননি। হে ইবনে আব্বাস রা. তুমি এবং তোমার পিতা মদীনায় কাফির গোলামের সংখ্যা বৃদ্ধি পছন্দ করতে। আব্বাস রা.-এ নিকট অনেক অমুসলিম গোলাম ছিল। ইবনে আব্বাস রা. বললেন, যদি আপনি চান তবে আমি কাজ করে ফেলি অর্থাৎ আম তাদেরকে হত্যা করে ফেলি। উমর রা. বললেন, তুমি ভুল বলছ। (তুমি তা করতে পার না) কেননা তারা তেমাদের ভাষায় কথা বলে তোমাদের কিবলামুখী হয়ে সালাত আদায় করে, তোমাদের ন্যায় হজ্জ করে। তারপর তাকে তাঁর ঘরে নেয়া হল। আমরা তাঁর সাথে চললাম। মানুষের অবস্থা দৃষ্টে মনে হচ্ছিল, ইতিপূর্বে তাদের উপর এতবড় মসীবত আর আসেনি। কেউ কেউ বলছিলেন, ভয়ের কিছু নেই। আবার কেউ বলছিলেন, আমি তাঁর সম্পর্কে আশংকাবোধ করছি। তারপর খেজুরের শরবত আনা হল তিনি তা পান করলেন। কিন্তু তা তার পেট থেকে বেরিয়ে পড়ল। এরপর দুধ আনা হল, তিনি তা পান করলেন; তাও তার পেট থেকে বেরিয়ে পড়ল। তখন সকলই বুঝতে পারলেন মৃত্যু তাঁর অবশ্যম্ভাবী। আমরা তাঁল নিকট উপস্থিত হলাম। অন্যান্য লোকজনও আসতে শুরু করল। সকলেই তার প্রশংসা করতে লাগল। তখন যুবক বয়সী একটি লোক এসে বলল, হে আমীরুল মুমিনীন। আপনার জন্য আল্লাহর সুসংবাদ রয়েছে; আপনি তা গ্রহণ করুন। আপনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এ সাহচর্য গ্রহণ করেছেন। ইসলামের প্রাথমিক যুগেই আপনি তা গ্রহণ করেছেন, যে, সম্পর্কে আপনি নিজেই অবগত আছেন তারপর আপনি খলীফা হয়ে ন্যায় বিচার করেছেন। তারপর আপনি শাহাদাত লাভ করেছেন। উমর রা. বললেন, আমি পছন্দ করি যে তা আমার জন্য ক্ষতিকর বা লাভজনক না হয়ে সমান সমান হয়ে যাক। যখন যুবকটি চলে যেতে উদ্যত হল তখন তার (পরিহিত) লুঙ্গিটি মাটি ছুয়ে যাচ্ছিল। (এ দেখে) উমর রা. বললেন, যুবকটকে আমার নিকট ডেকে আন। (ছেলেটি আসল) তিনি বললেন, হে ভাতিজা, তোমার কাপড়টি উঠিয়ে নাও। এটা তোমার কাপড়ের পরিচ্ছন্নতার উপর এবং তোমার রবের নিকটও পছন্দীয়। (তারপর তিনি বললেন) হে আবদুল্লাহ ইবনে উমর তুমি হিসাব করে দেখ আমার ঋণের পরিমাণ কত। তাঁরা হিসাব করে দেখতে পেলেন ছিয়াশি হাজার (দিরহাম) বা এর কাছাকাছি। তিনি বললেন, যদি উমরের পরিবার পরিজনের মাল দ্বারা তা পরিশোধ হয়ে যায়, তবে তা দিয়ে পরিশোধ করে দাও। অন্যথায় আদি ইবনে কাব এর বংশধরদের নিকট থেকে সাহায্য গ্রহণ কর। তাদের মাল দিয়েও যদি ঋণ পরিশোধ না হয় তবে কুরাইশ কবিলা থেকে সাহায্য গ্রহণ করবে এর বাহিরে কারো সাহায্য গ্রহণ করবে না। আমার পক্ষ থেকে তাড়াতাড়ি ঋণ আদায় করে দাও। উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা.-এর খেদমতে তুমি যাও এবং বল উমর আপনাকে সালাম পাঠিয়েছে। আমীরুল মুমিনীন, শব্দটি বলবে না। কেননা এখন আমি মুমিনগণের আমীর নই। তাকে বল উমর ইবনে খাত্তাব তাঁর সাথীদ্বয়ের পাশে দাফন হওয়ার অনুমতি চাচ্ছেন। ইবনে উমর রা. আয়েশা রা.-এর খেদমতে গিয়ে সালাম জানিয়ে প্রবেশের অনুমতি চাইলেন। তিনি বললেন, প্রবেশ কর, তিনি দেখলেন, আয়েশা রা. বসে বসে কাঁদছেন। তিনি গিয়ে বললেন, উমর ইবনে খাত্তাব রা. আপনাকে সালাম পাঠিয়েছেন এবং তাঁর সাথীদ্বয়ের পাশে দাফন হওয়ার জন্য আপনার অনুমতি চেয়েছেন। আয়েশা রা. বললেন, তা আমার আকাঙ্খা ছিল। কিন্তু আজ আমি এ ব্যাপারে আমার উপরে তাকে অগ্রাধিকার প্রদান করছি। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. যখন ফিরে আসছেন তখন বলা হল, এই যে আবদুল্লাহ ফিরে আসছে। তিনি বললেন, আমাকে উঠিয়ে বসাও। তখন এক ব্যক্তি তাকে ঠেস দিয়ে বসিয়ে ধরে রাখলেন। উমর রা. জিজ্ঞাসা করলেন, কি সংবাদ ? তিনি বললেন, আমীরুল মুমিনীন, আপনি যা আকাঙ্খা করেছেন, তাই হয়েছে, তিনি অনুমতি দিয়েছেন। উমর রা. বললেন, আলহামদুলিল্লাহ। এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কোন বিষয় আমার নিকট ছিলনা। যখন আমার ওফাত হয়ে যাবে তখন আমাকে উঠিয়ে নিয়ে তাকে (আয়েশা রা.) আমার সালাম জানিয়ে বলবে, উমর ইবনে খাত্তাব রা. আপনার অনুমতি চাচ্ছেন। যদি তিনি অনুমতি দেন তবে আমাকে প্রবেশ করাবে আর যদি তিনি অনুমতি না দেন তবে আমাকে সাধারণ মুসলমানদের গোরস্থানে নিয়ে যাবে। এ সময় উম্মুল মুমিনীন হাফসা রা.-কে কতিপয় মহিলাসহ আসতে দেখে আমরা উঠে পড়লাম। হাফসা রা. তাঁর কাছে গিয়ে কিছুক্ষণ কাঁদলেন। তারপর পুরুষগণ এসে প্রবেশের অনুমতি চাইলে, তিনি ঘরের ভিতর চলে (গেলেন) ঘরের ভেতর হতেও আমরা তাঁর কান্নার আওয়াজ শুনতে পাচ্ছিলাম। তাঁরা (সাহাবীগণ) বললেন, হে আমীরুল মুমিনীন, আপনি ওয়াসিয়্যাত করুন এবং খলীফা মনোনীত করুন। উমর রা. বললেন, খিলাফতের জন্য এ কয়েকজন ব্যতীত অন্য কাউকে আমি যোগ্যতম পাচ্ছি না, যাদের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর ইন্তিকালের সময় রাযী ও খুশী ছিলেন। তারপর তিনি তাদের নাম বললেন, আলী, উসমান, যুবাইর, তালহা, সাদ ও আবদুর রাহমান ইবনে আউফ রা. এবং বললেন, আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. তোমাদের সাথে থাকবে। কিন্তু সে খিলাফত লাভ করতে পারবে না। তা ছিল শুধু সান্ত্বনা হিসাবে। যদি খিলাফতের দায়িত্ব সাদ রা.-এর উপর ন্যস্ত করা হয় তবে তিনি এর জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি। আর যদি তোমাদের মধ্যে অন্য কেউ খলীফা নির্বাচিত হন তবে তিনি যেন সর্ব বিষয়ে তাদের সাহায্য ও পরামর্শ গ্রহণ করেন। আমি তাকে (কুফার গভর্নরের পদ থেকে) অযোগ্যতা বা খিয়ানতের কারণে অপসারণ করিনি। আমার পরে (নির্বাচিত) খলীফাকে আমি ওয়াসিয়্যাত করছি, তিনি যেন প্রথম যুগের মুহাজিরগণের হক সম্পর্কে সচেতন থাকেন, তাদের মান-সম্মান রক্ষায় সচেষ্ট থাকেন। এবং আমি তাকে আনসার সাহাবীগণের যারা মুহাজিরগণের আগমনের পূর্বে এই নগরীতে বসবাস করে আসছিলেন এবং ঈমান এনেছেন তাদের প্রতি সদ্ব্যবহার করার ওয়সিয়্যাত করছি, যে, তাদের মধ্যে নেককারগণের ওযর আপত্তি যেন গ্রহণ করা হয় এবং তাদের মধ্যে কারোর বিভিন্ন শহরের আধিবাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার করেন। কেননা তাঁরাও ইসলামের হেফাযতকারী। এবং তারাই ধন-সম্পদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ যাকাত আদায় করা হয়। আমি তাকে পল্লীবাসীদের সহিত সদ্ব্যবহার করারও ওয়সিয়্যাত করছি। কেননা তারাই আরবের ভিত্তি এবং ইসলামের মূল শক্তি। তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত সম্পদ এনে তাদের দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেয় হয়। আমি তাঁতে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জিম্মিদের (অর্থাৎ সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়) বিষয়ে ওয়াসিয়্যাত করছি যে, তাদের সাথে কৃত অঙ্গীকার যেন পুরা করা হয়। (তারা কোন শত্রু দ্বারা আক্রান্ত হলে) তাদের পক্ষাবলম্বনে যেন যুদ্ধ করা হয়, তাদের শক্তি সামর্থ্যের অধিক জিযিয়া (কর) যেন চাপানো না হয়। উমর রা.-এর ইন্তিকাল হয়ে গেলে আমরা তাঁর লাশ নিয়ে পায়ে হেঁটে চললাম। আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. আয়েশা রা.-কে সালাম করলেন এবং বললেন, উমর ইবনে খাত্তাব রা. অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন, তাকে প্রবেশ করাও। এরপর তাকে প্রবেশ করান হল এবং তাঁর সঙ্গীদ্বয়ের পার্শ্বে দাফন করা হল। যখন তাঁর দাফন কার্য সম্পন্ন হল, তখন ঐ ব্যক্তিবর্গ একত্রিত হলেন। তখন আবদুর রাহমান রা. বললেন, তোমরা তোমাদের বিষয়টি তোমাদের মধ্যে থেকে তিনজনের উপর ছেড়েও দাও। তখন যুবাইর রা. বললেন, আমি আমরা বিষয়টি আলী রা.-এর উপর অর্পণ করলাম। তালহা রা. বললেন, আমার বিষয়টি উসমান রা.-এর উপর ন্যস্ত করলাম। সাদ রা. বললন, আমার বিষয়টি আবদুর রাহমা ইবনে আউফ রা.-এর উপর ন্যস্ত করলাম। তারপর আবদুর রাহমান রা. উসমান ও আলী রা-কে বললেন,আপনাদের দুজনের মধ্য থেকে কে এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পেতে ইচ্ছা করেন? (একজন অব্যাহতি দিলে) এ দায়িত্ব অপর জনের উপর অর্পণ করব। আল্লাহ ইসলামের হক আদায় করা তাঁর অন্যতম দায়িত্ব হবে। কে অধিকতর যোগ্য সে সম্পর্কে দুজনেরই চিন্ত করা উচিৎ। ব্যক্তিদ্বয় (উসমান ও আলী রা.) নীরব থাকলেন। তখন আবদুর রাহমান রা. নিজেই বললেন, আপনারা এ দায়িত্ব আমার উপর ন্যস্ত করতে পারেন কি? আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আপনাদের মধ্যকার যোগ্যতম ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে একটুও ত্রু টি করব না। তাঁরা উভয়ে বললেন, হ্যাঁ। তাদের একজনের (আলী রা.-এর) হাত ধরে বললেন, রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আপনার যে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা এবং ইসলাম গ্রহণে অগ্রগামিতা রয়েছে তা আপনিও ভালভাবে জানেন। আল্লাহর ওয়াস্তে এটা আপনার জন্য জরুরী হবে যে যদি আপনাকে খলীফা মনোনীত করি তাহলে আপনি ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করবেন। আর যদি উসমান রা.-কে মনোনীত করি তবে আপনি তাঁর কথা শুনবেন এবং তাঁর প্রতি অনুগত থাকবেন। তারপর তিনি অপরজনের (উসমানের রা.-এর) সঙ্গে একান্তে অনুরূপ কথা বললেন। এভাবে অঙ্গীকার গ্রহণ করে তিনি বললেন, হে উসমান রা. আপনার হাত বাড়িয়ে দিন। তিনি (আবদুর রাহমান রা. তাঁর হাতে বায়আত করলেন। তারপর আলী রা. তাঁর (উসমান রা.-এর বায়আত করলেন)। এরপর মদীনাবাসীগ অগ্রসর হয়ে সকলেই বায়আত করলেন।