হাদীস নং ৩৩৫২
আবুল ইয়ামান রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দরবারে উপস্থিত ছিলাম। তিনি কিছু গনীমতের মাল বণ্টন করছিলেন। তখন বানু তামীম গোত্রের জুলখোয়াইসিরাহ নামে এক ব্যক্তি এসে হাযির হল এবং বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আপনি (বণ্টন) ইনসাফ করুন। তিনি বললেন, তোমার দুর্ভাগ্য ! আমি যদি ইনসাফ না করি, তবে ইনসাফ করবে কে? আমি তো নিষ্ফল ও ক্ষতিগ্রস্থ হব যদি ইনসাফ না করি। উমর রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমাকে অনুমতি দিন আমি এর গর্দান উড়িয়ে দেই। তিনি বললেন, একে যেতে দাও। তার এমন কিছু সঙ্গী সাথী আছে তোমাদের কেউ তাদের সালাতের তুলনায় নিজের সালাত এবং সিয়াম তুচ্ছ বলে মনে করবে। এরা কুরআন পাঠ করে, কিন্তু কুরআন তাদের কণ্ঠনালীর নিম্নদেশে প্রবেশ করে না। তারা দীন থেকে এমনভাবে (দ্রুত) বেরিয়ে যাবে যেমন তীর ধনুক থেকে বেরিয়ে যায়। তীরের অগ্রভাগের লোহা দেখা যাবে কিন্তু (শিকারের) কোন চিহ্ন পাওয়া যাবে না। কাঠের অংশটুকু দেখলে তাতেও কিছু পাওয়া যাবে না। মধ্যবর্তী অংশটুকু দেখলে তাতেও কিছু পাওয়া যাবে না। তার পালক দেখলে তাতেও কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না। অথচ তীরটি শিকারী জন্তুর নাড়িভূড়ি ভেদ করে রক্তমাংস অতিক্রম করে বেরিয়ে গেছে। এদের নিদর্শন হল এমন একটি কাল মানুষ যার একটি বাহু মেয়ে লোকের স্তনের ন্যায় অথবা মাংস টুকরার ন্যায় নড়াচড়া করবে। তারা লোকদের মধ্যে বিরোধ কালে আত্মপ্রকাশ করবে। আবু সাঈদ রা. বলেন, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আমি স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট থেকে একথা শুনেছি। আমি এ-ও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আলী ইবনে আবু তালিব রা. এদের সঙ্গে যুদ্ধ করেছেন। আমিও তার সঙ্গে ছিলাম। তখন আলী রা. ঐ ব্যক্তিকে তালাশ করে বের করতে আদেশ দিলেন। তালাশ করে যখন আনা হল। আমি মনোযোগের সহিত লক্ষ্য করে তার মধ্যে ঐ সব চিহ্নগুলি দেখতে পেলাম, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন।