হাদীস নং ৩১৭৫
ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ………..আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার এক ইয়াহুদী তার কিছু দ্রব্য সামগ্রী বিক্রির জন্য পেশ করছিল, তার বিনিময়ে তাকে এমন কিছু দেওয়া হল যা সে পছন্দ করল না। তখন সে বলল, না ! সেই সত্তার কসম, যে মূসা আ.-কে মানব জাতির উপর মর্যাদা দান করেছেন। এ কথাটি একজন আনসারী (মুসলিম) শুনলেন, তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন। আর তার (ইয়াহুদীর) মুখের উপর এক চড় মারলেন। আর বললেন, তুমি বলছো সেই সত্তার কসম! যিনি মূসাকে মানব জাতির উপর মর্যাদা দান করেছেন অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মাঝে বিদ্যমান। তখন সে ইয়াহুদী লোকটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেল এবং বলল, হে আবুল কাসিম! নিশ্চয়ই আমার জন্য নিরাপত্তা এবং আহাদ রয়েছে অর্থাৎ আমি একজন যিম্মী। অতএব অমুক ব্যক্তির কি হল, কি কারণে সে আমার মুখে চড় মারলো? তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কেন তুমি তার মুখে চড় মারলে? আনসারী ব্যক্তি ঘটনাটি বর্ণনা করলো। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগান্বিত হলেন। এমনকি তাঁর চেহারায় তা প্রকাশ পেল। তারপর তিনি বললেন, আল্লাহর নবীগণের মধ্যে কাউকে কারো উপর (অন্যকে হেয় করে) মর্যাদা দান করো না। কেননা কিয়ামতের দিন যখন শিঙ্গায় ফুক দেওয়া হবে, তখন আল্লাহ যাকে চাইবেন সে ব্যতীত আসমান ও যমীনের বাকী সবাই বেহুঁশ হয়ে যাবে। তারপর দ্বিতীয়বার তাঁতে ফুক দেওয়া হবে। তখন সর্বপ্রথম আমাকেই উঠানো হবে। তখনই আমি দেখতে পাব মূসা আ. আরশ ধরে রয়েছেন। আমি জানি না, তূর পর্বতের ঘটনার দিন তিনি যে বেহুঁশ হয়েছিলেন, এটা কি তারই বিনিময়, না আমারই আগে তাকে উঠানো হয়েছে? আর আমি এ কথাও বলি না যে কোন ব্যক্তি ইউনুস ইবনে মাত্তার চেয়ে অধিক মর্যাদাবান।