বুখারি হাদিস নং ৩১২০

হাদীস নং ৩১২০

সাঈদ ইবনে তালীদ রুআইনী ও মুহাম্মদ ইবনে মাহবুব রহ…………আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবরাহীম আ. তিনবার ব্যতীত কখনও কথাকে ঘুরিয়ে পেচিয়ে বলেননি। তন্মধ্যে দু’বার ছিল আল্লাহ প্রসঙ্গে। তার উক্তি “আমি অসুস্থ” (৩৭:৮৯) এবং তাঁর আবার এক উক্তি “বরং এ কাজ করেছে, এই তো তাদের বড়টি” (২১:৬৩) বর্ণনাকারী বলেন, একদা তিনি (ইবরাহীম আ. এবং তাঁর পত্নী) সারা অত্যাচারী শাসকগণের কোন এক শাসকের এলাকায় এসে পৌঁছলেন। (তা ছিল মিসর) তখন তাকে (শাসককে) সংবাদ দেয়া হল যে, এ এলাকায় এসেছে। তার সাথে একজন সর্বাপেক্ষা সুন্দরী মহিলা রয়েছে। তখন সে (রাজা) তাঁর (ইবরাহীম) কাছে লোক পাঠাল। সে তাকে মহিলাটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল, এ মহিলাটি কে? তিনি উত্তর দিলেন, মহিলাটি আমার বোন। তারপর তিনি সারা কাছে আসলেন এবং বললেন, হে সারা, তুমি আর আমি ছাড়া পৃথিবীর উপর আর কোন মুমিন নেই। এ লোকটি আমাকে তোমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিল। তখন আম তাকে জানিয়েছি যে, তুমি আমার বোন। কাজেই তুমি আমাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করো না। এরপর (অত্যাচারী রাজা) সারাকে আনার জন্য লোক পাঠালো। তিনি (সারা) যখন তার (রাজার) কাছে প্রবেশ করলেন এবং রাজা তাঁর দিকে হাত বাড়ালো তখনই সে (আল্লাহর গযবে) পাকড়াও হল। তখন অত্যাচারী রাজা সারাকে বলল, আমার জন্য আল্লাহর নিকট দু’আ কর, আমি তোমার কোন ক্ষতি করব না। তখন সারা আল্লাহর নিকট দু’আ করলেন। ফলে সে মুক্তি পেয়ে গেল। এরপর দ্বিতীয়বার তাকে ধরতে চাইল। এবার সে পূর্বের ন্যায় বা তার চেয়ে কঠিনভাবে (আল্লাহর গযবে) পাকড়াও হল। এবারও সে বলল, আল্লাহর কাছে আমার জন্য দু’আ কর। আমি তোমার কো ক্ষতি করব না। আবারও তিনি দু’আ করলেন, ফলে সে মুক্তি পেয়ে গেল। তারপর রাজা তার কোন এক দারোয়ানকে ডাকল। সে তাকে বলল, তুমি তো আমার কাছে কোন মানুষ আননি। বরং এনেছ এক শয়তান। তারপর রাজা সারার খেদমতের জন্য হাজেরাকে দান করল। এরপর তিনি (সারা) তাঁর (ইবরাহীম) কাছে আসলেন, তিনি দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করছিলেন। তখন তিনি (সালাতরত অবস্থায়) হাত দ্বারা ইশারা করে সারাকে বললেন, কি ঘটেছে? তখন সারা বললেন, আল্লাহ কাফির বা ফাসিকের চক্রান্ত তারই বক্ষে ফিরিয়ে দিয়েছেন। (অর্থাৎ তার চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিয়েছেন)। আর সে (রাজা) হাজেরাকে খেদমতের জন্য দান করেছে। আবু হুরায়রা রা. বলেন, হে আকাশের পানির সন্তানগণ! এ হাজেরাই তোমাদের আদি মাতা।