বুখারি হাদিস নং ২৯১৬

হাদীস নং ২৯১৬

আলী ইবনে আবদুল্লাহ রহ………..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি আমার নিকট বাহরাইনের মাল আসে, তবে আমি তোমাকে (দুই হাত মিলিয়ে) এ পরিমাণ ও এ পরিমাণ দান করব। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকাল অবধি তা এলো না। তারপর যখন বাহরাইনের মাল এল, তখন আবু বকর রা. ঘোষণা দানকারীকে এ ঘোষণা দেয়ার আদেশ করলেন যে, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট যার কোন ঋণ বা প্রতিশ্রুতি রয়েছে, সে যেন আমার নিকট আসে। এরপর আমি তাঁর নিকট গিয়ে বললাম, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এত এত ও এত দেয়ার কথা বলেছেন। তখন আবু বকর রা. তিনবার অঞ্জলী ভরে দান করেন। সুফিয়ান রা. তাঁর দুই হাত একত্র করে অঞ্জলী করে আমাদের বললেন, ইবনে মুনকাদির এরূপই বলেছেন। জাবির রা. বলেন, তারপর আমি আবু বকর রা.-এর নিকট এলাম এবং তাঁর কাছে চাইলাম। তিনি আমাকে দিলেন না। আবার আমি তাঁর কাছে এলাম। তখনও তিনি আমাকে দিলেন না। আবার আমি তাঁর কাছে তৃতীয়বার এসে বললাম, আমি আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। আবার আমি তাঁর কাছে চেয়েছি, তখনও আপনি আমাকে দেননি। পুনরায় আমি আপনার নিকট চেয়েছি, আপনি আমাকে দেননি। এখন আমাকে আপনি দেবেন, না হয় আমার সঙ্গে কার্পণ্য করবেন। আবু বকর রা. বললেন, তুমি আমাকে বলছ, কার্পণ্য করবেন? আমি যতবারই তোমাকে দিতে অস্বীকার করি না কেন, আমার ইচ্ছা যে, আমি তোমাকে দেই। সুফিয়ান রহ. বলেন, আমর রহ. মুহাম্মদ ইবনে আলী রহ. সুত্রে জাবির রা. থেকে বর্ণনা করেছেন, (তিনি বলেন) আবু বকর রা. আমকে এক অঞ্জলী দিয়ে বললেন, এটা গুণে নাও। আমি গণনা করে দেখলাম, পাঁচশত। তখন তিনি বললেন, এরূপ আরও দুবার নিয়ে নাও। আর ইবনুল মুনকাদিরের বর্ণনায় আছে যে, (আবু বকর রা.) কার্পণ্য অপেক্ষা বড় রোগ কী হতে পারে?