বুখারি হাদিস নং ২৮৭৪

হাদীস নং ২৮৭৪

আবদুল আযীয ইবনে আবদুল্লাহ রহ………..উম্মুল মুমিনীন আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ফাতিমা বিনতে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর ছিদ্দীক রা.-এর নিকট রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তেকালের পর তাঁর মিরাস বণ্টনের দাবী করেন। যা রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফায় (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) হিসাবে আল্লাহ তা’আলা কর্তৃক তাকে প্রদত্ত সম্পদ থেকে রেখে গেছেন। তখন আবু বকর রা. তাকে বললেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাদের পরিত্যক্ত সম্পদ বণ্টিত হবে না আমরা যা ছেড়ে যাই, তা সাদকা রূপে গণ্য হয়। এতে ফাতিমা বিনতে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অসন্তুষ্ট হলেন এবং আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর সঙ্গে কথাবার্তা বলা ছেড়ে দিলেন। এ অবস্থা তাঁর মৃত্যু পর্যন্ত বহাল ছিল। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ওফাতের পর ফাতিমা রা. ছয় মাস জীবিত ছিলেন। আয়িশা রা. বলেন, ফাতিমা রা. আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর নিকট রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক ত্যাজ্য খায়বার ও ফাদাকের ভূমি এবং মদীনার সাদকাতে তাঁর অংশ দাবী করেছিলেন। আবু বকর রা. তাকে তা প্রদানে অস্বীকৃতি জানান এবং তিনি বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা আমল করতেন, আমি তাই আমল করব। আমি তার কোন কিছুই ছেড়ে দিতে পারি না। কেননা আমি আশংকা করি যে, তাঁর কোন কথা ছেড়ে দিয়ে আমি পথভ্রষ্ট হয়ে না যাই। অবশ্য রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদীনার সাদকাকে উমর রা. তা আলী ও আব্বাস রা.-কে হস্তান্তর করেন। আর খায়বার ও ফাদাকের ভূমিকে পূর্ববৎ রেখে দেন। উমর রা. এ প্রসঙ্গে বলেন, এ সম্পত্তি দুটিকে রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জরুরী প্রয়োজন পূরণ ও বিপত্কালীন সময়ে ব্যয়ের জন্য রেখেছিলেন। সুতরাং এ সম্পত্তি দুটি তারই দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে, যিনি মুসলমানদের শাসন ক্ষমতার অধিকারী খলীফা হবেন। যুহরী রহ. বলেন, এ সম্পত্তি দুটির ব্যবস্থাপনা অদ্যাবধি সেরূপই রয়েছে।