বুখারি হাদিস নং ২৮৬৩ – প্রয়োজনবোধে জিম্মি মুসলিম মহিলার চুল দেখা এবং তাদের বিবস্ত্র করা, যখন তারা আল্লাহ তা’আলার নাফরমানী করে।

হাদীস নং ২৮৬৩

মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে হাওশাব তায়িফী রহ……….আবু আবদুর রহমান রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি ছিলেন উসমান রা.-এর সমর্থক। তিনি ইবনে আতিয়্যাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যিনি আলী রা.-এর সমর্থক ছিলেন, কোন বস্তু তোমাদের সাথী (আলী রা.-কে রক্তপাতে সাহস যুগিয়েছে, তা আমি জানি। আমি তাঁর কাছে শুনেছি, তিনি বলতেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এবং যুবাইর (ইবনে আওয়াম) রা.কে প্রেরণ করেছেন, আর বলেছেন, তোমরা খাক বাগান অভিমুখে চলে যাও, সেখানে তোমরা একজন মহিলাকে পাবে, হাতিব তাকে একটি পত্র দিয়েছি। আমরা সে বাগানে পৌঁছলাম এবং মহিলাটিকে বললাম, পত্রখানি দাও সে বলল, সে বলল, (হাতিব) আমাকে কোন পত্র দেয়নি। তখন আমরা বললাম, হয় তুমি পত্র বের করে দিল। রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (আমাদের পত্রসহ প্রত্যাবর্তনের পর) হাতিবকে ডেকে পাঠান। তখন সে বলল, আমার ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করবেন না। আল্লাহর কসম! আমি কুফরী করিনি, আমার হৃদয়ে ইসলামের প্রতি অনুরাগই বর্ধিত হয়েছে। আপনার সাহাবীগণের মধ্যে কেউই এমন নেই, মক্কায় যার সাহায্যকারী আত্মীয়-স্বজন না আছে। যদ্বারা আল্লাহ তা’আলা তাঁর পরিবার-পরিজন ধন-সম্পদ রক্ষা করেছেন। আর আমার এমন কেউ নেই। তাই আমি তাদের প্রতি অনুগ্রহ করতে চেয়েছি। (যার বিনিময়ে তারা আমার মাল-আওয়াদ হিফাজত করবে) তখন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সত্যবাদী রূপে স্বীকার করে নিলেন। উমর রা. বললেন, লোকটিকে আমার আমার হাতে ছেড়ে দিন, আমি তার গর্দান উড়িয়ে দেই, সে তো মুনাফিকী করেছে। তখন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তুমি জান কি ? অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা আহলে বদর সম্পর্কে ভালভাবে অবহিত রয়েছেন এবং তাদের সম্পর্কে তিনি বলেছেন, তোমরা যেমন ইচ্ছা আমল কর। একথাই তাকে (আলী রা. দুঃসাহসী করেছে।