হাদীস নং ২৮৫৯
মুহাম্মদ ইবনে মুসান্ন রহ……..জারীর ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, বলেন, রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, তুমি কি যুলখালাসা মন্দিরটিকে ধ্বংস করে আমাকে সান্ত্বনা দিবে না? এ ঘরটি খাসআম গোত্রের একটি মন্দির ছিল। যাকে ইয়ামানের কাবা বলা হত। এরপর আমি আহমাস গোত্রের দেড়শ লোক নিয়ে রওয়ানা হলাম। তাঁরা সবাই নিপুণ অশ্বারোহী ছিলেন। আমি রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জানালাম যে, আমি ঘোড়ার উপর স্থির থাকতে পারি না। তখন তিনি আমার বুকে হাত দ্বারা আঘাত করলেন। এমনকি আমি আমার বুকে তাঁর আঙ্গুলের ছাপ দেখতে পেলাম এবং তিনি আমার জন্য দু’আ করে বললেন, হে আল্লাহ! তাকে ঘোড়ার পিঠে স্থির রাখ এবং তাকে পথপ্রদর্শক ও সুপথ প্রাপ্ত করুন। অবশেষে জারীর রা. তথায় গমন করলেন। ঐ মন্দিরটি ভেঙ্গে দিলেন ও জ্বালিয়ে দিলেন। এরপর রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সুসংবাদ প্রদানের জন্য দূত প্রেরণ করলেন। জারীর রা.-এর দূত রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, যিনি আপনাকে সত্য দীনসহ প্রেরণ করেছেন, সে সত্তার কসম! আমি ততক্ষণ পর্যন্ত আপনার নিকট আসিনি, যতক্ষণ না আমি তাকে জ্বালিয়ে কাল উটের ন্যায় করে ছেড়েছি। (অর্থাৎ তা জ্বালিয়ে ছাই করে দিয়েছি) তখন রাসূলূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আহমাস গোত্রের অশ্বারোহী ও পদাতিক লোকদের জন্য পাঁচবার বরকতের দু’আ করলেন। মুসাদ্দাদ রহ. বলেন, হাদীসে উল্লেখিত যুলখালাসা অর্থ গোত্রের একটি ঘর।