বুখারি হাদিস নং ২৬১১ – আল্লাহর বাণী: মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সঙ্গে তাদের কৃত অঙ্গীকার পূর্ণ করে দেখিয়েছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষায় রয়েছে। তারা তাদের অঙ্গীকারে কোন পরিবর্তন করেনি।

হাদীস নং ২৬১১

মুহাম্মদ ইবনে সাঈদ খুযায়ী রহ……..আনাস ইবনে মালিক রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার চাচা আনাস ইবনে নাযার রা. বদরের যুদ্ধের সময় অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! মুশরিকদের সঙ্গে আপনি প্রথম যে যুদ্ধ করেছেন, আমি সে সময় অনুপস্থিত ছিলাম। আল্লাহ যদি আমাকে মুশরিকদের বিরুদ্ধে কোন যুদ্ধে শরীক মুসলিমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়লে আনাস ইবনে নাযার রা. বলেছিলেন, ইয়া আল্লাহ ! এরা অর্থাৎ তাঁর সাহাবীরা যা করেছেন, তার সম্বন্ধে আপনার কাছে ওযর পেশ করছি এবং এরা অর্থাৎ মুশরিকরা যা করেছে তা থেকে আমি নিজেকে সম্পর্কহীন বলে ঘোষণা করছি। তারপর তিনি এগিয়ে গেলেন, এবং সাদ ইবনে মুআযের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাত হল। তিনি বললেন, হে সাদ ইবনে মুআয, নাযারের রবের কসম, উহুদের দিক থেকে আমি জান্নাতের সুগন্ধ পাচ্ছি। সাদ রা. বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি যা করেছেন, আমি তা করতে পারিনি। আনাস রা. বলেন, আমরা তাকে এমতাবস্থায় পেয়েছি যে, তার দেহে আশিটিরও অধিক তলোয়ার, বর্শা ও তীরের যখম রয়েছে। আমরা তাকে নিহত অবস্থায় পেলাম। মুশরিকরা তার দেহ বিকৃত করে ফেলেছিল। তার বোন ছাড়া কেউ তাকে চিনতে পারেনি এবং বোন তার আঙ্গুলের ডগা দেখে চিনতে পেরেছিল। আনাস রা. বলেন, আমাদের ধারণা, কুরআনের এই আয়াতটি: من المؤمنين رجال صدقوا ما عاهدوا الله عليه الآية তাঁর এবং তাদের মত মুমিনদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। আনাস রা. আরো বলেন, রুবিয়্যা নামক তার এক বোন কোন এক মহিলার সামনের দাঁত ভেঙ্গে দিলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার কিসাসের নির্দেশ দেন। আনাস রা. বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সেই সত্তার কসম, যিনি আপনাকে হকসহ পাঠিয়েছেন, তার দাঁত ভাঙ্গা হবে না। পরবর্তীতে তার বাদীপক্ষ কিসাসের পরিবর্তে ক্ষতিপূরণ নিতে রাযী হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আল্লাহর এমন কিছু বান্দা আছেন, যারা কসম করলে আল্লাহ তা পূরণ করে দেন।