বুখারি হাদিস নং ২৫৩০ – ইসলাম গ্রহণ, আহকাম ও ক্রয়-বিক্রয়ে যে সব শর্ত জায়েজ।

হাদীস নং ২৫৩০

ইয়াহইয়া ইবনে বুকাইর রহ………মারওয়ান ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণ থেকে বর্ণনা করেন, (সুলহে হুদায়বিয়ার দিন) সেদিন সুহাইল ইবনে আমর যখন সন্ধিপত্র লিখলেন তখন সুহাইল ইবনে আমর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি এরূপ শর্তারোপ করলে যে, আমাদের কেউ আপনার কাছে আসলে সে আপনার দীন গ্রহণ করা সত্ত্বেও আপনি তাকে আমাদের কাছে ফিরিয়ে দিবেন। আর আমাদের ও তার মধ্যে হস্তক্ষেপ করবেন না। মুমিনরা এটা অপছন্দ করলেন এবং এতে ক্রুদ্ধ হলেন। সুহাইল এটা ছাড়া সন্ধি করতে অস্বীকার করল। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে শর্ত মেনেই সন্ধিপত্র লেখালেন। সেদিন তিনি আবু জামদান রা.-কে তার পিতা সুহাইল ইবনে আমরের কাছে ফেরত দিলেন। মুমিন মহিলাগণও হিজরত করে আসলেন। সে সময় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে যারা এসেছিলেন তাদের মধ্যে উম্মে কুলসুম বিনতে উকবা ইবনে আবু মুয়ায়ত রা. ছিলেন। তিনি ছিলেন যুবতী। তাঁর পরিজন একা তাকে তাদের নিকট ফেরত দেওয়ার জন্য নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে দাবী জানালো। কিন্তু তাকে তিনি তাদের কাছে ফেরত দিলেন না। কেননা, সেই মহিলাদের সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা আয়াত নাযিল করেছিলেন : মুমিন মহিলাগণ হিজরত করে তোমাদের কাছে আসলে তাদের তোমরা পরীক্ষা কর। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্বন্ধে সম্যক অবগত আছেন। যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন তবে তাদেরকে কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠাবে না (৬০ : ১০)। উরওয়া রা. বলেন, আয়িশা রা. আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই আয়াতের ভিত্তিতেই তাদের পরীক্ষা করে দেখতেন। উরওয়া রা. বলেন, আয়িশা রা. বলেছেন, তাদরে মধ্যে যারা এই শর্তে সম্মত হত তাকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শুধু একথা বলতেন, আমি তোমাকে বায়আত করলাম। আল্লাহর কসম ! বায়আত গ্রহণে তাঁর হাত কখনো কোন মহিলার হাত স্পর্শ করেনি। তিনি তাদের শুধু (মুখের) কথার মাধ্যমে বায়আত করেছেন।