বুখারি হাদিস নং ২৫২৭ – ইমাম মিমাংসার নির্দেশ দেওয়ার পর তা অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ফয়সালা দিতে হবে।

হাদীস নং ২৫২৭

আবুল ইয়ামান রহ………..যুবাইর রা. থেকে বর্ণিত যে, তিনি এক আনসারীর সাথে বিবাদ করেছিলেন, যিনি বদরে শরীক ছিলেন। তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে গিয়ে পাথরী যমীনের একটি নালা সম্পর্কে অভিযোগ করলেন। তারা উভয়ে সে নালা থেকে পানি সেব করতেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবাইরকে বললেন, হে যু্বাইর! তুমি প্রথমে পানি সেচবে। তারপর তোমার প্রতিবেশীর দিকে পানি ছেড়ে দিবে। আনসারী তখন রেগে গেল এবং বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! সে আপনার ফুফুর ছেলে বলে (এ বিচার) ? এতে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর চেহারার রং বদলে গেল। তারপর তিনি বললেন, তুমি সেচ কর, তারপর পানি আটকে রাখ, বেষ্টনীর বরাবর পৌঁছা পর্যন্ত। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবাইর রা.-কে তার পূর্ণ হক দিলেন। এর আগে যুবাইর রা.-কে তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছিলেন যা আনসারীর জন্য সুবিধাজনক ছিল। কিন্তু আনসারী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে রাগান্বিত করলে সুস্পষ্ট নির্দেশের যুবাইর রা.-কে তিনি তার পূর্ণ হক দান করলেন। উরওয়া রা. বলেন, যুবাইর রা. বলেছেন, আল্লাহর কসম! আমার নিশ্চিত ধারণা যে (আল্লাহর বাণী) : কিন্তু না, আপনার প্রতিপালকের শপথ! তারা মুমিন হবে না যতক্ষণ তারা তাদের নিজেদের বিবাদ বিসম্বাদের বিচার ভার আপনার উপর অর্পন না করে (৪: ৬৫) আয়াতটি সে ব্যাপারেই নাযিল হয়েছিল।