হাদীস নং ২৫১৯
উবায়দুল্লাহ ইবনে মূসা রহ………বারা ইবনে আযিব রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যিলকাদ মাসে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমরার উদ্দেশ্যে বের হলেন। কিন্তু মক্কাবাসীরা তাকে মক্কা প্রবেশের জন্য ছেড়ে দিতে অস্বীকার করল। অবশেষে এই শর্তে তাদের সাথে ফয়সালা করলেন যে, তিনদিন সেখানে অবস্থান করবেন। সন্দিপত্র লিখতে গিয়ে মুসলিমরা লিখলেন, এ সন্ধিপত্র সম্পাদন করেছেন, আল্লাহর রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম । তারা (মুশরিকরা) বলল, আমরা তাঁর রিসালত স্বীকার করি না। আমরা যদি একথাই মানে করতাম যে, আপনি আল্লাহর রাসূল তাহলে আপনাকে বাধা দিতাম না। তবে আপনি হলেন, আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ। তিনি বললেন, আমি আল্লাহর রাসূল এবং আবদুল্লাহর পুত্র মুহাম্মদ । তারপর তিনি আলীকে বললেন, রাসূলুল্লাহ শব্দটি মুছে দাও। তিনি বললেন, না। আল্লাহর কসম, আমি আপনাকে (রাসূলুল্লাহ শব্দটি) কখনো মুছব না। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন চুক্তিপত্রটি নিলেন এবং লিখলেন, এ সন্ধিপত্র মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ সম্পন্ন করেন-খাপ বদ্ধ অস্ত্র ছাড়া আর কিছু নিয়ে তিনি মক্কায় প্রবেশ করবেন না। মক্কাবাসীদের কেউ তাঁর সঙ্গে যেতে চাইলে তিনি বের করে দিবেন না। আর তাঁর সঙ্গীদের কেউ মক্কায় থাকতে চাইলে তাকে বাঁধা দিবেন না। তিনি যখন মক্কায় প্রবেশ করলেন এবং নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেল, তখন তারা এসে আলীকে বলল, তোমার সঙ্গীকে আমাদের এখান থেকে বের হতে বল। কেননা, নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হয়ে গেছে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রওয়ানা হলেন। তখন হামজার মেয়ে হে চাচা, হে চাচা, বলেন তাদের পেছনে পেছনে চলল। আলী রা. তাকে হাত ধরে নিয়ে এলেন এবং ফাতিমাকে বললেন, এই নাও, তোমার চাচার মেয়েকে। আমি ওকে তুলে এনেছি। আলী, যায়েদ ও জাফর তাকে নেওয়ার ব্যাপারে বিতর্কে প্রবৃত্ত হলেন। আলী রা. বললেন, আমি তার বেশী হকদার। কারণ সে আমার চাচার মেয়ে। জাফর রা. বললেন, সে আমার চাচার মেয়ে এবং তার খালা আমার স্ত্রী। যায়েদ রা. বললেন, সে আমার ভাইয়ের মেয়ে। এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খালার অনুকূলে ফয়সালা দিলেন এবং বললেন, খালা মায়ের স্থলবর্তী। আর আলীকে বললেন, আমি তোমার এবং তুমি আমার। জাফরকে বললেন, তুমি আকৃতি ও প্রকৃতিতে আমার সদৃশ্য। আর যায়েদকে বললেন, তুমি তো আমাদের ভাই ও আযাদকৃত গোলাম।