হাদীস নং ২৫১১
সাঈদ ইবন আবু মারয়াম (রহঃ)……..সাহল ইবন সা‘দ (রা) থেকে বর্ণিত যে, আমর ইবন আওফ গোত্রের কিছু লোকের মধ্যে সামান্য বিবাদ ছিল। তাই নাবী (সাঃ) . তাঁর সাহাবীগণের একটি জামায়াত নিয়ে তাদের মধ্যে আপস-মিমাংশা করে দেওয়ার জন্য সেখানে গেলেন। এদিকে সালাতের সময় হয়ে গেল। কিন্তু নাবী (সাঃ) . মসজিদে নববীতে এসে পৌছেন নি। বিলাল (রা- সালাতের আযান দিলেন, কিন্তু নাবী (সাঃ) . তখনও এসে পৌঁছেন নি। পরে বিলাল (রা) আবূ বকর (রা)-এর কাছে এসে বললেন, নাবী (সাঃ) . কাজে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। এদিকে সালাতেরও সময় হয়ে গেছে। আপনি সালাতে লোকদের ইমামতি করবেন? তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমি যদি ইচ্ছা কর।’ তারপর বিলাল (রা) সালাতের ইকামত বললেন, আর আবূ বকর (রা) এগিয়ে গেলেন। পরে নাবী (সাঃ) . এলেন এবং কাতারগুলো অতিক্রম করে প্রথম কাতারে এসে দাঁড়ালেন। (তা দেখে) লোকেরা হাততালি দিতে শুরু করল এবং তা অধিক মাত্রায় দিতে লাগলেন। আবু বকর (রা) সালাত অবস্থায় কোন দিকে তাকাতেন না, কিন্তু (হাততালির কারণে) তিনি তাকিয়ে দেখতে পেলেন যে, নাবী (সাঃ) . তাঁর পেছনে দাঁড়িয়েছেন। নাবী (সাঃ) . তাঁকে হাতের ইশারায় আগের ন্যায় সালাত আদায় করতে নির্দেশ দিলেন। আবু বকর (রা) তাঁর দু’হাত উপরে তুলে আল্লাহর হামদ বর্ণনা করলেন। তারপর কিবলার দিকে মুখ রেকে পেছনে ফিরে এসে কাতারে শামির হলেন। তখন নাবী (সাঃ) . আগে বেড়ে লোকদের ইমামত করলেন এবং সালাত সমাপ্ত করে লোকদের দিকে ফিরে বললেন, ‘হে লোক সকল! সালাত অবস্থায় তোমাদের কিছু ঘটলে তোমরা হাততালি দিতে শুরু কর। অথচ হাততালি দেওয়া মহিলাদের কাজ। সালাত অবস্থায় কারো কিছু ঘটলে সে যেন সুবাহান্নাল্লাহ বলে। কেননা এটা মুনলে তার দিকে দৃষ্টিপাত না করে পারতো না।’ ‘হে আবু বকর! তোমাকে যখন ইশারা করলাম, তখন সালাত আদায় করাতে তোমার কিসের বাধা ছিল?’ তিনি বললেন, ‘আবূ কূহাফার পুত্রের জন্য শোভা পায় না নাবী (সাঃ) . -এর সামনে ইমামত করা।