বুখারি হাদিস নং ২৩৪১ – কুরবানীর পশু ও উট শরীক হওয়া এবং হাদী রওয়ানা করার পর কেউ কাউকে শরীক করলে তার বিধান।

হাদীস নং ২৩৪১

আবু নুমান রহ……….জাবির ও ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীগণ ৪ঠা যিলহজ্জ ভোরে শুধু হজ্জের ইহরাম বেধে মক্কায় এসে পৌঁছলেন। কিন্তু আমরা মক্কায় এসে পৌঁছলে তিনি আমাদেরকে হজ্জের ইহরামকে উমরার ইহরামে পরিণত করার আদেশ দিলেন। তখন আমরা হজ্জকে উমরায় পরিণত করলাম। তিনি আমাদেরকে স্ত্রীদের সাথে সহবাসেরও অনুমতি দিলেন। এ বিষয়ে কেউ কথা ছড়ালো (অধস্তন রাবী) আতা রহ. বলেন, জাবির রা. বলেছেন, আমাদের মধ্যে কেউ কেউ স্ত্রীর সাথে সংগম করে মিনায় যাবে। এ কথা বলে জাবির রা. নিজের হাত লজ্জাস্থানের দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন। এ খবর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কানে পৌঁছলে তিনি দাঁড়িয়ে ভাষণ দিলেন। আমি শুনতে পেয়েছি যে, লোকেরা এটা সেটা বলছে। আল্লাহর কসম ! আমি তাদের চেয়ে অধিক পরহেযগার এবং অধিক আল্লাহ ভীরু। পরে যা জেনেছি তা আগে ভাগে জানতে পারলে হাদী সাথে নিয়ে আসতাম না। আর সাথে হাদীস না থাকলে আমি ও ইহরাম থেকে হালাল হয়ে যেতাম। তখন সুরাকা ইবনে মালিক ইবনে জুসুম রা. দাঁড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! এ হুকুম শুধু আমাদের জন্য, না এটা সর্বকালের জন্য। (রাবী আতা রহ.) বলেন, পরে আলী ইবনে আবু তালেব রা. (ইয়ামান থেকে) মক্কায় এলেন দুই রাবীর একজন বলেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসূলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর অনুরূপ ইহরাম বাঁধলাম। অপরজনের মতে তিনি বললেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুরূপ ইহরাম বাঁধলাম। অপরজনের মতে তিনি বললেন, আমি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুরূপ ইহরাম বাঁধলাম। ফলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ইহরাম অবস্থায় থাকার নির্দেশ দিলেন এবং তাকেও হাদী এর মধ্যে শরীক করে দিলেন।