বুখারি হাদিস নং ২১৬০ – যদি কোন ব্যক্তি কোন লোককে কিছু প্রদানের জন্য ওয়াকিল নিয়োগ করে, কিন্তু কত দিবে তা উল্লেখ করেনি, তবে সে প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী দিবে।

হাদীস নং ২১৬০

মক্কী ইবনে ইবরাহীম রহ……..জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি এক সফরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আমি ধীরগতি সম্পন্ন উটের উপর সওয়ার ছিলাম, যার ফলে উটটা দলের পেছনে পড়ে গেল। এমতাবস্থায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছ দিয়ে গেলেন এবং বললেন : এ কে ? আমি বললাম, জাবির ইবনে আবদুল্লাহ। তিনি বললেন : তোমার কি হল (পেছনে কেন)? আমি বললাম, আমি ধীরগতি সম্পন্ন উটে সাওয়ার হয়েছি। তিনি বললেন : তোমার কাছে কি কোন লাঠি আছে? আমি বললাম, হ্যাঁ, আছে। তিনি বললেন : এটা আমাকে দাও। আমি তখন সেটা তাকে দিলাম। তিনি উটটাকে চাবুক মেরে হাঁকালেন। এতে উটটা (দ্রুত চলে) সে স্থান থেকে দলের অগ্রভাগে চলে গেল। তিনি বললেন, এটা আমার কাছে বিক্রি করে দাও। আমি বললাম, নিশ্চয়ই ইয়া রাসূলাল্লাহ ! এটা আপনারই । তিনি বললেন : (না) বরং এটা আমার কাছে বিক্রি কর। তিনি বললেন, চার দীনার মূল্যে আমি এটা কিনে নিলাম। তবে মদীনা পর্যন্ত এর পিঠে তুমিই সাওয়ার থাকবে। আমরা যখন মদীনার নিকটবর্তী হলাম, তখন আমি আমার বাড়ীর দিকে রওয়ানা হলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায় যাচ্ছ ? আমি বললাম, আমি একজন বিধবা মেয়েকে বিয়ে করেছি। তিনি বললেন : কুমারী কেন বিয়ে করলে না ? সে তোমার সাথে কৌতুক করত এবং তুমি তার সাথে কৌতুক করতে ? আমি বললাম, আমার আব্বা মারা গেছেন এবং কয়েকজন কন্যা রেখে গেছেন। আমি চাইলাম এমন একটা মেয়েকে বিয়ে করতে, যে হবে অভিজ্ঞতা সম্পন্না এবং বিধবা। তিনি বললেন : তাহলে ঠিক আছে। আমরা মদীনায় পৌঁছলে তিনি বললেন, হে বিলাল ! জাবিরকে তার দাম দিয়ে দাও এবং কিছু বেশীও দিয়ে দিও। কাজেই বিলাল রা. তাকে চার দীনার এবং অতিরিক্ত এক কীরাত সোনা দিলেন। জাবির রা. বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দেওয়া অতিরিক্ত এক কীরাত সোনা কখনো আমার কাছ থেকে বিচ্ছন্ন হত না। তাই তা জাবির রা.-এর থলেতে সব সময় থাকত কখনো বিচ্ছিন্ন হত না।