বুখারি হাদিস নং ২১৫৯ – কোন ওয়াকিল কে অথবা কোন সম্প্রদায়ের সুপারিশকারী কে কোন বস্তু হেবা করা জায়িয।

হাদীস নং ২১৫৯

সাঈদ ইবনে উফাইর রহ………মারওয়ান ইবনে হাকাম ও মিসওয়ার ইবনে মাখরামা রা. থেকে বর্ণিত, হাওয়াযিন গোত্রের প্রতিনিধি দল যখন ইসলাম গ্রহণ করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এলেন, তখন তিনি উঠে দাঁড়ালেন। প্রতিনিধি দল নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে তাদের ধন-সম্পদ ও বন্দী ফেরত চাইলেন। তখন তিনি বললেন, আমার নিকট সত্য কথাই অধিকতর পছন্দনীয়। কাজেই তোমরা দু’টোর মধ্যে একটা বেছে নাও- হয় বন্দী, নয় ধন-সম্পদ। আমি তো এদের আগমনের অপেক্ষায়ই প্রতীক্ষমাণ ছিলাম। (বর্ণনাকারী বলেন) তায়িফ থেকে প্রত্যাবর্তন করে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দশ রাতেও বেশী তাদের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন। যখন (প্রতিনিধি দল) বুঝতে পারলেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুটোর মধ্যে একটি ফেরত দেবেন, তখন তারা বললেন, আমরা আমাদের বন্দীদেরকে গ্রহণ করছি। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলিমগণের মাঝে দাঁড়িয়ে আল্লাহ পাকের যথাযথ প্রশংসা করে বললেন : তোমাদের এই ভাইয়েরা তাওবা করে আমার কাছে এসেছে এবং আমার অভিপ্রায় এই যে, আমি তাদের বন্দীদের ফেরত দেই। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি নিজ খুশিতে স্বেচ্ছা-প্রণোদিত হয়ে ফেরত দিতে চায়, সে দিক। আর তোমাদের মধ্যে যে এর বিনিময় গ্রহণ পছন্দ করে, আমরা সেই গনীমতের মাল থেকে তা দেবো যা আল্লাহ প্রথম আমাদের দান করবেন। সে তা করুক অর্থাৎ বিনিময় নিয়ে ফেরত দিক। সাহাবীগণ বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ ! আমরা স্বেচ্ছায় তাদেরকে ফেরত দিলাম। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন : তোমাদের মধ্যে কে কে অনুমতি দিল আর কে কে অনুমতি দিল না, তা আমরা বুঝতে পারছি না। কাজেই তোমরা ফিরে যাও এবং তোমাদের নেতাগণ তোমাদের মতামত আমাদের নিকট পেশ করুক। সাহাবীগণ ফিরে গেলেন। তাদের নেতা তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করলেন। তারপর তারা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জানালেন যে, সাহাবীগণ সন্তুষ্টচিত্তে অনুমতি দিয়েছেন।