বুখারি হাদিস নং ২১৩২ – আরব কবীলায় সূরা ফাতিহা পড়ে ঝাড়-ফুক করার বিনিময়ে কিছু দেওয়া হলে।

হাদীস নং ২১৩২

আবু নুমান রহ………আবু সাঈদ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একদল সাহাবী কোন এক সফরে যাত্রা করেন। তারার এক আরব গোত্রে পৌছে তাদের মেহমান হতে চাইলেন। কিন্তু তারা তাদের মেহমানদারী করতে অস্বীকার করল।সে গোত্রের সরদার বিচ্ছু দ্বারা দংশিত হল। লোকেরা তার জন্য সব ধরনের চেষ্টা করল। কিন্তু কিছুতেই কোন উপকার হল না। তখন তাদের কেউ বলল, এ কাফেলা যারা এখানে অবতরণ করেছে তাদের কাছে তোমরা গেলে ভাল হত। সম্ভাবত, তাদের কারো কাছে কিছু থাকতে পারে। ওরা তাদের নিকট গেল এবং বলল, হে যাত্রীদল ! আমাদের সরদারকে বিচ্ছু দংশন করেছে, আমরা সব রকমের চেষ্টা করেছি, কিন্তু কিছুতেই উপকার হচ্ছে না। তোমাদের কারো কাছে কিছু আছে কি ? তাদের একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম আমি ঝাড়-ফুক করতে পারি। আমরা তোমাদের মেহমানদারী কামনা করেছিলাম, কিন্তু তোমরা আমাদের জন্য মেহমানদারী করনি। কাজেই আমি তোমাদের ঝাড়-ফুক করব না, যে পর্যন্ত না তোমরা আমাদের পারিশ্রমিক নির্ধারণ কর। তখন তারা এক পাল বকরীর শর্তে তাদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হল। তারপর তিনি গিয়ে আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন (সূরা ফাতিহা) পড়ে তার উপর ফু দিতে লাগলেন। ফলে সে (এমনভাবে নিরাময় হল) যেন বন্ধন থেকে মুক্ত হল এবং সে এমনভাবে চলতে ফিরতে লাগল যেন তার কোন কিছু ছিল না। (বর্ণনাকারী বলেন, ) তারপর তারা তাদের স্বীকৃত পারিশ্রমিক পুরোপুরি দিয়ে দিল। সাহাবীদের কেউ কেউ বলেন, এগুলো বন্টন কর। কিন্তু যিনি ঝাড়-ফুক করেছিলেন, তিনি বললেন এটা করব না, যে পর্যন্ত না আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে তাকে এই ঘটনা জানাই এবং লক্ষ্য করি তিনি আমাদের কি হুকুম দেন। তারা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি বলেন, তুমি কিভাবে জানলে যে, সূরা ফাতিহা একটি দু’আ ? তারপর বলেন, তোমরা ঠিকই করেছ। বন্টন কর এবং তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটা অংশ রাখ। এ বলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসলেন এবং শুবা রহ. বলেন, আমার নিকট আবু বিশর রহ. বর্ণনা করেছেন যে, আমি মুতাওয়াক্কিল থেকে এ হাদীস শুনেছি।