বুখারি হাদিস নং ১৯৬৭ – জন্তু ও গাধা খরিদ করা।

হাদীস নং ১৯৬৭

মুহাম্মদ ইবনে বাশশার রহ……….জাবির ইবনে আবদুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক যুদ্ধে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ছিলাম। আমর উটটি অত্যন্ত ধীরে চলছিল বরং চলতে অক্ষম হয়ে পড়েছিল । এমতাবস্থায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন এবং বললেন, জাবির ? আমি বললাম, জী । তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার অবস্থা কী ? আমি বললাম, আমার উট আমাকে নিয়ে অত্যন্ত ধীরে চলছে এবং অক্ষম হয়ে পড়ছে। ফলে আমি পিছনে পড়ে গেছি। তখন তিনি নেমে চাবুক দিয়ে উটটিকে আঘাত করতে লাগলেন। তারপর বললেন, এবার আরোহণ কর। আমি আরোহণ করলাম। এরপর অবশ্য আমি উটটিকে এমন পেলাম যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অগ্রসর হওয়ায় বাঁধা দিতে হয়েছিল। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি বিবাহ করেছ ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিবাহিতা ? আমি বললাম, বিবাহিতা। তিনি বললেন, তরুনী বিবাহ করলে না কেন? তুমি তার সাথে হাসি-তামসা এবং সে তোমার সাথে পূর্ণভাবে হাসি-তামসা করত। আমি বললাম, আমার কয়েকটি বোন রয়েছে, ফলে আমি এমন এক মহিলাকে বিবাহ করতে পছন্দ করলাম, যে তাদেরকে মিল-মুহাব্বতে রাখতে, তাদের পরিচর্যা করতে এবং তাদের উপর উত্তমরূপে কর্তৃত্ব করতে সক্ষম হয়। তিনি বললেন, শোন ! তুমি তো বাড়ীতে পৌঁছবে ? যখন তুমি পৌঁছবে তখন তুমি বৃদ্ধিমত্তার পরিচয় দেবে। তিনি বললেন, তোমার উটটি বিক্রি করবে ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি তা এক উকীয়ার বিনিময়ে আমার নিকট থেকে কিনে নিলেন। তারপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার আগে (মদীনায়) পৌঁছলেন এবং আমি (পরের দিন) ভোরে পৌঁছলাম। আমি মসজিদে নববীতে গিয়ে তাকে দরজার নামনে পেলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এখন এলে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেন, তোমার উটটি রাখ এবং মসজিদে প্রবেশ করে দু’ রাকআত সালাত আদায় কর। আমি মসজিদে প্রবেশ করে সালাত আদায় করলাম। তারপর তিনি বিলাল রা.-কে উকীয়া ওযন করে আমাকে দিতে বললেন। বিলাল রা. ওযন করে দিলেন এবং আমার পক্ষে ঝুঁকিয়ে দিলেন। আমি রওয়ানা হলাম। যখন আমি পিছন ফিরছি তখন তিনি বললেন, জাবিরকে আমার কাছে ডাক । আমি ভাবলাম, এখন হয়ত উটটি আমাকে ফিরিয়ে দেবেন। আর আমার কাছে এর চাইতে অপছন্দনীয় আর কিছুই ছিলনা। তিনি বললেন, তোমার উটটি নিয়ে যাও এবং তার মূল্যও তোমার।