হাদীস নং ১৭৬৮
উবায়দ ইবনে ইসমাঈল রহ………আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় শুভাগমন করলে আবু বকর ও বিলাল রা. জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়লেন। আবু বকর রা. জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়লে তিনি এ কবিতা অংশটি আবৃত্তি করতেন : “প্রত্যেক ব্যক্তিই তার পরিবার ও স্বজনদের মাঝে দিন কাটাচ্ছেন, অথচ মৃত্যু তার জুতোর ফিতার চেয়েও অধিক নিকটবর্তী”। আর বিলাল রা. জ্বর উপশম হলে উচ্চস্বরে এ কবিতা অংশ আবৃত্তি করতেন : “হায়, আমি যদি মক্কার প্রান্তরে একটি রাত কাটাতে পারতাম এমনভাবে যে, আমার চারদিকে থাকবে ইযখির এবং জালীল নামক ঘাস। মাজান্না ঝর্ণার পানি কোন দিন পান করার সূযোগ পাব কি ? শামা এবং তাফীল পাহাড় আবার প্রকাশিত হবে কি ? নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : হে আল্লাহ ! তুমি শায়বা ইবনে রাবীআ উতবা ইবনে রাবীআ এবং উমায়্যা ইবনে খালফের প্রতি লানত বর্ষণ কর; যেমনিভাবে তারা আমাদেরকে আমাদের মাতৃভূমি থেকে বের করে মহামারির দেশে ঠেলে দিয়েছে। এরপর নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করলেন : হে আল্লাহ ! মদীনাকে আমাদের নিকট প্রিয় বানিয়ে দাও যেমন মক্কা আমাদের জন্য স্বাস্থ্যকর বানিয়ে দাও। স্থানান্তরিত করে দাও জুহফাতে এর জ্বরের প্রকোপ বা মহামারীকে। আয়িশঅ রা. বলেন, আমরা যখন মদীনা এসেছিলাম তখন তা ছিল আল্লাহর যমীনে সর্বাপেক্ষা অধিক মহামারীর স্থান। তিনি আরো বলেন, সে সময় মদীনায় বুতহান নামক একটি ঝর্ণা ছিল যার থেকে বিকৃত বর্ণ ও বিকৃত স্বাদের পানি প্রবাহিত হত।