হাদীস নং ১৬৯১
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে আসমা রহ………নাফি রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, উবায়দুল্লাহ ইবনে আবদুল্লাহ ও সালিম ইবনে আবদুল্লাহ রহ. উভয়ই তাকে সংবাদ দিয়েছেন, যে বছর হাজ্জাজ (ইবনে ইউসুফ) বাহিনী ইবনে যুবায়র রা.-এর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, সে সময়ে তাঁরা উভয়ে কয়েকদিন পর্যন্ত আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা.-কে বুঝালেন। তাঁরা বললেন, এ বছর হজ্জ না করলে আপনার কোন ক্ষতি হবে না। আমরা আশংকা করিছি, আপনার ও বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষি।ট হতে পারে। তিনি বললেন, আমরা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সঙ্গে রওয়ানা হয়েছিলাম। কিন্তু বায়তুল্লাহর পথে কাফির কুরাইশরা আমাদের বাঁধা হয়ে দাঁড়াল । তাই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরবানীর পশু যবেহ করে মাথা মুড়িয়ে নিয়েছিলেন। এখন আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, আমি আমার নিজের জন্য উমরা ওয়াজিব করে নিয়েছি। আল্লাহ চাহেন তো আমি এখন রওয়ানা হয়ে যাব। যদি আমার এবং বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা না আসে তাহলে আমি তাওয়াফ করে নিব। কিন্তু যদি আমার এবং বায়তুল্লাহর মাঝে বাধা সৃষ্টি করা হয় তাহলে আমি তখনই সেরূপ করব যেরূপ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছিলেন আর আমিও তাঁর সঙ্গে ছিলাম। তারপর তিনি যুল-হুলাইফা থেকে উমরার ইহরাম বেঁধে কিছুক্ষণ চললেন, এরপরে বললেন, হজ্জ এবং উমরার ব্যাপার তো একই। আমি তোমাদের সাক্ষী রেখে বলছি, নিশ্চয়ই আমি আমার উমরার সাথে হজ্জও নিজের জন্য ওয়াজিব করে নিলাম। তাই তিনি হজ্জ ও উমরা কোনটি থেকেই হালাল হননি। অবশেষে কুরবানীর দিন কুরবানী করলেন এবং হালাল হলেন। তিনি বসতেন, আমরা হালাল হব না যতক্ষণ পর্যন্ত না মক্কায় প্রবেশ করে একটি তাওয়াফ করে নিই।