হাদীস নং ১৬৭৫
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………..উরওয়া রহ. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি বাল্যকালে একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণী আয়িশা রা.-কে বললাম, আল্লাহর বাণী : সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কাবাগৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এ দুটির মধ্যে সায়ী করে, তার কোন পাপ নেই। (২ : ১৫৮) তাই সাফা-মারওয়ার সায়ী না করা আমি কারো পক্ষে অপরাধ মনে করি না। আয়িশা রা. বলেন, বিষয়টি এমন নয়। কেননা, তুমি যেমন বলছ, ব্যাপারটি তেমন হলে আয়াতটি অবশ্যই এমন হত অর্থাৎ এ দুটির মাঝে তাওয়াফ না করলে কোন পাপ নেই। এ আয়াত তো আনসাদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। কেননা তারা মানাতের জন্য ইহরাম বাঁধত। আর মানাত কুদায়দের সামনে ছিল। তাই আনসাররা সাফা-মারওয়া তাওয়াফ করতে দ্বিধাবোধ করত। এরপর ইসলামের আবির্ভাবের পর তারা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে আল্লাহ তা’আলা নাযিল করলেন : সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্যতম। সুতরাং যে কাবাগৃহের হজ্জ কিংবা উমরা সম্পন্ন করে এ দুটির মধ্যে সায়ী করে, তার কোন পাপ নেই। সুফিয়ান ও আবু মুআবিয়া রহ. আবু মুআবিয়া রা. হিশাম রহ. থেকে অতিরিক্ত বর্ণনা করেছেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফ না করলে আল্লাহ কারো হজ্জ এবং উমরাকে পূর্ণাঙ্গ গণ্য করেন না।